অনলাইন ইনকাম (Online Income) : ২০২৪ সালে অনলাইনে আয় করার ১০টি উপায়

অনলাইন ইনকাম (Online Income)

বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকার কতজন জানেন? প্রতি একশ (১০০) জন ডিগ্রী পাশকারীর ৪৭ জনই বেকার!

পড়াশোনা জানা ছেলে-মেয়েরাই যদি বেকার হয় তাহলে যারা পড়াশোনা জানেনা তাদের অবস্থাটা কেমন হবে একবার ভেবে দেখুন।

নিজের পায়ে দাঁড়াতে একটার পর একটা ইন্টারভিউ দেয়া বাদ দিন। অনলাইনে ঘরে বসেই টাকা আয় করা শিখুন।

আজকাল ফেসবুকে গেলেই সবার প্রশ্ন থাকে,

কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করব? (How to online income)

অনলাইন ইনকামের সহজ উপায় কি কি? (What are the ways for online income bd)

পুরো লেখাটি পড়লে অনলাইন ইনকাম(online income) নিয়ে আপনাদের সবকিছু জানা হয়ে যাবে।

অনলাইন ইনকাম কি?

কোন অফিসে না গিয়ে বাসায়, নিজের ঘরে বসে টাকা আয় করাকে অনলাইন ইনকাম বলে।

অনলাইনে ইনকাম করতে কি কি লাগে? 

  • একটা কম্পিউটার।
  • কম্পিউটার না থাকলে একটা স্মার্টফোন।
  • মোবাইলে বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা।

এই ৩টি জিনিস থাকলে অনলাইনে ঘরে বসেই হাজার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

অনলাইন ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায়

 . ফ্রিলান্সিং করে অনলাইনে আয়ঃ 

অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। অনলাইনে যে পদ্ধতিতে সবথেকে বেশি মানুষ রোজগার করে সেটি হলো ফ্রিলান্সিং। বাংলদেশের বেকারত্ব কমাতে এই খাতটি অনেক বড় ভুমিকা পালন করছে এবং সাথে সাথে অনেক দক্ষ মানুষ এই খাতে কাজ করে আমাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করছে ।

বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয় কয়েকটি ওয়েবসাইট। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। যাহোক, সবার প্রথমে এখানে আপনার দরকার একটি নির্দিষ্ট বিষয় দক্ষতা। এটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং (Graphics Design), হতে পারে ফটো এডিটিং (Photo Editing), হতে পারে ওয়েব ডিজাইনিং (Web Design), ওয়েব সাইট মেকিং (Website Making), কপি রাইটিং (Copywriting), কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing), লোগো ডিজাইন (Logo Design), ইত্যাদি।

কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়।
কয়েকটি ওয়েবাসাইটে কাজের দক্ষতার বিবরণ জানাতে হয়, যাতে ক্রেতা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। অনলাইন ইনকাম সাইটগুলো হল, (Online Income Site): 

ফাইভার ডটকম,

আপওয়ার্ক ডটকম,

ফ্রিল্যান্সার ডটকম

ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়।

ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় এসব সাইট থেকে। মনে রাখতে হবে, কাজ শেষ করার পর কাজদাতার অনুমোদন পেলে তবেই অর্থ ছাড় দেবেন তিনি। এ ক্ষেত্রে কাজের মানের ওপর কাজদাতা রেটিং দিতে পারেন। গ্রাহকের পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে দিতে হয় ফ্রিল্যান্সারকে। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ আনা যায়।

ফ্রিলান্সিং কিভাবে শিখব? (How to learn freelancing free?) 

এই ফ্রি কোর্সটিতে রেজিস্ট্রেশন করে সহজেই ফ্রিলান্সিং শিখে নিতে পারবেন।

Freelancing Course link: এখানে ক্লিক করুন

কোর্সটি একেবারেই ফ্রি!

২. ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

ব্লগিং হলো অনলাইন থেকে ইনকাম করার সহজ একটা উপায়। কিন্তু এর জন্য প্রধান যেটা সেটা হলো লেখা। আপনি যদি লিখতে ভালোবাসেন, কোন জিনিস এর ব্যাপারে আপনার যদি বিশেষ ঞ্জ্যান আছে তাহলে এখনি আপনার ব্লগিং শুরু করা উচিত। ব্লগিং সহজ এই কারণে কারন এর জন্য আপনাকে ইউটিউব এর মতন ৪০০০ ঘন্টা ভিউ বা ১০০০ সাবস্ক্রাইব লাগবে না। ৩০-৩২ টা ভালো আর্টিকেল লিখে আপনি গুগল এডসেন্স পেয়ে যাবেন।

একজন ব্লগার নানা উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করে থাকেন। তবে এখানে আমি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রধান ৩টি উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

গুগল এডসেন্স থেকে আয় (Google Adsense theke kivabe income korbo)

গুগল এডসেন্স হলো একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে টাকা আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় সহজ এবং বিশ্বাসযোগ্য উপায়। অ্যাডসেন্স গুগোল এর মাধ্যমে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ডিসপ্লে করে থাকে। যার মাধ্যমে একজন ব্লগার তার ওয়েবসাইট থেকে ভালো টাকা আয় করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় (Affiliated Marketing kore kivabe tk income korbo)

ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে গুগল এডসেন্সের থেকেও বেশি টাকা আয় করা যায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অন্যের পণ্য নিজের ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য যেকোন মাধ্যমে প্রচার করে বিক্রি করা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলিতে যোগদান করে, প্রচারের জন্য নামকরা অ্যাফিলিয়েট অ্যাফিলিয়েট পণ্যগুলি সন্ধান করে এবং তারপরে সেগুলি তাদের ফলোয়ারদের সাথে শেয়ার করে। ফলোয়াররা মার্কেটারদের দেয়া লিংক থেকে পণ্য কিনলে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা সেখান থেকে কমিশন পান।

স্পন্সর্শিপ থেকে আয়

ওয়েবসাইট থেকে আয় করার জন্য আরেকটি সেরা উপায় হচ্ছে স্পন্সর্শিপ। যখন কোন একটি কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট প্রমোট অথবা সার্ভিস সম্পর্কে গ্রাহকদের কে জানাতে চায়, সে ক্ষেত্রে ওই কোম্পানিগুলো অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর মত করে নির্দৃষ্ট জনপ্রিয় ওয়েবসাইটকে বেছে নেয়। এক্ষেত্রে কোম্পানি এবং ওয়েবসাইট ওনার দুজনের মধ্যে পারস্পরিক চুক্তির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ওই কোম্পানি দের কাছ থেকে নেয়া হয়। মূলত এই পদ্ধতিকে বলা হয় স্পনসর্শিপ।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি আরটিভি চ্যানেলে গ্রামীনফোনসহ বিভিন্ন কোম্পানির এডভারটাইজমেন্ট দেখে থাকবেন। এক্ষেত্রে গ্রামীণফোন কম্পানি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা পে করার মাধ্যমে আরটিভিকে দিয়ে তাদের সার্ভিস সমূহের তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটি হচ্ছে স্পন্সর্শিপ।

ব্লগিং কিভাবে শিখব? (How to learn blogging?)

একেবারে ফ্রিতে বেস্ট ব্লগিং সাইট বানাতে (best blogging site) আমাদের এই আর্টিকেল পড়তে পারেন।

৩. ড্রপশিপিং (Dropshipping) এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার উপায়

ড্রপশিপিং (Dropshipping) অনলাইন ব্যবসার অন্তর্গত একটি কাজ যার মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

চলুন প্রথমেই জেনে নেই ড্রপশিপিং (Dropshipping) কি?

সোজা কথায় আপনার নিজের স্টোরে কোন প্রোডাক্টের ইনফো রাখলেন এরপর কাস্টমার আপনার স্টোরে ঢুকে সেই প্রোডাক্টটি কিনতে অর্ডার করল এবার আপনি একজন সাপ্লায়ারের নিকট থেকে উক্ত পন্যটি কিনে তা আপনার কাস্টমারের নিকট পাঠিয়ে দিলেন এই প্রসেসটাই ড্রপশিপিং। এবার আসি লাভের কথায়, ধরুন পন্যটি আপনার স্টোরে আপনি $৫০ এ বিক্রয় করতে চাচ্ছেন কিন্তু প্রোডাক্টটির আসল দাম $৩০ এবং কাস্টমার $৫০ দামেই প্রোডাক্টটি কিনবে আপনার স্টোর থেকে তাহলে আপনার লাভ কত হল? হুমম $২০, এটাই আপনার লাভ।

আরো একটা উদাহরন দিয়ে বুঝালে আপনি খুব সহজেই বুঝে যাবেন।

মনে করেন, আপনার এলাকায় পরিচিত একজন কোনো একটা পন্য তৈরি করে সেটা বাজারে ৫০০ টাকায় বিক্রি করে। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখলেন যে এই পন্যটিই শহরে বড় বড় মার্কেটে অথবা কোনো ই-কমার্স সাইটে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এরকম কিন্তু সচরাচর আমাদের দেশে সবসময় হয়েই চলেছে। কোনো একটা সবজি কৃষকদের থেকে ৫ টাকা কেজি মূল্যে কিনে বড় বড় বাজারে ওইগুলো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তো এক্ষেত্রে আপনি নিজেই বড় একটি ই-কমার্স (E-Commerce) সাইটে প্রোফাইল খুলে ওই পন্যটি বিক্রি করতে পারেন। আপনি আপনার এলাকার যে উৎপাদনকারী আছে তার কাছে থেকে পণ্য টা ৫০০ টাকায় কিনে সেটি আপনার প্রোফাইলে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।

এতে একটি পন্যেই ৯০০ টাকা লাভ করতে পারছেন। অথবা আপনি যদি ১২০০ টাকায় বিক্রি করেন তাতেও আপনার ৭০০ টাকা লাভ থেকে যাচ্ছে। এটিই মুলত ড্রপশিপিং (Dropshipping)। আপনার এলাকায় যদি এরকম কোনো সুযোগ থেকে থাকে আপনার অবশ্যই উচিৎ সুযোগটি কাজে লাগানো।

ড্রপশিপিংয়ের প্রক্রিয়াটি খুব সহজ। এটিতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

  • খুচরা বিক্রেতা তার ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে চায় এমন পণ্যগুলি আপলোড করে।
  • গ্রাহকরা ওয়েবসাইটে যান, পণ্যগুলি পছন্দ করেন এবং একটি অর্ডার দেন।
  • খুচরা বিক্রেতা অর্ডার গ্রহণ করে এবং সরবরাহকারীকে সেই অর্ডার পাস করে দেয়।
  • তৃতীয় পক্ষের সরবরাহকারী তারপরে পণ্যগুলি প্যাক করে এবং এটি অনলাইনের স্টোরের লেবেল এবং ব্র্যান্ডিং দিয়ে চালিত করে।

ড্রপশিপিং (Dropshipping) কিভাবে শিখব?

এই ফ্রি কোর্সটিতে রেজিস্ট্রেশন করে সহজেই ড্রপশিপিং শিখে নিতে পারবেন।

Dropshipping Course link: এখানে ক্লিক করুন

কোর্সটি একেবারেই ফ্রি!

৪। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম) এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন আর শুধু বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলো কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। Social media marketing এর নিয়ম বা করা অনেক সহজ। এখানে কেবল আপনাকে কিছু প্লাটফর্ম বেছে নিতে হবে, যেগুলোতে অনেক বেশি পরামানে মানুষরা এক্টিভ থাকে। যেমন- ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম।

এবার মার্কেটিং বা প্রচার করার আগে আপনাকে ব্রান্ড বা ব্যবসার জন্য একটি পেজ, গুরুপ তৈরি করতে হবে। এটা আপনি সম্পর্ন ফ্রিতে তৈরি করতে পারবেন। এবার page বা group তৈরি করার পরে আপনার লক্ষ্য থাকবে সেখানে প্রচুর পরিমানে লাইক (Like) বা ফলোয়ার্স (Followers) সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

মনে রাখবেন, আপনার পেজে যত বেশি পরিমানে লাইক বা ফলোয়ার্স থাকবে ততো বেশি পরিমাণ জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। এবার নিজের পেজে ব্যবসার সাথে জড়িত পণ্য গুলো পেজে পাবলিশ করবেন। এতে পেজে থাকা ফলোয়ার্সরা আপনার পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে এবং ফ্রিতে ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ড বা ব্যবসার মার্কেটিং হতে থাকবে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পরিকল্পকদের প্রচুর অর্থ দেওয়া হয় তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করার জন্য। অনলাইনে গ্রাহক টানা, প্রচার করার জন্য অবশ্য সৃজনশীলতা দরকার। বিভিন্ন পোস্ট তৈরি, ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ করে তা ভাইরাল করতে পারলে ভালো অর্থ আসে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে দক্ষ হওয়া জরুরি।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing) কিভাবে শিখব?

এই ফ্রি কোর্সটিতে রেজিস্ট্রেশন করে সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখে নিতে পারবেন।

ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোর্স লিংক: এখানে ক্লিক করুন

কোর্সটি একেবারেই ফ্রি!

৫. ডাটা এন্ট্রির (Data Entry) মাধ্যমে অনলাইনে আয়

অনলাইনে সহজ কাজগুলোর একটি হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি (Data Entry)। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আয় খুব কম। তবে এ ধরনের কাজ অটোমেশনের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায়। যাঁদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তাঁরা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ রয়েছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ডাটা এন্ট্রির কাজ দেয়। এর মধ্যে একটি হলো ফাইভার

ফাইভারে নিজের নামে একাউন্ট করে কাজ খুঁজে নেওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০-২০০ কোম্পানি ফাইভারে ডাটা এন্ট্রির কাজ দেয়।

আপনি, আপনার দক্ষতা দেখিয়ে সেখান থেকে কাজ নিয়ে নিতে পারেন। এর মাধ্যমে মাস শেষে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।

তবে যাঁদের কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, তাঁরা সহজে কাজ পান এবং দ্রুত আয় বাড়াতে পারেন।

ডাটা এন্ট্রি কিভাবে শিখব? (How to learn data entry?) 

এই ফ্রি কোর্সটিতে রেজিস্ট্রেশন করে সহজেই ডাটা এন্ট্রি শিখে নিতে পারবেন।

ফ্রি ডাটা এন্ট্রি কোর্স লিংকঃ এখানে ক্লিক করুন

কোর্সটি একেবারেই ফ্রি!

৬. ইউটিউভ (Youtube) এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার উপায়

বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ইউটিউবার আছে। এদের কারো কারো মাসের ইনকাম ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আপনিও কিন্তু চাইলেই ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন। যাঁরা ব্লগ লিখে আয় করতে স্বচ্ছন্দ নন, তাঁরা ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে ভিডিও থেকে আয় করতে পারেন। এ জন্য অবশ্য সৃজনশীল আর ভালো সম্পাদনা জানতে হবে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। আপনার চ্যানেল কোন ক্যাটাগরির এবং তাতে কোন ধরনের ভিডিও রাখবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখুন।

এই ভিডিও বানাতে আপনার ক্যামেরা না থাকলেও চলবে। প্রথমে অনেক বড় বড় ইউটিউবার-ই মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে, শুরু করে তাদের ইউটিউব যাত্রা। তারপরে সফল হওয়ার পরে এখন তারা দামি দামি গেজেট ব্যবহার করে।

যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়ে ভিডিও না রাখলে মানুষ তা দেখবে না। ভিডিও না দেখলে আয় হবে না। বিষয়টি অনেকটাই ব্লগের মতো। তবে এ ক্ষেত্রে কনটেন্ট হচ্ছে ভিডিও। এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে এবং ন্যূনতম ৪ হাজার ভিউ টাইম হয়ে গেলে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর পরে প্রতিটা ভিডিওতে মনিটাইজেশন একটিভেট করে নিলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।

৭. কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

যাঁরা লেখালেখিতে ভালো এবং একাধিক ভাষায় সাবলীল লিখতে পারেন, তাঁদের কাজের জন্য বসে থাকতে হয় না। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করে বা লিখে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।

কন্টেন্ট রাইটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। তবে কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে আপনাকে জানতে হবে যে,

কন্টেন্ট কত প্রকার?

সাধারণত কন্টেন্ট হচ্ছে ৪ প্রকার।

  • অডিও কন্টেন্ট
  • ভিডিও কন্টেন্ট
  • লিখিত কন্টেন্ট
  • ছবি কন্টেন্ট

আপনি এখন যে বিষয়টি পড়ছেন সেটিই হচ্ছে লিখিত কন্টেন্ট বা কন্টেন্ট রাইটিং। অন্যদিকে আপনি এই লিখিত কনটেন্টের পাশাপাশি ছবিও দেখতে পাবেন। আর ইন্টারনেটে যতসব ছবি দেখতে পাবেন, সেগুলি হচ্ছে ছবি বা ইমেজ কন্টেন্ট। ঠিক একইভাবে যতরকম অডিও এবং ভিডিও রয়েছে সেগুলো হচ্ছে অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট।

কন্টেন্ট রাইটিং কয় ধরনের হয়?

কন্টেন্ট রাইটিং বহু রকমের হতে পারে। উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:

1. সিভি বা রিজিউম রাইটিং

2. নিউজ কন্টেন্ট রাইটিং

3. ওয়েব কন্টেন্ট রাইটিং

4. এস ই ও কন্টেন্ট রাইটিং

5. ব্লগ রাইটিং

6. অ্যাফিলিয়েট কন্টেন্ট রাইটিং

7. ই-বুক রাইটিং

8. টেকনিক্যাল কন্টেন্ট রাইটিং

9. স্ক্রিপ রাইটিং

10. কোম্পানির নিউজ লেটার রাইটিং

11. ট্রান্সলেশন

12. সামারাইজেশন রাইটিং

13. ট্রান্সক্রিপশন বা অডিও ও ভিডিও থেকে টেক্সট রাইটিং

14. প্রেস রিলিজ রাইটিং

15. প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটিং

16. একাডেমিক কন্টেন্ট রাইটিং

17. প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশান রাইটিং

18. শর্ট আর্টিকেল রাইটিং বা স্নিপেট রাইটিং

19. প্রুফরিডিং ও এডিটিং

20. রি-রাইটিং

21. কোম্পানির ই-মেইল রাইটিং

22. কোন বই বা হার্ড কপি থেকে সফট কপি রাইটিং

23. কোম্পানির অ্যাড বা ব্রশিউর রাইটিং

24. পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশান রাইটিং ইত্যাদি

যেকোন এক ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং এ আপনি দক্ষ হতে পারলে প্রতি মাসে ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর্টিকেল লেখার মানের ওপর ভিত্তি করে আয় আসে। কাজদাতা নির্দিষ্ট নীতি মেনে লেখার জন্য বলতে পারেন। নির্দিষ্ট বিষয় বা নিশ ধরে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারলে আয়ের ধারা বেড়ে যায়।

কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) কিভাবে শিখব? (Kivabe content writing shikbo?)

কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য কন্টেন্ট গবেষণা ও কন্টেন্ট পরিকল্পনা করে তারপর লেখা শুরু করা উচিচ। কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে আমাদের স্টেপ বাই স্টেপ আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

৮. অনুবাদ (Translation) করে অনলাইনে আয় করার উপায়

আপনি ইংরেজিতে ভালো হলে ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে, পত্রিকায় বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করে টাকা আয় করা যায়।

ইংরেজির পাশাপাশি অন্য কোনো ভাষা ভালোভাবে জানা থাকলে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে বিভিন্ন ডকুমেন্ট অনুবাদ করে আয় করতে পারেন। যাঁদের স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি, জার্মানসহ অন্যান্য ভাষা জানা আছে এবং এগুলো থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ বা ইংরেজি থেকে এসব ভাষায় অনুবাদ করতে পারলে ভালো আয় করতে পারবেন। অনেক সময় কাজদাতারা নিজে সময়ের অভাবে অনুবাদের কাজ ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে নেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে এ ধরনের কাজ পাবেন।

অনুবাদ (English Translation) কিভাবে শিখব?

এই ফ্রি কোর্সটিতে রেজিস্ট্রেশন করে সহজেই অনুবাদ শিখে নিতে পারবেন।

ফ্রি ইংরেজি অনুবাদ শেখার কোর্স লিংকঃ এখানে ক্লিক করুন

কোর্সটি একেবারেই ফ্রি!

৯. অনলাইনে টিউশনি করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সাল থেকে প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ হয়ে গেছিল। এই সুযোগে অনলাইনে জুম(zoom), গুগল মিট(Google Meet) এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ানো সম্ভব। টেন মিনিট স্কুল এভাবেই প্রতি মাসে ১০ লাখের ও বেশি টাকা ইনকাম করছে।

কোনো বিষয়ে যদি আপনার পারদর্শিতা থাকে, তবে অনলাইনে সে বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারেন। অনলাইন টিউটরদের এখন চাহিদা বাড়ছে। সব বয়সী শিক্ষার্থীদের আপনি শিক্ষা দিতে পারবেন। এখানে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদেরও পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন টিউশনির সুযোগ রয়েছে। সেখানে সুবিধামতো সময়ে পড়াতে পারেন ছাত্র। এসব সাইটে নিজের দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। একবার নির্বাচিত হয়ে গেলে ওয়েবিনার পরিচালক হিসেবে অনলাইন সেশন পরিচালনা করতে পারেন। দক্ষতা বাড়লে এ ক্ষেত্র থেকে অনেক আয় করার সুযোগ আছে।

১০. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) করে আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) বর্তমানে সারা বিশ্বেই অনেক জনপ্রিয় একটি অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এর সংখ্যা বাড়ছে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল (best affiliate marketing site) আমাজন.কম। সহজেই আপনি আমাজন ওয়েবসাইটের যেকোন পণ্য ফেসবুক পেজ বা আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। পণ্য আপনাকে দিতে হবে না, ডেলিভারী ও আপনি দিবেন না। শুধু একটি লিংক শেয়ার করবেন। লিংকে ক্লিক করে কেউ পণ্য কিনলে আপনি কমিশন পাবেন।

এটি অনেক সহজ একটি মাধ্যম। কিন্তু সাধারন মানুষের অনেকেরই এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারনা না থাকার কারনে এই কাজে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করছেনা। আসুন বিষয়টা খুব সহজে বুঝে নেই।

বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ই-কমার্স (E-Commerce) সাইট রয়েছে। এদের ভেতরে অনেকগুলো আবার সারা বিশ্বেই পন্য ডেলিভারি দিয়ে থাকে। এইসব ই-কমার্স (E-Commerce) সাইটে প্রত্যেকটাতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) নামে একটি সেকশন রয়েছে।

আপনি সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে খুব সহজেই তাদের মেম্বার হয়ে যেতে পারেন। তারপর আপনার একটা গ্রুপ তৈরি করতে হবে বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে। এরকম গ্রুপ আমাদের প্রতিটি মানুষেরই আছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে।

এখন ওই নির্দিষ্ট ই-কমার্স (E-Commerce) সাইট থেকে আপনি বিভিন্ন পন্যের বিবরন সহ ওই লিঙ্ক কপি করে বিভিন্ন গ্রুপে পাঠাতে হবে। এবার ওখানে থেকে ওই লিঙ্কে ক্লিক করে যদি কেও পন্যটি কিনে তাহলে আপনি সেটার থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের একটি কমিশন পাবেন।

এক্ষেত্রে আপনার কমিশনের জন্য কিন্তু পন্যটির দাম বাড়বে না। পন্যটির আসল যে দাম সেটি দিয়ে মানুষ কিনতে পারবে আপনার পাঠানো লিঙ্ক থেকে।

তবে এ ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সর্ম্পকেও পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট ধারনা থাকা চাই।

এভাবে অনেক টাকায় ইনকাম করা সম্ভব হয় যদি আপনি ভালো একটি কমিউনিটি তৈরি করে ফেলতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে এখান থেকে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন।

এর জন্য আপনার দরকার অনেক গুলো একটিভ ইমেইল। আপনি যদি হাজার খানের একটিভ ইমেইল ম্যানেজ করে ফেলতে পারেন, তাহলেই খুব সহজে এখানে থেকে ভালো অঙ্কের একটি টাকা ইনকাম করে ফেলতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েটে মার্কেটিং (Affiliate Marketing) কিভাবে শিখব? (Kivabe affiliated marketing korbo?)

এই ফ্রি কোর্সটিতে রেজিস্ট্রেশন করে সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে নিতে পারবেন।

ফ্রি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স লিংকঃ এখানে ক্লিক করুন

কোর্সটি একেবারেই ফ্রি!

সবশেষে অনলাইন দুনিয়ায় কাজের অভাব নেই। অভাব শুধু দক্ষ মানুষের। তাই যেকোন ১টি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করুন। একসাথে সব করতে যাবেন না। শেষমেষ কিছুই হবে না। এই আর্টিকেল যে ১০টি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে, এগুলোর যেকোন ১টি কাজ ভালভাবে করতে পারলে মাসে লাখখানেক টাকা আয় করা কোন ব্যাপার না!

অনলাইন ইনকাম(Online income) : (২০২৩ সালে অনলাইনে আয় করার ১০টি উপায়) নিয়ে আজ এপর্যন্তই। 

FAQs

অনলাইন ইনকাম কি ? (Online Income)

কোন অফিসে না গিয়ে বাসায়, নিজের ঘরে বসে টাকা আয় করাকে অনলাইন ইনকাম বলে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ? (Affiliate Market)

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অন্যের পণ্য নিজের ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য যেকোন মাধ্যমে প্রচার করে বিক্রি করা।

ফ্রিল্যান্সিং কি ?(Freelencing)

ফ্রিল্যান্সিং শব্দের অর্থই হচ্ছে মুক্ত পেশা। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আদেশ অনুযায়ী কারো কাজ না করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। মূলত যারা এ ধরনের কাজ করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। 

ডাটা এন্ট্রি কি? (Data Entry)

ডেটাবেস বা কম্পিউটার সিস্টেমে তথ্য প্রবেশ বা রেকর্ড আপডেট করার প্রক্রিয়া ।

কন্টেন্ট রাইটিং কি ? (Content Writing)

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্যে ওয়েব কন্টেন্ট পরিকল্পনা, রচনা, সম্পাদনা ও লেখার নামই কন্টেন্ট রাইটিং।

গুগল অ্যাডসেন্স কি ? (Google Adsense)

গুগল এডসেন্স হলো একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে টাকা আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় সহজ এবং বিশ্বাসযোগ্য উপায়।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing)

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM) হলো এমন এক টেকনিক বা প্রক্রিয়া, যেখানে বিভিন্ন আলাদা আলাদা Social Media Platform যেমন, Facebook, YouTube, Instagram, LinkedIn এবং আরো অন্যান্য প্লাটফর্ম গুলিতে সক্রিয় থাকা লোকেদের লক্ষ্য করে, পণ্যের গুণমান সচেতনতা ছড়ানো হয় বা বিভিন্ন product, service এবং business এর প্রচার করা হয়।

ড্রপশিপিং কি? (Dropshipping)

এক ধরণের খুচরা পরিপূরণ পদ্ধতি, ড্রপশিপিং মানে পণ্য গুদামে সংরক্ষণ না করে বিক্রি করা।