অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? (Affiliate marketing)

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অন্যের পণ্য নিজের ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য যেকোন মাধ্যমে প্রচার করে বিক্রি করা।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলিতে যোগদান করে, প্রচারের জন্য নামকরা অ্যাফিলিয়েট পণ্যগুলি সন্ধান করে এবং তারপরে সেগুলি তাদের ফলোয়ারদের সাথে শেয়ার করে। ফলোয়াররা মার্কেটারদের দেয়া লিংক থেকে পণ্য কিনলে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা সেখান থেকে কমিশন পান।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কীভাবে কাজ করে?

এফিলিয়েট মার্কেটিং/Affiliate Marketing মূলত যে সমস্ত কোম্পানি অফার করে থাকে তাদের অটো সফটওয়্যার থাকে। অটো সফটওয়্যার মাধ্যমে এফিলিয়েট বিক্রয়ের উপর বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটিং তারা কমিশন দিয়ে থাকে। কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান ভেদে সাপ্তাহিক, মাসিক, বা যে কোন সময় আপনার পেমেন্ট তুলতে পারবেন।

এটি মূলত একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বেশ কিছু পণ্য বা সেবা থাকে। সেবা বা পন্য আপনার ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়া, বা যে কোন ডিজিটাল মার্কেটিং করে বাড়িতে বসে কাজ করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে অ্যাফিলেয়ট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ২টি।

১) ব্লগিং এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা।

২) অ্যামাজন এসোসিয়েট (Amazon Associate) এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা।

এছাড়াও আরো শতশত অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রামের মাধ্যমেও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। তবে অ্যামাজন এসোসিয়েট বিগিনারদের জন্য খুবই ভাল প্রোগ্রাম।

ব্লগিং এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবেন? (How to do affiliate marketing through blogging?)

একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার 5 টি পদক্ষেপ

নিম্নলিখিত পাঁচটি (৫) স্টেপ ফলো করলেই আপনি একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারবেন।

  • একটি নিশ (Niche) বা টপিক বা বিষয় ঠিক করুন – আপনি কি বিক্রি করবেন?
  • কীভাবে ইনকাম বাড়ানো যায় – আপনার নিশের জন্য সঠিক প্রোগ্রামটি কীভাবে নির্বাচন করবেন এবং কমিশন কীভাবে কাজ করে তা কীভাবে বোঝবেন?
  • একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন – আপনার পণ্য বেচার একটি জায়গা বা মাধ্যম তৈরি করুন।
  • ভাল মানের কন্টেন্ট তৈরি করুন – এটি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের মাধ্যমে আপনার নিশের পণ্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে তৈরি করতে হবে।
  • র‍্য্যাংক এবং দর্শনার্থী পান – আপনার টার্গেট কাস্টমারদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য এসইও করার মাধ্যমে গুগলে র‍্য্যাংক করুন।

একটি নিশ ঠিক করুন

আপনার নিশ অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনার সাফল্যের অন্যতম নির্ধারক । কারণ আপনি যে বিষয়ে আপনার ব্লগে লেখালেখি করবেন সে বিষয়ে যদি আপনার দক্ষতা না থাকে তাহলে আপনি ব্যবসায় ভালো করতে পারবেন না। তাই যে বিষয়ে আপনি লেখালেখি করতে পারবেন বা অন্য মাধ্যমে কন্টেন্ট বানাতে পারবেন সে বিষয় বা নিশ নিয়ে আপনার ব্লগটি তৈরি করবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কিভাবে আয় বৃদ্ধি করবেন?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ভালো আয় করতে হলে প্রথমেই আপনাকে এমন সব নিশ বা পণ্য খুজতে হবে যেগুলোতে আপনি কমিশন ভালো পাবেন।

পণ্য বনাম কমিশন

অনেকেই বেশি মূল্যের পণ্যের মার্কেটিং করতে উঠেপড়ে লেগে যান। বেশি মূল্যের পণ্য হলেই যে বেশি কমিশন পাবেন এমনটা কিন্তু নয়।

প্রথমে দুটি পণ্যের মূল্য বিবেচনা করা যাক,

টিশার্ট: 200 ডলার

সানগ্লাস: 45 ডলার

ধরুন প্রতিটি বিক্রিতে এদের কমিশন এরকম:

টিশার্ট: 1%

সানগ্লাস: 5%

তার মানে আপনি একটা টিশার্ট বিক্রি করলে কমিশন পাবেন ২ ডলার। কিন্তু একটা সানগ্লাস বিক্রি করলে কমিশন পাবেন ২.২৫ ডলার।

তাহলে এখানে ২০০ ডলার মূল্যের টিশার্ট বিক্রি করার চেয়ে ৪৫ ডলারের সানগ্লাস বিক্রি করাটাই লাভজনক।

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করুন

কন্টেন্ট লেখার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ দরকার হবে। তবে আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া, যেমনঃ ফেসবুক, (Facebook), ইন্সটাগ্রাম, (Instagram) ইত্যাদির মাধ্যমে ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। তবে আমরা পরামর্শ দিব, একটি ব্লগ সাইট খুলার। ব্লগের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি কন্টেন্ট লিখতে পারবেন।

ব্লগ তৈরি করার জন্য আপনার কোডিং জানা লাগবে না। ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে খুব সহজেই ব্লগ বানিয়ে ফেলতে পারবেন। মাত্র ২০ মিনিটে কিভাবে ব্লগ তৈরি করবেন তা দেখে নিত পারেন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে।

ভাল মানের বা কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি করুন (How to make Quality Content?)[/heading]

 ভাল কন্টেন্ট কী?

ভাল কন্টেন্ট হল অরিজিনাল, কার্যক্ষম (মানুষের কাজে আসে এমন কন্টেন্ট) এবং একটি প্রশ্নের উত্তর দেয়। ভাল আর্টিকেল সুন্দরভাবে গোছানো, সংক্ষিপ্ত থাকে।

ব্লগারদের সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন থাকে, কিভাবে ভাল মানের কন্টেন্ট লিখব/বানাব?

নিচের স্টেপগুলো ফলো করলে সহজেই ভাল মানের কন্টেন্ট বানাতে পারবেন।

  • আপনার কন্টেন্ট কি আসল? (Is your content original?)
  • আপনার আর্টিকেল কি কার্যক্ষম? (Is your content actionable?)
  • আপনার কন্টেন্ট কি কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়? (Does your content answer a question?)

আপনার কন্টেন্ট কি আসল? (Is your content original?)

আপনি যদি অন্যের কন্টেন্ট কপি করে ব্লগ চালাবেন ভাবেন, তাহলে ভুল পথে এগোচ্ছেন। কপি করা কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিন পছন্দ করে না। তাই মানুষ আপনার নিশের সাথে সম্পর্কিত প্রশ্ন লিখে সার্চ দিবে তখন আপনার ব্লগ থাকবে সবার নিচে। ফলে আপনি কোন ভিজিটরই পাবেন না আপনার সাইটে।

তাই আপনার কন্টেন্ট যাতে কপি পেস্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দরকার হলে আপনি কন্টেন্ট রাইটার (Content Writer) ভাড়া করতে পারেন। তারা নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে আপনাকে কন্টেন্ট লিখে দিবে। শুরুর দিকে আপনার যদি বাজেট না থাকে তাহলে আমাদের পরামর্শ থাকবে নিজে নিজেই কন্টেন্ট লিখুন।

নিজে থেকে কিভাবে কন্টেন্ট লিখবেন?

প্রথমে যে বিষয়ে কন্টেন্ট লিখবেন সে বিষয়ে অনলাইনে সার্চ করে ভাল ভাল আর্টিকেল পড়ে নিন।

তারপর সেগুলো থেকে আইডিয়া নোট করে নিজের মত করে লিখবেন।

আপনার লেখার সাথে ছবি, অডিও, ভিডিও যোগ করবেন।

*নিঞ্জা টেকনিক* আপনি যদি বাংলায় ব্লগ শুরু করেন তাহলে আপনার নিশ রিলেটেড ইংরেজিতে যে ব্লগগুলা আছে সেগুলোর কন্টেন্ট গুগল ট্রান্সলেশন (Google Translation) এর মাধ্যমে ইংরেজি থেকে বাংলায় নিয়ে নিবেন। তারপরে সেই বাংলা টেক্সটে প্রয়োজনীয় এডিট করে ব্লগে পাবলিশ করতে পারেন।

আপনার কন্টেন্ট কি কার্যক্ষম?

আপনার কন্টেন্টের লক্ষ্য কি? আপনার শ্রোতাদের সর্বদা পরবর্তী পদক্ষেপে চালিত করা উচিত –একটা পোস্ট থেকে সে অন্য ব্লগ পোস্টটি দেখছে, নিউজলেটারের জন্য সাইন আপ করতে পারছে। এই সুবিধাগুলো রাখা উচিত।

ভাল কন্টেন্টটি কার্যকর হয় তখন, যখন এটির দৃশ্য কোন ব্যক্তিকে কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করে। আপনার কন্টেন্ট যাতে মানুষের কাজে লাগে সে ব্যাপার নজর দিন।

  • আপনার কন্টেন্টকে স্টেপ বাই স্টেপে ভাগ করুন।
  • আর্টিকেলের শুরুতেই একটি সূচিপত্র যোগ করুন।
  • আর্টিকেলের মধ্যে আপনার ব্লগের অন্য পোস্ট লিংক-আপ করুন।
  • কেনো আপনার নিশ মানুষ কিনবে? সেটার উত্তর দিন। সুবিধা-অসুবিধা আলোচনা করুন।
  • ফাইনালি, কিভাবে কোথা থেকে একজন ইউজার আপনার নিশ কিনতে পারে তা ব্যাখা করুন এবং লিংকে ক্লিক করার জন্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে ইনভেস্ট ছাড়াই অনলাইনে টাকা আয় করার উপায় 

আপনার কন্টেন্ট কি কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়?

খেয়াল করে দেখবেন যে যখনই আপনি কোন কিছু সার্চ করেন, আপনি গুগলকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। যেমনঃ ধরুন আপনি একটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ বানাবেন। আপনি জানেন না, কিভাবে বানাতে হয়।

তো আপনি গুগলে সার্চ করলেন, “কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ বানাব?” এখন গুগল আপনাকে ঐ সব আর্টিকেল দেখাবে যে আর্টিকেলে কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ বানানো যায় সেটা বিস্তারিতভাবে বলা আছে। তাই যখনই কোন টপিকে লিখবেন, সেখানে ঐ টপিক নিয়ে ইউজারদের যত ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে সেগুলোর উত্তর সুন্দরভাবে দিবেন।

অ্যামাজন এসোসিয়েট (Amazon Associate) এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা।

অ্যামাজন এসোসিয়েট এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চাইলে প্রথমেই (Amazon Associate) একটি একাউন্ট খুলে নিতে হবে।

https://affiliate-program.amazon.com/  এই লিংকে ক্লিক করুন।

এখন আপনাকে সাইন আপ (Sign Up) মানে একাউন্ট খুলতে হবে। “Sign Up” এ ক্লিক করুন।

পরবর্তী স্ক্রিনে “Create a new account” এ ক্লিক করুন।

তারপর আপনার ইমেইল এড্রেস ও পাসওয়ার্ড দিয়ে Sign Up এ ক্লিক করুন। আপনার ইমেইলে একটি কোড যাবে সেটি দিন। পরে আপনার মোবাইল নাম্বার এড করতে বলবে। সেখানে মোবাইল নাম্বার দিন। তারপরে মোবাইলে একটি কোড যাবে। সেটি বক্সে দিয়ে Enter চাপুন।

এখন পরবর্তী স্ক্রিনে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাওয়া হবে। সেগুলো ঠিকভাবে পূরণ করুন।

পরবর্তী স্ক্রিনে আপনার Website & Mobile app(থাকলে) এর সম্পর্কে জানতে চাইবে। যে ওয়েবসাইটে আপনি প্রমোশন করবেন সেটার এড্রেস দিবেন। আর যদি আপনার কোন মোবাইল এপ থাকে, যেটাতে আপনি প্রমোশন করবেন তাহলে সেটা দিতে পারেন। না থাকলে সমস্যা নেই।

পরের ধাপে আপনার এসোসিয়েট আইডি কোন ক্যাটাগরির হবে সেটা সিলেক্ট করতে হবে। ধরুন, আপনি বইয়ের রিভিউ নিয়ে সাইট বানাবেন। তাহলে সেখান থেকে “Books” সিলেক্ট করবেন। তারপরে আপনার Website সম্পর্কে কিছু লিখতে বলবে। সেখানে আপনার ওয়েবসাইট কি নিয়ে সেটি বিস্তারিত লিখবেন।

তারপরে, আপনার ওয়েবসাইটে আপনি কিভাবে ট্রাফিক আনবেন সেগুলো উল্লেখ করতে হবে। যদি ইমেইলের মাধ্যমে আনেন তাহলে “Email” অপশনে টিক চিহ্ন দিবেন। ফেইসবুক এর মাধ্যমে ব্লগে ট্রাফিক আনলে “Social Networks” এ টিক চিহ্ন দিবেন।

সবকিছু ঠিকভাবে সম্পন্ন করলে আপনাকে অভিবাদন জানিয়ে একটি ইউনিক অ্যামাজন এসোসিয়েট আইডি (Amazon Associate ID) দিবে।

ব্যস আপনার একাউন্ট হয়ে গেল! এখন আপনাকে পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট করতে হবে। আপনি আমেরিকার নাগরিক নাহলে gift card অথবা check deposit এর মাধ্যমে টাকা নিতে পারবেন।

গিফট কার্ডের মাধ্যমে টাকা উঠাতে হলে আপনার আয় মিনিমাম ১০ ডলার হতে হবে।

আর চেকের মাধ্যমে নিতে চাইলে মিনিমাম ১০০ ডলার ইনকাম করতে হবে। এরপরে তারা আপনাকে টাকা পাঠিয়ে দিবে।

আমাজন অ্যাফিলিয়েট লিংক কিভাবে জেনারেট করবেন?

আপনার একাউন্ট হয়ে গেলে https://affiliate-program.amazon.com/  এই লিংকে যেকোন প্রোডাক্ট সার্চ দিলে, প্রোডাক্ট এর নামের পাশে “Get Link” বলে একটা বাটন পাবেন। এখানে ক্লিক করলেই ওই পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক পেয়ে যাবেন।

আপনি চাইলে প্রতিটি লিংক কাস্টমাইজ করতে পারেন।

কিভাবে অ্যামাজন এফিলিয়েট লিংক কাস্টমাইজেশন করবেন?

টেক্সট যোগ করাঃ যেকোন পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংকে আপনি আলাদা টেক্সট যোগ করতে পারেন। যেমনঃ “www.amazon-associate.com/watch/005” এই লিংক আপনি চাইলে “www.amazon-associate.com/watch-red-color” এভাবে ও দিতে পারবেন।

ছবি যোগ করাঃ লিংকের সাথে প্রিভিউ ইমেজ যোগ করতে পারবেন। তাহলে যে লিংক দেখবে সে লিংকের নিচে ছোট করে একটা ছবিও দেখতে পারবে।

টাইটেল কালার করাঃ আপনি চাইলে ছবিতে পণ্যের টাইটেল এর রঙ (কালার) পরিবর্তন করতে পারবেন।

প্রতিটি ফিচারই Get Link এ ক্লিক এর পরেই আপনার সামনে চলে আসবে। অপশন গুলো থেকে ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করে নিবেন।

সবশেষে যে লিংকটি পাবেন সেটা ব্যবহার করবেন আপনার প্রমোশনের জন্য। আপনার লিংক ব্যবহার করে কেউ সেই পণ্যটি কিনলে আপনি নির্দিষ্ট কমিশন পেয়ে যাবেন।

আমাজন ছাড়াও আরো হাজারটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপায় আছে। তবে আপনি যদি এই নৌকার প্রথম যাত্রী হন, তবে আমাদের পরামর্শ থাকবে আমাজন দিয়েই নদীতে নামুন। কারণ আমাজন একটি বহুল প্রচলিত একটি ই-কমার্স। প্রতিদিন ১৬ লাখের ও বেশি পণ্য আমাজন বিক্রি করে। বুঝতেই পারছেন লাভের অংকটা কেমন হবে।

আমাজন ছাড়াও যে সাইটগুলো থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ

  1. Commission Junction (CJ) Affiliate Program
  2. ShareASale Affiliate Program
  3. ClickBank Affiliate Program
  4. Rakuten Advertising Affiliate Program
  5. Etsy Affiliate Program
  6. eBay Partner Network Affiliate Program
  7. Fiverr Affiliate Program

এগুলোর যেকোন একটাতেই আপনি কাজ করতে পারবেন। তবে এগুলোতে সময় লাগতে পারে একটু বেশি। কিন্তু ভালো মানের কন্টেন্ট আর কার্যকরী মার্কেটিং করতে পারলে যেকোন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই সফলতা পাওয়া সম্ভব।

আজকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম নিয়ে এ পর্যন্তই।

FAQs

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? (Affiliate Marekting)

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অন্যের পণ্য নিজের ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য যেকোন মাধ্যমে প্রচার করে বিক্রি করা।

নিশ কি ? (Niche)

কোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইটে লেখালেখি করার জন্য প্রত্যকটি ক্যাটাগরি কে আলাদা আলাদা ভাবে একটি নিশ বা টপিক বলে।

ব্লগ কি ? (Blog)

নিজের প্রাত্যহিক জীবনের কিছু ঘটনা অথবা কোন একটি নির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে লিখা বা কোন
একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ধারাবাহিক ভাবে লিখার মাধ্যমে ইন্টারনেটে সবার সাথে শেয়ার করা কে বলা হয় ব্লগিং। যেসব ওয়েবসাইটে এই লিখা গুলো প্রকাশ করা হয় তাকে বলে ব্লগ

কন্টেন্ট রাইটিং কি? (Content Writing)

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্যে ওয়েব কন্টেন্ট পরিকল্পনা, রচনা, সম্পাদনা ও লেখার নামই কন্টেন্ট রাইটিং।

এসইও কি ? (SEO)

এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যা ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিকের পরিমাণ এবং গুণগত মান বৃদ্ধি করে” ।