কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing): ২০২৪ সালে কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে শুরু করব

কন্টেন্ট রাইটিং

কন্টেন্ট রাইটিং কি ? (What is Content Writing)

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্যে ওয়েব কন্টেন্ট পরিকল্পনা, রচনা, সম্পাদনা ও লেখার নামই কন্টেন্ট রাইটিং (content writing)।

সঠিক কন্টেন্ট লিখা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বেশিরভাগ লোকেরা যখন “কন্টেন্ট রাইটিং” শুনেন তখন তারা কোন ব্লগে “নিবন্ধ লেখার” কথা ভেবে থাকেন।

কিন্তু কন্টেন্ট রাইটিং শুধু আর্টিকেল বা নিবন্ধ লেখাকেই বলা হয় না।

প্রকৃতপক্ষে, কন্টেন্ট রাইটিং সব ধরণের বিভিন্ন কন্টেন্ট ফর্ম্যাটগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ

  • ভিডিও স্ক্রিপ্ট
  • ইমেইল নিউজলেটার (Email Newsletter)
  • মূল বক্তব্য
  • সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট (Social Media Marketing)
  • পডকাস্ট শিরোনাম (Podcast)
  • ওয়েব পৃষ্ঠার অনুলিপি (Webpage Copy)
  • ল্যান্ডিং পেজ (Landing page)
  • ইউটিউব ভিডিও বর্ণনা

সহজ ভাষায়, কন্টেন্ট রাইটিং আপনার প্রকাশিত যে কোন কন্টেন্ট এর ভিত্তি।

ডিজিটাল মার্কেটিং সঠিকভাবে করতে হলে, প্রতিটি মার্কেটারকে “কন্টেন্ট রাইটিং” জানতে হবে।

এই আর্টিকেল পুরোটা পড়ে নিলে আপনি যেকোন বিষয়ে কন্টেন্ট লিখতে পারবেন।

কন্টেন্ট রাইটিং আসলে জটিল কিছু না। আমরা সবাই ছোটবেলা থেকে কমবেশি লিখে আসছি। সুন্দর, সাবলীল ও গুছিয়ে লিখতে পারলেই আপনি একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটার হতে পারবেন। আজকের দুনিয়ায় বিশ্বে হাজার হাজার কন্টেন্ট রাইটার(content writer) আছে।

তাই অন্য সবাইকে টপকাতে ভালো লিখনীর পাশাপাশি আরো কিছু টিপস জানা থাকা আবশ্যক।

কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং শেখা যায় ?  (How to write content)

কন্টেন্ট রাইটিং (content writing) এর ধাপ কয়টি? (Step by Step)

কন্টেন্ট রাইটিং মূলত ৩টি ধাপে হয়।

১) গবেষণা – যে বিষয়ে কন্টেন্ট লিখবেন সে বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

২) পরিকল্পনা – কন্টেন্ট কিভাবে, কত দিনের মধ্যে লিখবেন তার সম্পূর্ণ প্ল্যানিং।

৩) লেখা – কন্টেন্ট সহজ ভাষায় ও গুছিয়ে লেখা।

বেশিরভাগ কন্টেন্ট রাইটাররা লেখাতে সময় দেন বেশি আর গবেষণাতে সময় দেন কম। কিন্তু বিষয়টা হওয়া দরকার উলটো। গবেষণাতে সময় দেয়া দরকার সবচেয়ে বেশি।

কিভাবে কন্টেন্ট গবেষণা বা কন্টেন্ট রিসার্চ করবেন? (How to do Content Research?)

কন্টেন্ট নিয়ে গবেষণা করতে ৬টি স্টেপ ফলো করতে হবে।

  1. ব্যবসায়িক লক্ষ্য
  2. ক্রেতার চাওয়াকে কল্পনা করা
  3. সার্চের উদ্দেশ্য
  4. কীওয়ার্ড গবেষণা এবং এসইও (Keyword Research & SEO)
  5. কন্টেন্ট কৌশল
  6. বিষয় গবেষণা
  7. ব্যবসায়িক লক্ষ্য

1. ব্যবসায়িক লক্ষ্য

আপনি কন্টেন্ট লিখে যে ব্যবসায়িক লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে চান সেগুলি নিশ্চিত করে নিন। লক্ষ্য নির্ধারণ হয়ে গেলে, সেগুলো কন্টেন্টের মাধ্যমে কিভাবে লাভ করবেন তার বিস্তারিত পরিকল্পনা করে নিন।

আপনার বুঝতে হবে,

কী ধরণের কন্টেন্ট বিন্যাস প্রয়োজন।

কন্টেন্টটি কোন স্টাইল / সুরে লেখা উচিত।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি মোবাইল রিভিউ করেন। এখন আপনি চাচ্ছেন ১০ হাজারের ভেতরে কোন মোবাইল কেনা বেস্ট হবে সে বিষয়ে একটি আর্টিকেল লিখতে।

প্রথমেই ভাবতে হবে, এই আর্টিকেল লেখার উদ্দেশ্য কি?

আর্টিকেল লিখে কি আপনি মোবাইল বিক্রি করতে চান?

আপনি কি এফিলিয়েশন এর মাধ্যমে মোবাইলটি বিক্রি করতে চাচ্ছেন?

যে মাধ্যমে বিক্রি করতে চাচ্ছেন, ক্রেতা সে মাধ্যম থেকে কিনবে কি না সেটা ও ভেবে নিতে হবে।

2. ক্রেতার চাওয়াকে কল্পনা করা

আপনি যে বিষয়েই লেখুন না কেন, ক্রেতা কিভাবে সেটা পড়তে বা জানতে চাচ্ছে সেটা না বুঝলে আপনার কন্টেন্ট মানুষ পড়বে না। তাই ক্রেতার চাওয়া বা আশা (User Demand) আপনাকে বুঝে নিতে হবে।

কিভাবে ইউজার ডিমান্ড বুঝবেন?

সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে জিজ্ঞাসামূলক প্রশ্ন করতে পারেন কন্টেন্ট এর বিষয়বসস্তু নিয়ে।

পরিচিত মানুষজনকে জিজ্ঞেস করতে পারেন এবং তাদের পরামর্শ শুনে পরিকল্পনা করতে পারেন।

কোরা (Quora), রেডিট(Reddit) এই সাইটগুলোতে আপনার কন্টেন্ট এর টপিক নিয়ে সার্চ করবেন। তাহলে সেই বিষয় নি মানুষ কি জানতে চায়, সেটা বুঝে যাবেন।

3. সার্চের উদ্দেশ্য

সার্চ ইঞ্জিনগুলি ব্যবহার করার সময় ব্যবহারকারীরা প্রায়ই খুব আলাদা প্রত্যাশা রাখেন এবং এর নির্দেশিকাগুলিতে গুগল বিভিন্ন প্রশ্ন ব্যবহার করার সময় ব্যবহারকারীরা কী কী সন্ধান করছেন এবং তা কীভাবে বোঝা যায় সে সম্পর্কে অনেক কথা বলে।

ব্যবহারকারীর প্রশ্নের উত্থাপিত উত্তর সরবরাহ করা আপনার কন্টেন্ট এরগুণমান হিসাবে রেটিং হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।

সার্চের উদ্দেশ্যকে ৪ ধরণের ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়।

  • তথ্যবহুল – সার্চকারী কোনও বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য সন্ধান করছে।
  • নেভিগেশনাল – সার্চকারী একটি নির্দিষ্ট ওয়েব পৃষ্ঠা বা সাইট সন্ধান করছে।
  • বাণিজ্যিক – সার্চকারী একটি ক্রয় বিবেচনা করছে এবং তাদের বিকল্পগুলি তদন্ত করতে চায়।
  • লেনদেনমূলক – সার্চকারী কিছু কিনতে চায়।

আপনার ব্যবহারকারীর সার্চের উদ্দেশ্যটি বুঝতে, আপনার টুকরাটিতে যে কীওয়ার্ডটি আপনি লক্ষ্য করেছেন তা দেখতে হবে। আমরা পরবর্তী বিভাগে এগুলি সম্পর্কে কথা বলব।

আরো পড়ুনঃ  ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম 

4. কীওয়ার্ড গবেষণা এবং এসইও

কীওয়ার্ড গবেষণা কি? (What is keyword research?)

আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখবেন সেই বিষয়ের মূল শিরোনাম বা মেইন টাইটেল ই হচ্ছে কীওয়ার্ড। ধরেন আপনি ১০০০০ টাকার ভেতরে সবচেয়ে ভালো স্মার্টফোন কোনটি সেটি নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনার কীওয়ার্ড হতে পারেঃ

“১০ হাজার টাকার ভেতরে বেস্ট স্মার্টফোন”

সহজ কথায় মানুষ যা লিখে গুগলে সার্চ দিবে আপনার কন্টেন্ট এর বিষয়ে জানতে, সেটাই আপনার কীওয়ার্ড।

কীওয়ার্ড গবেষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

কীওয়ার্ড গবেষণা আপনার টার্গেট শ্রোতারা আসলে গুগলে অনুসন্ধান করছে এমন প্রশ্নের জন্য মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি সরবরাহ করে। এই প্রকৃত অনুসন্ধান শব্দগুলোতে আপনি যে অন্তর্দৃষ্টি পেতে পারেন তা কন্টেন্ট কৌশল এবং বৃহত্তর মার্কেটিং কৌশল অবহিত করতে সহায়তা করতে পারে।

কীওয়ার্ডের সাথে আরেকটা জিনিস বুঝতে হবে, সেটা হল এসইও(SEO)। এসইও মানে হল সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন।

এসইও কি?

সহজ কথায় বলতে গেলে লোকেরা যখন গুগল, বিং এবং অন্যান্য অনুসন্ধান ইঞ্জিনগুলিতে আপনার ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কিত পণ্য বা পরিষেবাগুলি অনুসন্ধান করে তখন এটির দৃশ্যমানতা বাড়ানোর জন্য আপনার সাইটের উন্নতি করার প্রক্রিয়াকে বলে এসইও।

অনুসন্ধানের ফলাফলগুলিতে আপনার পৃষ্ঠাগুলি যত ভাল দৃশ্যমান হবে ততই বিদ্যমান গ্রাহকদের আপনার ব্যবসায়ের প্রতি আকর্ষণ করার সম্ভাবনা তত বেশি।

5. কন্টেন্ট কৌশল

আপনার শ্রোতার সাথে কার্যকরভাবে জড়িত হওয়ার জন্য এবং প্রতিযোগিতার মার্কেটিংয়ের উদ্যোগগুলিকে কার্যকর করার জন্য, একটি বিস্তৃত কন্টেন্ট কৌশল পরিকল্পনা থাকতে হবে।

এই পরিকল্পনাটি আপনাকে কীভাবে আপনার মার্কেটিংয়ের কন্টেন্ট পরিচালনা করতে চান তা বোঝায় (যেমন আপনি কোথায় এবং কখন প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন)।

কন্টেন্ট কৌশলে যে যে বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত

  • আপনার কন্টেন্ট এর ফর্ম্যাটগুলি (অর্থাত্ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, নিবন্ধ, ইত্যাদি)
  • আপনি যে চ্যানেলগুলিতে প্রকাশ করবেন (যেমন আপনার ব্যবসায়ের ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক ইত্যাদি)
  • কীভাবে আপনি কন্টেন্ট  পরিচালনা করবেন (কারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টিং করবেন এবং গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময় করবেন?)
  • কন্টেন্ট নির্মাণ (প্রকৃতপক্ষে রচনাটি কে করবেন? আউটসোর্সিং করা হলে আপনি কোন এজেন্সি ব্যবহার করবেন?)
  • কন্টেন্ট এর কার্য সম্পাদন ( কন্টেন্ট কে কিভাবে রিভিউ করবে ?)
  • সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা আপনার কন্টেন্ট তৈরি এবং পোস্ট করার জন্য একটি কাঠামো সরবরাহ করে। এগুলি ব্যতীত আপনার কন্টেন্ট এর প্রচার ঝুঁকিপূর্ণ এবং অকার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কন্টেন্ট পরিকল্পনা

একবার আপনি আপনার লক্ষ্য, বিষয়, কন্টেন্ট ফর্ম্যাট সম্পর্কিত বিষয় এবং মার্কেটিং চ্যানেল সম্পর্কে পরিষ্কার হয়ে গেলে আপনার কন্টেন্ট এর ক্যালেন্ডারটি নিয়ে কাজ করতে পারেন।

কন্টেন্ট ক্যালেন্ডারে, কন্টেন্ট রাইন্টিং-

  • কে বা কারা করবেন?
  • একাধিক লেখক থাকলে, কে কোন অংশ লিখবে?
  • ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে বা আপনার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে কিভাবে ফরম্যাট করা হবে?
  • কন্টেন্ট এ কি কি ছবি/ভিডিও/অডিও যোগ করা হবে?
  • কন্টেন্ট এ কোন ভুলত্রুটি আছে কি না, তা কে বা কারা দেখবে?
  • ফাইনালি, কত দিনের মধ্যে কন্টেন্ট সম্পূর্ণ করতে হবে?

এই বিষয়গুলো ক্যালেন্ডারে নির্দিষ্ট করে নিলেই আপনার পরিকল্পনা সম্পূর্ণ হবে।

কোনও কন্টেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করার সময়, আপনার দলের প্রয়োজনের ভিত্তিতে আপনার ক্যালেন্ডারটি দেখতে কেমন হবে তা নির্ধারণ করতে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলি বিবেচনা করুন:

  • আপনি কতবার কন্টেন্ট প্রকাশ করবেন?
  • আপনি কি একাধিক ধরণের কন্টেন্ট প্রকাশ করবেন?
  • ক্যালেন্ডার অ্যাক্সেস করার জন্য কত লোকের প্রয়োজন?

এখন, যেকোন ধরণের কন্টেন্ট এরজন্য প্রযোজ্য সাধারণ লেখার নিয়মগুলিতে দেখা যাক।

কন্টেন্ট লেখা

যদি আপনি নিজে না লিখতে চান তাহলে আপনাকে এমন কোনও লেখক বা লেখকদের একটি দল খুঁজে পেতে চাইবেন যা আপনার ব্র্যান্ড এবং মার্কেটিংয়ের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবে।

সেরা কন্টেন্ট রাইটিং এর টিপস

কন্টেন্ট কে আকর্ষণীয় করার কিছু টিপসঃ

১) আকর্ষণীয় শিরোনাম চিন্তা করুন। কন্টেন্ট(content) এর টাইটেল এমনভাবে করতে হবে যাতে, পাঠক শিরোনাম পড়েই আপনার পুরো আর্টিকেল পড়তে আগ্রহী হবে।

২) বেশিরভাগ পাঠকরাই পুরো আর্টিকেল পড়বে কি না, সেটা নির্ধারণ করবে আপনার আর্টিকেলের প্রথম ২-৩টা লাইন পড়ে। তাই সূচনা ভালো করে লিখতে হবে।

৩) এক কন্টেন্টে একাধিক বিষয়ে লিখবেন না। কন্টেন্ট এর শিরোনামে যে টপিক থাকবে শুধু সে বিষয়ে লিখবেন।

৪) আপনার পুরো কন্টেন্টকে একটি গল্পের মাধ্যমে প্রকাশ করুন। কারণ আমরা সবাই গল্প শুনতে ভালবাসি।

গল্পে যেমন হিরো, ভিলেন, হিরোইন থাকে ঠিক সেভাবে আপনার কন্টেন্টে-

  • টপিকের সুবিধা-অসুবিধা আলোচনা করুন।
  • অসুবিধা কিভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিন।
  • টপিক নিয়ে আরো বিস্তারিত অন্য কোন ব্লগে থাকলে সেটার লিংক দিন।

৫) ডেটা ব্যবহার করুন। এটি আপনার কথায় বিশ্বাসযোগ্যতা যুক্ত করার একটি দুর্দান্ত উপায়। আপনি বিভিন্ন গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল চার্টের মাধ্যমে দেখাতে পারেন। তাহলে পাঠকরা আপনার কন্টেন্টে ভরসা পাবে।

৬) পুরানো কন্টেন্ট পুনর্নির্মাণ করুন। আপনার লেখা পুরনো কন্টেন্টকে আপডেট করুন।

৭) কল টু অ্যাকশন (CTA) ব্যবহার করুন। একটি সংক্ষিপ্ত, অ্যাকশন-ভিত্তিক বাক্যাংশ যুক্ত করুন যা আপনার গ্রাহকদের একটি বিশেষ উপায়ে কাজ করতে বাধ্য করে।

আপনার পণ্য কেনা বা কোনও নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করা কল টু একশনের উদাহরণ।

পরিশেষে, বানান, ব্যাকরণ এবং বিরামচিহ্ন ত্রুটিগুলি এড়িয়ে চলুন। পাঠযোগ্যতা এবং বিশ্বাস তৈরির জন্য ব্যাকরণ এবং বানানের গুরুত্ব ভুলে যাবেন না; দুর্দান্ত কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে এটি ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ।

যদি ইংরেজিতে কন্টেন্ট লিখে থাকেন তাহলে Grammarly এই সফটও্যায়ারটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে গ্রামারলি পেইড সেবা।

কিছু ফ্রি সফটওয়্যার ও আছে যারা ফ্রিতে আপনার লিখা ইংরেজি কন্টেন্ট এর গ্রামার চেক করে দিবে।

ফ্রি রাইটিং টুলসঃ

ProWritingAid.

Ginger.

Sapling.

WhiteSmoke.

PaperRater.

Reverso.

SentenceCheckup.

Hemingway App.

এগুলোর মধ্যে ProwritingAid এবং Ginger খুবই ভালো। আমরা এগুলো ব্যবহার করার পরামর্শ দিব।

সবশেষে কন্টেন্ট পাবলিশ করার পরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন। পাঠকের মন্তব্য দেখুন। যদি পাঠকের কাছে কন্টেন্ট গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে বুঝবেন আপনার কন্টেন্ট কোয়ালিটি ঠিক আছে।

আর যদি পাঠক কোন বিষয়ে অসন্তুষ্ট হয়, তাহলে সে বিষয়গুলো খুঁজে পরিবর্তন করুন।

FAQs

কন্টেন্ট কি? (Content)

কন্টেন্ট হল কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের তথ্যসহ তুলে ধরার মাধ্যম বা কন্টেন্ট হলো কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের তথ্য উপাত্ত কে বোধগম্য করার নমুনা। কনটেন্ট,ভিডিও কনটেন্ট, ইমেজ কনটেন্ট বেশি জনপ্রিয়।

কন্টেন্ট রাইটিং কি? (Content Writing)

কনটেন্ট রাইটিং হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ওয়েব কনটেন্ট লিখে থাকি। 

কীওয়ার্ড রিসার্চ কি? (Keyword Research)

আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখবেন সেই বিষয়ের মূল শিরোনাম বা মেইন টাইটেল ই হচ্ছে কীওয়ার্ড।

এসইও কি?(SEO)

এসইও (SEO) এর সম্পূর্ণ রূপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (search engine optimization)।  যা সার্চ ইঞ্জিনের কিছু সুনিয়ন্ত্রিত ও পরিকল্পিত নিয়ম/পদ্ধতি বা মেথড। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *