অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায়

অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায়

অনলাইনে আয় বলতে আমরা কি বুঝি? ফ্রিলান্সিং নাকি গ্রাফিক্স ডিজাইন। কন্টেন্ট রাইটিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। এসব বড় কাজ নিয়ে আজকে কথা বলব না। আজকে অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় নিয়ে লিখব।

এই কাজগুলো শিখা অনেক সময়ের ব্যাপার। অনেক সহজ কাজ আছে যেগুলো শিখতে টাকা বা সময় লাগবে না। একেবারে ঘরে বসে বসেই সহজেই টাকা আয় করা সম্ভব। 

চলুন তাহলে অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় গুলো দেখে নিই। 

১। অনলাইন সার্ভে বা অনলাইন জরিপ পূরণ

বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন মার্কেটিং কাজ অনলাইনে জরিপ করে। এই জরিপের উদ্দেশ্য থাকে কাস্টমারদের তথ্য সংগ্রহ করা।

কিছু ওয়েবসাইট আপনাকে টাকা দিবে এই সার্ভেগুলো পূরণ করে দিতে পারলে। 

ওয়েবসাইটের নামঃ 

  1.  Swagbucks
  2. Branded Surveys,
  3.  MyPoints
  4. LifePoints

এই ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে সার্চ করলেই বিভিন্ন পেইড সার্ভে পেয়ে যাবেন। প্রতিটি সার্ভে ফিলাপ করতে পারলে ৫-১৫ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। 

২। ছবি বিক্রি করা 

ছবি তুলতে ভালবাসেন, ভাল ছবি তুলতে পারেন। তাহলে অনায়াসেই এই ছবিগুলো বিক্রি করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ছবি হতে হবে অরিজিনাল এবং কোন ধরণের এডিট ছাড়া। 

ছবি যেসব ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারেনঃ 

  1.  iStockPhotos
  2. Dreamstime
  3. Shutterstock
  4. Getty Images

এই ওয়েবসাইটগুলো আপনার ছবিস্বত্ব কিনে নিবে টাকার বিনিময়ে। 

ছবি প্রতি ইনকাম

প্রতিটি ছবির জন্য ০.২৫-০.৪৫ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তার মানে প্রতি ৩টি ছবির জন্য ১ ডলার করে পাবেন। 

৩। রিভিউ লিখে আয় 

অনেক কোম্পানি আছে পেইড রিভিউ সার্ভিস অফার করে।

সহজ কথায় আপনি কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট সম্পর্কে সুন্দর, গোছানো রিভিউ দিবেন। আপনার রিভিউ দেখে যাতে অন্য কাস্টমাররা সেই প্রোডাক্ট কিনে। 

রিভিউ লেখার ওয়েবসাইটঃ 

 Fabletics এই সাইটটি পেইড রিভিউ সার্ভিস দিয়ে থাকে। 

আয়ের পরিমাণঃ ঘন্টাপ্রতি ৫-৩০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। 

৪। গেম খেলে অনলাইনে ইনকাম

আপনি চাইলে গেম খেলেও অনলাইনে আয় করতে পারবেন। আপনার ভালো একটা কম্পিউটার আছে। গেমস খেলতে ভালোবাসেন।

তাহলে কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা আপনাকে অনলাইনে টাকা দিতে প্রস্তুত। 

ওয়েবসাইটের নামঃ 

  1. Cash Crate
  2. Appcent, Applike
  3. AppNana 

এই ওয়েবসাইটগুলোতে ঘন্টাপ্রতি আপনি ১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে এখনই গেম খেলতে বসে যান আর সাথে বোনাস হিসেবে কিছু টাকা ও আয় করে নিন।

৫। টি-শার্ট ডিজাইন করে বিক্রি করুন

আপনি যদি আর্টিস্টিক স্বভাবের হোন বা আর্ট করতে ভালোবাসেন তাহলে এই কাজ আপনার জন্য পানিভাত! বর্তমানে টি-শার্ট খুবই জনপ্রিয়। সবাই টিশার্ট পরতে ভালোবাসে। আপনি সুন্দর করে টিশার্ট ডিজাইন করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।

যা করতে হবেঃ  Amazon এ একাউন্ট খুলে সেখানে আপনার ডিজাইন করা টিশার্ট আপলোড করবেন। 

আপনার আলাদাভাবে কোন প্রমোশন করা লাগবে না। আমাজন নিজেই আপনার প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিবে। প্রতিদিন লাখো কাস্টমার আমাজন থেকে পণ্য কিনে। তাই আপনার ডিজাইন সুন্দর হলে আপনার টিশার্ট ও বিক্রি হবে। তখন আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন। 

আয়ের পরিমাণ

প্রতি ১টি টিশার্টে ২-৫ ডলার করে পাবেন। 

৬। ব্লগ বানিয়ে অনলাইন ইনকাম 

আপনি যদি নিজের একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করতে চান, তাহলে ব্লগিং আপনার জন্যই। ব্লগিং করতে কোন প্রকার কোডিং জানা লাগবে না। 

WordPress এর মাধ্যমে সহজেই ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ২০০০ টাকার মত লাগবে হোস্টিং ও ডোমেইন কিনতে। তবে একবার ব্লগ বানিয়ে সেখানে ভালো কন্টেন্ট লিখতে পারলে এই টাকা কয় মাসের মধ্যেই উঠে আসবে। 

যা করতে হবেঃ প্রথমেই WordPress ব্যবহার করে একটি ব্লগ বানিয়ে নিন। ২০ মিনিটেই একটি ব্লগ বানাতে পারবেন। 

তারপর সেখানে অন্তত ৫টি কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লিখুন যেকোন একটি নিশ বা টপিকে। 

তারপর Google Adsense এ এপ্লাই করুন। আবেদন সম্পন্ন হলে গুগল আপনার সাইটে এড দেখানো শুরু করবে আর তার বিনিময়ে আপনার একাউন্ট এ টাকা এড হতে থাকবে। 

আয়ের পরিমাণ

নতুন অবস্থায় মাসে ৩০-১০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তবে ভালো কন্টেন্ট আর বেশি ট্রাফিক হলে বছরের মধ্যেই ৫০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন মাসপ্রতি। 

২০ মিনিটে ব্লগ বানাতে এই টিউটোরিয়াল দেখুন। 

৭। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম 

ব্লগে গুগলের এড যারা ব্যবহার করেন না তাঁরা এই উপায়ে অনলাইন আয় করে থাকে। 

এর জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি ওয়েবসাইট খুলে নিতে হবে। 

তারপরে অ্যাফিলয়েট মার্কেটিং যারা অফার করে, যেমনঃ Amazon, Clickbank এই সাইটগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। এখানের লিংকে ক্লিক করলেই আপনারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। 

রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে যেকোন পণ্য বা সার্ভিসের জন্য আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক পাবেন। 

তারপর, একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত আর্টিকেল লিখা শুরু করতে হবে। SEO  বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ব্যবহার করে যে বিষয়ে মানুষ সার্চ করে বেশি সেই বিষয়ে ভালো কন্টেন্ট দিতে হবে। 

কন্টেন্ট এর খোজে মানুষ আপনার সাইট ভিজিট করবে। 

প্রতিটি কন্টেন্টের সাথে আপনি সেই পণ্য কোথা থেকে একজন কিনতে পারে সেই লিংক দিবেন। মানে অ্যাফিলিয়েট লিংকটি শেয়ার করবেন। 

যখনই আপনার দেয়া লিংক থেকে কেউ পণ্য বা সার্ভিস নিবে আপনি একটা কমিশন পেয়ে যাবেন। 

আয়ের পরিমাণ

এই উপায়ে ব্লগিং এর থেকেও বেশি আয় করতে পারবেন। নতুন অবস্থায় প্রতিমাসে কমপক্ষে ১০০ ডলার বা ৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করতে মাসে ৫০ হাজার পর্যন্ত ও ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যামাজন এসোশিয়েট (Amazon Associate) এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করা যায়। স্টেপ বাই স্টেপ টিউটোরিয়াল দেখতে এই আর্টিকেল পড়ে নিন। 

 

৮। কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় 

আমরা সবাই কমবেশি লিখতে জানি। কন্টেন্ট রাইটিং মূলত কোন বিষয়ে মানুষের উপকারে আসে এমন কিছু তথ্য সুন্দরভাবে গুছিয়ে কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা। 

আপনি বর্তমানে যে আর্টিকেলটি পড়ছেন এটাও একটা কন্টেন্ট। তাই এর জন্য আলাদাভাবে কোন জ্ঞান লাগবে না। 

বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি যেমনঃ Staff Asia আছে যারা প্রতিনিয়ত কন্টেন্ট রাইটার নিয়োগ দেয়। আপনি এইসব কোম্পানিতে চাকরি করতে পারবেন। 

চাইলে পার্ট টাইম হিসেবে ও কন্টেন্ট লিখতে পারবেন। ভালো লিখতে পারলে  প্রতি ১০০০ শব্দের জন্য ৫০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। 

ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ আছে যেখানে প্রতিদিন কন্টেন্ট রাইটারের জন্য বিজ্ঞপ্তি আসে। Content Writers Bangladesh এই গ্রুপে নজর রাখতে পারেন। এখানে অসংখ্য কাজ করার সুযোগ আছে। 

আয়ের পরিমাণ

বাংলা প্রতি ১০০০ শব্দের আর্টিকেলের জন্য ৫০০-৭০০ টাকা এবং ইংরেজিতে লিখলে আরো ভালো আয় করতে পারবেন। 

কন্টেন্ট রাইটিং A to Z শিখতে এই আর্টিকেল পড়ে নিন। 

৯। ভিডিও বানিয়ে ইনকাম

আপনার কাছে একটা স্মার্টফোন থাকলেই হবে। আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানিয়ে ইউটিউভে দিতে পারেন। অথবা টিকটক আজকাল খুবই জনপ্রিয় বাংলাদেশে। টিকটকে ও আপনার ভিডিও দিতে পারেন। 

আপনার ভিডিও যত বেশি মানুষ দেখতে তত আপনার ইনকাম বাড়বে। আপনি চাইলে বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রমোশন করতে পারবেন। অথবা বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করতে পারবেন। 

প্রতিটি বিজ্ঞাপনে আপনি বেশ ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। 

অথবা আপনি চাইলে, আপনার ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। আপনার ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে আপনি মনিটাইজেশন অন করতে পারবেন। মানে হল, তখন থেকে ইউটিউব আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেয়া শুরু করবে। বিজ্ঞাপন যত বেশি মানুষ দেখবে তত বেশি আপনার লাভ হবে। 

আয়ের পরিমাণ

ইউটিউব স্টার হয়ে গেলে মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ইনকাম করা কোন ব্যাপারই না আপনার জন্য। তবে একটু সময় লাগতে পারে। ধৈর্য্য নিয়ে কাজ করতে পারলে বেশ ভালো করতে পারবেন এই সেক্টরে। 

১০। ই-কমার্স বিজনেস করে অনলাইন ইনকাম 

ই-কমার্স মানে হল ইন্টারনেট বা অনলাইন ব্যবহার করে ব্যবসা করা। Evaly, Daraz এগুলোর নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। এরা একেকটা ই-কমার্স কোম্পানি। 

শুরুর দিকে আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে ই-কমার্স শুরু করতে পারেন। 

যা যা করতে হবেঃ 

প্রথমেই আপনাকে একটা ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। 

তারপর আপনাকে পণ্য সিলেক্ট করতে হবে। কোন পণ্য আপনি অনলাইনে বিক্রি করবেন। ধরুন আপনার এলাকায় ভালো ব্রান্ডের কাপড় পাওয়া যায় না। আপনি ঢাকা থেকে পাইকারি দামে কাপড় কিনে এলাকায় বিক্রি করতে পারেন। 

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার পরিচিত সবাইকে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানাতে পারবেন। ফেসবুক সবাই ব্যবহার করে। 

ধীরে ধীরে আপনার কাস্টমার বাড়তে থাকলে আপনি ফেসবুকে এড প্রমোট করবেন। তখন আপনার ব্যবসা এলাকা ছেড়ে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়বে। 

আয়ের পরিমাণ

নতুন অবস্থায় মাসে সহজেই ১০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে এমন পণ্য বিক্রি করতে হবে যা সহজেই আপনার আশেপাশে না পাওয়া যায় এবং পণ্যের কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো হতে হবে। 

ই-কমার্স নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই আর্টকেল দেখুন। 

১১। টিউশনি করিয়ে অনলাইন ইনকাম

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষক অনেক কম। তাই বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট স্যার বা ম্যাডামের কাছে পড়ে। আপনার এলাকায় অলিতে গলিতে লিফলেট লাগানো শুরু করুন। 

১০০ টাকার লিফলেট লাগালে সপ্তাহের ভেতরই একটা কল পেয়ে যাবেন। 

এভাবে কয়েকটা জায়গায় লিফলেট লাগালে মাসের মধ্যে ৫০টির ও বেশি টিউশনির কল আসবে। তখন আপনি টিউশন মিডিয়া খুলে দিতে পারেন। আপনি টিউশনি গুলো অন্যান্য ছাত্রদের দিয়ে দিবেন। বিনিময়ে একটা ক্ষুদ্র পার্সেন্টেজ নিবেন। বর্তমানে অনেকগুলো টিউশন মিডিয়া গড়ে উঠেছে বাংলাদেশে। 

আয়ের পরিমাণ

হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকা! 

১২। অনলাইনে কোর্স নেয়া 

আপনি একজন ছাত্রকে ২ ঘন্টায় যা পড়াবেন, একটু সময় লাগিয়ে ভালোমত ভিডিও বানাতে পারলে সেই একই পরিশ্রমে ১০০ জন ছাত্রকে পড়াতে পারবেন। 

১০০ জন ছাত্রের জন্য পারিশ্রমিক ও পাবেন বেশি। 

টেন মিনিট স্কুল বর্তমানে অসংখ্য অনলাইন কোর্স শুরু করছে। কম দামে শিক্ষার্থীরা সেই কোর্স কিনে বাসায় বসেই ভালো মানের শিক্ষা পাচ্ছে। তাই স্যারের বাসায় গিয়ে পড়ার মনোভাব দিনদিন কমছে। 

আপনি নিজের ফেসবুকে গ্রুপ খুলে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন। 

অথবা জুম এপের মাধ্যমে অনলাইনে একসাথে ১০০ জন ছাত্রকে পর্যন্ত পড়াতে পারবেন। আর মজার কথা হল জুম এপটি সম্পূর্ণ ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। 

তাই যে বিষয়ে আপনার ভালো দক্ষতা আছে, সেই বিষয়টিকে পুজি করে অর্থ উপার্জন করা শুরু করুন। প্রথমদিকে হয়ত কম আয় হবে কিন্তু দেখতে দেখতেই আপনার আয়ের পরিমাণ লাখের ঘরেও চলে যাবে। 

১৩। ফুড ডেলিভারি দিয়ে আয় করুন 

আপনার যদি পড়াশুনায় মন না থাকে, তাহলে আপনি ডেলিভারির কাজ করতে পারেন সহজেই। 

একটা বাইসাইকেল কিনে নিন ৫ হাজার টাকায়। 

Foodpanda একটি ফুড ডেলিভারি এপ। এই লিংকে ক্লিক করে একজন রাইডার হবার জন্য এপ্লাই করুন। 

রেজিস্টার্ড হয়ে গেলে, আপনি ফুডপান্ডার অধীনে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে মানুষের বাসায় পৌছে দিবেন। 

প্রতিটি ডেলিভারির জন্য ফুডপান্ডা ৪০ টাকা করে রাইডারকে দেয়। 

আয়ের পরিমাণ

প্রতিদিন ৪-৫ ঘন্টা কাজ করলে মাসে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। 

১৪। বাসায় বানানো খাবার (হোমমেড ফুড) বিক্রি করুন অনলাইনে

রেস্টুরেন্ট এর খাবার বেশিরভাগই অস্বাস্থ্যকর। সবাই চায় ঘরোয়া পরিবেশে খাবার খেতে। 

তাই আপনি চাইলে নিজে বাসায় রান্না করতে পারেন। ইউটিউব থেকে রান্নার ভিডিও দেখে নিজে নিজেই বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরী করতে পারেন। 

খাবারগুলো ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার আশেপাশে সরবরাহ করতে পারেন। অথবা আপনি একজন রাধুনি বা বাবুর্চিকে ভাড়া করে খাবার বানিয়ে নিতে পারেন। পরবর্তীতে খাবারগুলো আপনি নিজে ডেলিভারী দিতে পারেন। 

আস্তে আস্তে পরিচিতি বাড়লে আপনাকে অতিরিক্ত ডেলিভারী ম্যান নিয়োগ দিতে হবে। ততদিনে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠবেন। 

মনে রাখবেন সকল প্রকার সফল ব্যবসা এবং ব্যবসায়ী কিন্তু ছোট থেকে বড় হয়েছেন। কেউ রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাননি। 

১৫। ডোমেইন কেনা বেচা করা 

ডোমেইন কি? 

ডোমেইন হল ইন্টারনেটে যেকোন ওয়েবসাইটে একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা। ধরেন ফেসবুক একটি ওয়েবসাইট। তাহলে ফেসবুকের ঠিকানা বা এড্রেস কি? 

ফেসবুকের এড্রেস হলঃ www.facebook.com 

এই এড্রেসকে বলে ডোমেইন নেম। 

অনলাইনে প্রতিদিন হাজার হাজার ডোমেইন কেনাবেচা হচ্ছে। আপনি যদি একটা ওয়েবসাইট বানাতে চান, তাহলে দেখবেন সুন্দর সুন্দর সব ডোমেইন নেমই কেউ না কেউ আগে থেকে কিনে রেখে দিয়েছে।

ধরেন আপনি মার্কেটিং নিয়ে একটা ওয়েবসাইট করতে চাচ্ছেন। আপনার পছন্দের ডোমেইন নাম হল, www.marketing.com

কিন্তু আপনি যখন ডোমেন চেক করবেন তখন দেখবেন এই ডোমেইন অলরেডি কেউ কিনে রেখে দিয়েছে। তাই আপনাকে ওই ডোমেইন কিনতে হলে আলাদা টাকা ব্যয় করতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষে যা মাঝে মাঝে কোটি টাকাও হয়ে যায়!

আপনি কি জানেন mi.com এই ডোমেনটি শাওমি কোম্পানি, যারা এন্ড্রয়েড স্নার্টফোন বানায় তাঁরা ৩০ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল! 

একটা ডোমেন ১ বছরের জন্য কিনতে টাকা লাগে ১০০০-১৫০০ টাকা। 

তাহলে লাভের অংকটা নিজেরাই হিসেব করে দেখুন। 

অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় নিয়ে আজকে এপর্যন্তই।