অনলাইনে ইনকাম ২০২৪: ওয়েব ডিজাইন,ডাটা এন্ট্রি ও গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে অনলাইনে আয়

ওয়েব ডিজাইন,ডাটা এন্ট্রি ও গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে অনলাইনে আয়

প্রযুক্তি এবং উচ্চ গতির ইন্টারনেটের এই যুগে অনলাইনে ইনকাম করে অর্থ উপার্জনের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। প্রযুক্তি নতুন সুযোগের সাথে সীমাহীন নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ আমাদের যে কোন জায়গা থেকে কাজ করার স্বাধীনতা দেয়। অনলাইন কাজের সাথে কোন কঠিন এবং দ্রুত সময়ের প্রতিশ্রুতি নেই। তাহলে আপনি কিভাবে অনলাইনে আয় করতে পারেন?

এখানে আমরা তিনটি উপায়ে অনলাইনে আয় করার কথা আলোচনা করেছি। তা হলঃ

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অনলাইনে ইনকাম (Graphics design shikhe online income)
  • ডাটা এন্ট্রির কাজ করে অনলাইন ইনকাম (Data entry theke online income)
  • ওয়েব ডিজাইন থেকে অনলাইন ইনকাম (Web design theke online income)

ফ্রি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখুন এবং অনলাইনে ইনকাম করুন

ইচ্ছে আর আগ্রহ থাকলে আপনি ঘরে বসে ফ্রিতেই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ভালো অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ডিজাইন গুলো বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করে ঘরে বসেই ডলার ডলার আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী গ্রাফিক্স ডিজাইন এরে কাজে খুব সহজে সফলতা পাওয়া সম্ভব।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? (What is Graphics design?)

গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে একটি ডিজাইন বা আকৃতিকে কম্পিউটারের মাধ্যমে রূপ দিয়ে প্রকাশ। গ্রাফিক ডিজাইন মানে একটি উদ্দেশ্য সহ শিল্প। ইমেজ, প্রতীক বা এমনকি শব্দের ব্যবহারের সাথে একটি সমস্যা সমাধান বা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য একটি সৃজনশীল এবং পদ্ধতিগত পরিকল্পনা জড়িত। লোগো , ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদি সব ধরনের ডিজাইন নিখুঁত আইডিয়া দিয়ে করাই হচ্ছে মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন।

আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে সৃজনশীন চিন্তা কাজে লাগিয়ে স্বাধীন ভাবে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।

আর মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে । ভালমানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলে অনলাইনে কাজ করার রয়েছে অনেক সুযোগ।

ওয়েব ডেভলপমেন্ট, প্রগ্রামিং, মার্কেটিং, ইত্যাদি অন্যান্য যে কোনও কাজের তুলনায় গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে অনেক বেশী সময়েরও প্রয়োজন হয় না।

নিমিত ভাবে অনুশীলন করলে মাত্র ১-২ মাসের মধ্যেই আপনি শুরু করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং। তারপর খুটিনাটি বিষয়গুলো টুকটাক আয় করার পাশাপাশি শিখে নিতে পারেন। একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং করে হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

প্রাথমিক অবস্থায় আপনি এডোবি ফটোশপ এবং ইলিস্ট্রটর দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শুরু করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব ? (Graphics design kivabe shikhbo?)

ফ্রি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল লিংকে ক্লিক করুন.

গ্রাফিক্স ডিজাইনে যেসব কাজ করা হয়ঃ

  • লগো ডিজাইন
  • ব্যানার ডিজাইন
  • কভার ডিজাইন
  • ফটো ইডিটিং
  • পোষ্টার ডিজাইন।
  • বিজনেস কার্ড ডিজাইন।
  • টি শার্ট ডিজাইন।
  • টেমপ্লেট তৈরি
  • ফন্ট ডিজাইন
  • বিজ্ঞাপন ডিজাইন
  • স্টিকার ডিজাইন
  • সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স এবং হাইলাইট কভার ডিজাইন সহ সকল প্রকার ডিজাইন

চলুন এখন আমরা আপাতত ধারনা পাওয়ার জন্য একটা সহজ বিষয় (বিজনেস কার্ড) নিয়ে আলোচনা করা যাক। যা দিয়ে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শুরু করতে পারবেন।

বিজনেস কার্ড

বিজনেস কার্ড হল কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তির পরিচয় বহনকারী একধরনের শক্ত কাগজ। যে কাগজে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোগো, নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি দেয়া থাকে।  এই বিজনেস কার্ড এরও মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই বিজনেস কার্ড ডিজাইন খুব কম সময় অনুশীলন করেই শিখে ফেলতে পারবেন। তারপর  ফাইবার এ একটি একাউন্ট খুলেই শুরু করতে পারেন অনলাইন ইনকাম।

আপনি নিয়মিত প্রাক্টিস করে নিজেকে একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে তৈরি করার পাশাপাশি টুকটাক ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে মোটামুটি দক্ষতা হয়ে গেলে আপনি টি-শার্ট, লোগো ও ব্রসিয়ার ডিজাইন এর মত নতুন কাজ শুরু করতে পারেন। তারপর বিড করার জন্য ফাইবার এর পাশাপাশি আপওয়ার্ক,ফ্রিলান্সার.কম,99 ডিজাইন ইত্যাদি সাইটে চেষ্টা করতে পারবেন ও বিভিন্নি কনটেষ্ট গুলোতে অংশগ্রহন করতে পারেন। আপনি এভাবে  নিয়মিত পরিশ্রম করে খুব সহজে সফলতা পেয়ে যাবেন।

আপনি যদি চান তাহলে একটি কাজ একবার করে দীর্ঘ সময় ধরে এর ইনকাম পেতে পারেন। যেমনঃ একবার একটি বিজনেসস কার্ড বানালেব এবং তা বিক্রি করছেন সারা বছর। এই কার্ডটি যত বেশি বিক্রি  হবে তত বেশি ইনকাম। বিষয়টি খুবই সহজ।

আপনি যখন ধীরে ধীরে মানসম্মত ডিজাইন করতে শুরু করবেন,  তখন আপনি বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্রডাক্ট তৈরি করে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপলোড করে রাখতে পারেন। আর সেই মার্কেটপ্লেস থেকে যতবার সেল হবে ততবারই আপনি কমিশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। গ্রাফিক্স রিভার ও ক্রিয়েটিভ মার্কেট এ ধরনের মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে অন্যত্ম।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে যেসব সাইট থেকে অনলাইনে ইনকাম করা যায়ঃ

এভাবে আরো অনেক সাইট রয়েছে যা থেকে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন।

যেসব সাইটে ডিজাইন বিক্রিকরে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেনঃ

যেসব সাইটে ফন্ট বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেনঃ

যেসব সাইটে টি শার্ট বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেনঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করার জন্য জনপ্রিয় কিছু সফটওয়্যারঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে হলে কিছু সফটওয়্যারের সহায়তা নিতে হয়। নিচে কিছু জনপ্রিয় সফটওয়্যার দেয়া হয়েছেঃ

  • এডোবি ফটোশপ
  • এডোবি ইলাস্ট্রেটর
  • থ্রিডি ডিজাইন ম্যাক্স
  • এডোবি ইনডিজাইন

আপনি গুগল বা ইউটিউব এই গুলো সার্চ দিলে ইংরেজি বা বাংলাতে অনেক টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। যা দ্বারা আপনি সহজেই ফ্রি তে সফটওয়্যারের কাজ শিখে ফেলবেন।

ডাটাএন্ট্রি শিখুন এবং অনলাইন ইনকাম করুন

অনলাইন ইনকাম করার জন্য সহজ উপায়ের একটি হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি।এ ধরনের কাজ  অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে পাওয়া যায়।আপনার কাজে যদি দক্ষতা থাকে, তাহলে সহজে কাজ পাবেন এবং দ্রুত ইনকাম বাড়াতে পারবেন। বর্তমানে আমাদের দেশে আউটসোর্সিং খুব সারা জাগিয়েছে। এখন তাই অনেকেই আউটসোর্সিংকে পেশা হিসাবে নিচ্ছে।

ডাটাএন্ট্রি কি? (What is Data entry?)

ডাটা এন্ট্রি বলতে একটি নির্দিষ্ট রকমের ডাটা এক  জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রতিলিপি তৈরি করাকে বুঝায়। ডাটাএন্ট্রির কাজ মূলত লেখা কোন  ডাটাকে কম্পিউটারে টাইপ করা অথবা কম্পিউটারের কোন একটি প্রোগ্রামের ডাটা স্প্রেডশিট ফাইলে রুপান্তর করা।

ডাটাএন্ট্রির কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করতে কি কি যোগ্যতা লাগে?

তেমন কোনও যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে, তবুও যেসব যোগ্যতা থাকলে ভালো আয় করতে পারবেন তা নিচে দেয়া হলঃ

  • ইংরেজীতে পারদর্শী হওয়া (লেখা এবং বলা)
  • আত্মবিশ্বাসী এবং ধের্য্যশীল থাকতে হবে।
  • দ্রুত টাইপ করার দক্ষতা।
  • মাইক্রোসফট এক্সেল এবং ওয়ার্ড ব্যববহারে দক্ষতা থাকতে হবে। 
  • বিভিন্ন তথ্য ইন্টারনেট থেকে খুঁজে বের করার দক্ষতা
  • এইগুলো যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনি সফলতা পাবেে

ডাটাএন্ট্রির কাজ কি কি?

ডাটা সুবিন্যস্ত করা এই তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক যুগে খুব দরকারি  হয়ে পড়েছে। আপনি খুব সহজেই এই কাজের দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন এবং, এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অর্থও উপার্জন করতে পারবেন। এই ডাটা এন্ট্রির অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। কয়েকটা কাজের কথা নিচে উল্লেখ করা হয়ছেঃ 

  • টাইপিং জাতীয় কাজ
  • ছবি থেকে লেখায় রূপান্তর
  • শুনে শুনে লিখা
  • ডাটা ইনপুট দেয়া
  • ক্যাপচা এন্ট্রি করা
  • ইমেইল প্রসেসিং করা
  • ডাটা ফরমেটিং
  • কপি-পেস্ট 
  • ফরমেটিং ও এডিটিং
  • ফরম পূরণ।

টাইপিং জাতীয় কাজ:

সাধারণ টাইপিং জাতীয় ডাটা এন্ট্রির কাজ মূলত এমএস ওয়ার্ডে টাইপ করা বুঝায়। আর বেসিক টাইপিং জাতীয় কাজগুলি আপনি এক্সেল স্প্রেডশিটের দ্বারা করতে পারেন। কাজের গতি বৃদ্ধি এবং নির্ভুলতার সাথে করে আপনি ঘন্টায়  ১০০ -২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

ছবি থেকে লেখায় রূপান্তর

এ ধরনের কাজে আপনাকে ছবি বা স্ক্রিনশট দেয়া হয়, সেখান থেকে আপনি ওয়ার্ড ফাইলে সুন্দর করে লিখতে হয়। এ ধরনের কাজ করে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন। আপনি PIOCR সাইটের সাহায্যে ও নিয়েও আপনি এই কাজ সহজেই করতে পারবেন।

শুনে শুনে লিখা

এ ধরনের কাজে আপনি ভালোভাবে অডিও শুনবেন এবং তা শুনে ওয়ার্ড ফাইলে সুন্দর করে লিখতে হয়। এ ধরনের কাজ করার জন্য ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে আপনারর ভালো জ্ঞান থাকতে হয়।

ডাটা ইনপুট দেয়া

এ ধরনের কাজ বলতে বিভিন্ন ডাটা ইনপুট দেয়া এবং ডাটাবেস আপডেট করা বুঝায়। এ ধরনের কাজ আপনি পার্ট টাইম হিসেবে করতে পারেন।

ক্যাপচা এন্ট্রি করা

ক্যাপচা মূলত এক ধরনের সিকিরিউটি কোড যা বিভিন্ন সাইটে প্রবেশ করার সময় বা রেজিস্ট্রেশন করার সময় দেখায়। আপনি এই ক্যাপচা এন্ট্রির কাজ করে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

ইমেইল প্রসেসিং করা

এ ধরনের কাজ বলতে মূলত দিনে হাজার হাজার ইমেইল প্রসেস করা এবং কনটেন্ট সংগ্রহ করা। তারপর কনটেন্ট থেকে এক্সেলে তালিকাভুক্ত করে রাখতে হয়। এইসব কাজের জন্য আপনার অবশ্যই টাইপিং এ দক্ষ হতে হয়।

ডাটা ফরমেটিং

এ ধরনের কাজ বলতে ডাটার মধ্যে ইংরেজি ভুল বানান শুদ্ধ করা, ব্যাকরণ ঠিক করা ইত্যাদি ভুল গুলো ঠিক করে নতুন ডাটা সম্পাদন করা বুঝায়। এই সব কাজ করে আপনি ভালো আয় করতে পারেন।

কপি-পেস্ট 

এ ধরনের কাজ বলতে এক ফাইলের ডাটা থেকে অন্য ফাইলে ডাটা কপি করে এন্ট্রি করা। এ ধরনের কাজে টাইপিং দক্ষতার চেয়ে ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া দরকার।

ফরম পূরণ

বিভিন্ন কোম্পানি অনলাইনে বিশাল  সার্ভে বা ফরম দিয়ে থাকে। এই গুলো পূরণ করে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়া ডাটা পরিষ্কার করা, ডাটা ক্যাপশনিং, ট্রান্সক্রিপশন , কপিরাইটিং , জব পোস্টিং, ট্রান্সলেশন ইত্যাদি অনেক ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ করে অনলাইনে আয় করা যায়।

আরও পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম (Online income): অনলাইনে আয়  করার ৫ টি সহজ ও নির্ভরযোগ্য উপায়

ডাটাএন্ট্রি জব করার ৩টি সাইটঃ

ইন্টারনেট এ ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য অনেক সাইট রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ভালো সাইট কোনটা সে সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেব। নতুনরা যাতে সহজেই কাজ করতে পারে। কিন্তু  এখানে আমি ফ্রিল্যান্সিং বা আপওয়ার্ক এর কথা বলছি না। এর বাইরেও অনেক সাইট রয়েছে যেখানে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

এখানে ৩টি সাইেট নিয়ে আলোচনা করেছি (আমি যত টুকু জানি):

১। ইনডেড : ইনডেড ডট কম এই সাইটটি অনেক ভালো একটি সাইট। কারণ আপনি নিজের যোগ্যতা অনুসারে কাজ পাবেন। মনে হয় বুঝতে পারলেন না। আসুন আপনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। মনে করুন আপনি চাকরীর ন্য কোন কোম্পানীতে আবেদন করলেন। সেখানে নিয়ম অনুসারে আপনার পারসোনাল ডিটেল দিতে হয়। এই সাইটেও ঠিক তেমনি। সেই সাইট থেকে বায়ার আপনাকে তখনই হায়ার করবে যখন বায়ার আপনাকে বা আপনার কাজকে পছন্দ করবে। আর সেই কাজের জন্য আপনাকে ভালো পেমেন্ট ও দিবে।

২। ক্যারিয়ার বিল্ডার : এই সাইটটিও অনেক ভালো। এই সাইটটি মূলত আপওয়ার্ক এর মতই । এখান থেকেও অনেক কাজ পাওয়া যায় এবং পেমেন্ট নিয়ে কোন ঝামেলা করে না। প্রতিদিন অনেক নতুন নতুন ডাটা এন্ট্রির কাজ এই সাইটে পাওয়া যায়।

৩। ফ্রেক্সড জব : এই সাইটে ডাটা এন্টির কাজ ছাড়াও নানা ধরনর কাজ পাওয়া যায়। তবে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজীতে পারদর্শী হতে হবে এই সাইটে কাজ করতে হলে। কারণ এখানে স্কাইপ এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট ডাইরেক্ট কথা বলে। আপনি যদি ইংরেজীতে দক্ষ হন তাহলে আপনি এই সাইট থেকে কাজ করে ভালো আয় করতে পারবেন।

এছাড়া আপওয়ার্ক , পিপল পার আওয়ার , ফ্রিল্যান্সার , গুরু ডট কম, ফাইভার ডট কম ইত্যাদি সাইটে ডাটা এন্ট্রির জব করতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইন শিখুন এবং অনলাইনে ইনকাম করুন

বর্তমান যুগে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তারা সবাই জানে যে, অনলাইনে যত কাজ আছে তার মধ্যে ওয়েব ডিজাইন এর কাজ গুলো সবচেয়ে বেশি দামি। অর্থাৎ ওয়েব ডিজাইনার হয়ে অনেক ভালো অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।  আপনি কপি পেস্ট আর পি টি ছি সাইট গুলোতে সারাদিন বসে ক্লিক দিয়ে আর কতই টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।

ওয়েব ডিজাইন কি? (What is Web design?)

ওয়েব ডিজাইন বলতে ওয়েবসাইটের ডিজাইনকে বোঝায় অর্থাৎ ওয়েবসাইট এর সাধারন রূপ বা এটি দেখতে কেমন হবে তা নির্ধারণ করা বুঝায়।

ওয়েব ডিজাইন থেকে আয়

আর আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করেন তাহলে আপনি দিনে একটা ছোট্ট ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করে কমপক্ষে ২০ ডলার যা মাসে প্রায় ৬০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তাই আজই ওয়েব ডিজাইন শিখা শুরু করে দিন। ওয়েব ডিজাইন শিখার জন্য অনেক গুলো সাইট রয়েছে।

ওয়েব ডিজাইন স্টেপ বাই স্টেপ শিখতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

যে কোনও কাজে এক্সপার্ট হতে হলে প্রয়োজন নিয়মিত অনুশীলন এবং সীমাহীন পরিশ্রম। তেমনি আপনি যদি এক্সপার্ট ওয়েব ডিজাইনার হতে চান তার জন্য লাগবে নিয়মিত অনুশীলন এবং সীমাহীন পরিশ্রম। আর এক্সপার্ট ওয়েব ডিজাইনার হয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিংএর মাধ্যমে খুব ভালো অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ মূলত ঘণ্টা কেন্দ্রিক। আপনার রেট অনুযায়ী যত ঘণ্টা কাজ করবেন তত বেশি ইনকাম করবেন। আপনি যত এক্সপার্ট ডিজাইনার হবেন আপনার রেট তত বেশি থাকবে। এভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাজ করে একদিকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন অন্যদিকে স্কিল বাড়াতে পারবেন।

তাই দেরি না করে আজই  ওয়েব ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন ,ডাটা এন্ট্রি শিখুন এবং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই অনলাইনে ইনকাম শুরু করুন। যাতে ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে ডলার ডলার ইনকাম করতে পারবেন।