ইসলামিক উক্তি (Islamic Quotes Bangla with Pictures)

ইসলামিক উক্তি

বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীদের প্রত্যেকে পবিত্র কোরআন শরীফ ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রতিটি কথা মেনে চলেন। ইসলাম ধর্মের চমৎকার কিছু ইসলামিক উক্তি (Best Islamic Quotes) নিয়ে আজকে কথা বলব।

মুসলিমদের জন্য সবার প্রথমে কোরআন শরীফ। তারপরে মহানবীর বাণী যা হাদীস নামে পরিচিত। অনেকেই ফেসবুক(Facebook), ইন্সটাগ্রাম, (Instagram), টুইটারে(Twitter) মহানবীর বাণী ,ইসলামিক উক্তি(Islamic Quote) বা ইসলামিক স্ট্যাটাস(Islamic Status) শেয়ার করি। যারা ইসলামিক পোস্ট(Islamic Post) শেয়ার করতে চান বা জানতে চান, অনুরোধ থাকবে এই আর্টিকেল পুরোটা পড়ার। 

Islamic quotes

“Do not lose hope, nor be sad.” Quran 3:139

“Never underestimate the power of Dua (supplication).” – Anonymous

“No one will reap except what they sow.” -Quran 6:164

“For indeed, with hardship ease.” -Quran 94:5

“Allah is with the doers of good.” –Quran 29:69

“Allah is with those who have patience.” -Quran 2:153

“Call upon Me, I will respond to you.” –Quran 40:60

“Taking pains to remove the pains of others is the true essence of generosity.” – Abu Bakr (R.A)

ইসলামিক উক্তিঃ

পবিত্র কোরআন শরীফে মোট 

  • সূরার সংখ্যাঃ ১১৪টি 
  • আয়াত সংখ্যাঃ ৬৬৬৬ (ভিন্ন মত অনুযায়ী ৬২৩৬টি) 

প্রতিটি আয়াত এক একটি উক্তি। প্রতিটি আয়াতের মর্মার্থ অনেক গভীর। 

এখানে পবিত্র কোরআন শরীফের উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত দেয়া হলঃ 

১। যখন তোমাদেরকে কোন ব্যাপারে নিষেধ করি, তখন তা থেকে বেঁচে থাক। কোন বিষয়ে আদেশ করি, তাহলে সাধ্য অনুসারে মেনে চল।

সহিহ বুখারী-৭২৮৮

Copyright: www.bdbasics.com

২। যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আল্লাহ তার অন্তরকে সৎপথে পরিচালিত করেন।

Source:সূরা আত-তাগাবুন ৬৪:১১

Copyright: www.bdbasics.com

৩। যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তুমি তাদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ।

Source:সূরা আল-বাকারাহ ২:২৫

Copyright: www.bdbasics.com

৪। উপদেশ দিতে থাক, কারণ উপদেশ মুমিনদের উপকারে আসে।

Source:সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫৫

Copyright: www.bdbasics.com

৫। জান্নাত সম্পর্কিত ইসলামিক উক্তি (Best Islamic Quotes) 

 মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন, 

  • “বলুন: আমি কি আপনাকে তাদের চেয়ে অনেক ভালো জিনিসের সুসংবাদ দেব? কারণ ধার্মিকদের থাকবে তাদের পালনকর্তার নিকটবর্তী বাগান এবং তাঁরা পাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি। কারণ আল্লাহর দৃষ্টিতে (সব) তাঁর বান্দা” (3: 15)।
  • আল্লাহ বলবেন, “এটি এমন একটি দিন যেখানে সত্যবাদীরা তাদের সত্য থেকে উপকৃত হবে। তাদের থাকবে বাগান, নিচে প্রবাহিত হবে নদী – সেখানেই হবে তাদের চিরস্থায়ী ঘর। “(5: 119)।
  • “এবং আমরা (ফেরেশতারা) তাদের (জান্নাতিদের)  অন্তর থেকে সকল ঘৃণা বা আঘাতের অনুভূতি দূর করব” (কুরআন ::43)।
  • “চির সুখের বাগানে(জান্নাতের বাগান) তারা(জান্নাতিরা) সেখানে প্রবেশ করবে, সেইসাথে তাদের পিতৃপুরুষ, তাদের পত্নী এবং তাদের বংশধরদের মধ্যে যারা  ধার্মিক ছিল। প্রতিটি দরজা থেকে ফেরেশতারা প্রবেশ করবে (সালাম দিয়ে) এবং বলবেন এখন দেখো তোমাদের (জান্নাতিদের) চূড়ান্ত বাড়ি কত চমৎকার! ” (কুরআন ১:: ২–-২))।
  • “তারা তাতে খারাপ বক্তব্য বা পাপের অভিযোগ শুনবে না। শুধু শুনবে এই উক্তি: ‘শান্তি! শান্তি! ” (কুরআন ৫:: ২৫-২)
  • “কিন্তু যারা বিশ্বাসী এবং সৎকর্ম করে তাদের সুসংবাদ দাও, তাদের অংশ হল বাগান, যার নিচে নদী প্রবাহিত হয়” (2:25)।
  • “তোমার প্রভুর কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার দৌড়ে দ্রুত হও, এবং এমন একটি বাগানের জন্য, যার প্রস্থ আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সমগ্র (ধার্মিকদের জন্য প্রস্তুত)” (3: 133)

৬। যে অভাবী মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং যে অভাবী চেয়ে বেড়ায়, তাদেরকে খেতে দাও।

Source:সূরা আল-হাজ্জ ২২:৩৬

Copyright: www.bdbasics.com

৭। আল্লাহকে মজবুতভাবে ধর, তিনিই তোমাদের অভিভাবক। তিনি কতই না উত্তম অভিভাবক এবং কতই না উত্তম সাহায্যকারী।

Source:সূরা আল-হাজ্জ ২২:৭৮

Copyright: www.bdbasics.com

আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা, ইসলামিক উক্তি(islamic ukti) গুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিয়েছি। যদি কেউ এই আর্টিকেলটির পুরো পিডিএফ ডাউনলোড করতে চান্, তাহলে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন,

নামাজের জন্য প্রয়োজনীয় সূরা 
আয়াতুল কুরসি- বাংলা উচ্চারণ, mp3 অডিও 
ছেলেদের ইসলামিক নাম 
নামাজ কী? নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

মহানবীর বাণী ইসলামিক উক্তি

  • আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল সে, যে কোনো বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে এবং তা সবার কাছে ছড়িয়ে দেয়। – (বায়হাকী)
  • প্রত্যেক ব্যক্তি তার কাজের সেই ফল পাবে, যা সে নিয়ত করবে। – (সহীহ বুখারী)
  • আল্লাহ্‌ তোমাদের চেহারা সুরত ও সম্পদ দেখেনা, তিনি দেখেন তোমাদের অন্তর ও কাজ। – (সহীহ মুসলিম)
  • কুরআন কে আঁকড়ে ধরো, তাহলে কখনো বিপথগামী হবেনা। – (মিশকাত)
  • যে লড়ে যায় আল্লাহর বানীকে বিজয়ী করার জন্যে, সেই আল্লাহর পথে জিহাদ করে। – (সহীহ বুখারী)
  • আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা অতিবাহিত করা গোটা পৃথিবী ও পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম। – (সহীহ বুখারী)
  • কোনো বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম হয়না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার মন ও যবান মুসলিম হয় না। – (তারগীব)
  • ঈমান না এনে তুমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। – (তারগীব)
  • বান্দার উপর আল্লাহর অধিকার হলো, তারা কেবল তাঁরই আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং তাঁর সাথে কোনো অংশীদার বানাবেনা। – (সহীহ মুসলিম)
  • তুমি মুমিন হবে তখন , যখন তোমার ভালো কাজ তোমাকে আনন্দ দেবে, আর মন্দ কাজ দেবে মনোকষ্ট। – আহমদ

ইসলামিক উক্তি (Islamic quotes bangla)

১. আল্লাহ্’র অস্তিত্ব অস্বীকার করা বা আল্লাহ ব্যতীত কাউকে স্রষ্টা বা প্রতিপালক মনে করা।

[Source:সূরা হাশর: ২৪]


২. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা, তিনি ব্যতীত অন্য কারো ইবাদাত করা।

[Source:সূরা আল-আনআম: ১৬২-১৬৩]


৩. সুস্পষ্ট মশুরিক-কাফিরদেরকে কাফির মনে না করা।

[উম্মাহর ইজমা বা ঐকমত্যে এটা ঈমান ভঙ্গের কারণ]


৪. ধর্মীয় বিষয়ে মসুলিমদের বিরুদ্ধে অমসুলিম কিংবা ত্বাগুতকে সহযোগিতা করা।

[Source:সূরা মায়িদা: ৫১]


৫. দ্বীনের অকাট্য কোনো বিধানকে অস্বীকার, অপছন্দ বা মিথ্যারোপ করা।

[Source:সূরা আনআম:২১]


৬. সুনিশ্চিত হারামকে হালাল অথবা সুনিশ্চিত হালালকে হারাম মনে করা।

সুনিশ্চিত হারামকে হালাল অথবা সুনিশ্চিত হালালকে হারাম মনে করা।
[Source:সূরা তাওবা:২৯]


৭. আল্লাহ, রাসূল, দ্বীন ও দ্বীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা বা গালি দেয়া।

 ৭. আল্লাহ, রাসূল, দ্বীন ও দ্বীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা বা গালি দেয়া।

[ Source:সূরা তাওবা: ৬৪-৬৬ ]


৮. আল্লাহর আইনের বিপরীতে আইন প্রণয়ন করা।

আল্লাহর আইনের বিপরীতে আইন প্রণয়ন করা।
[ Source:সূরা শুরা: ২১ ] [ Source:সূরা মায়িদা: ৪৪]


৯. রাসূলের (স) ফয়সালার তুলনায় অন্য কারো ফয়সালাকে উত্তম মনে করা।

রাসূলের (স) ফয়সালার তুলনায় অন্য কারো ফয়সালাকে উত্তম মনে করা।
[ Source:সূরা নিসা: ৬৫ ]


১০. জাদুকরা, বান মারা, কুফরি কালাম করা।

জাদুকরা, বান মারা, কুফরি কালাম করা।
[ Source:সূরা বাকারা: ১০২ ]


১১. জ্যোতিষী বা গণকের ভবিষ্যৎবাণী বিশ্বাস করা। [ Source:সূরা লকমান ু : ৩৪ ]

জ্যোতিষী বা গণকের ভবিষ্যৎবাণী বিশ্বাস করা।
[ Source:সূরা লোকমান: ৩৪ ]


১২. জাগতিক ও বৈজ্ঞানিক কার্যকারণের অন্তর্ভূক্ত নয় এমন কোনো বিষয়কে কারণ হিসেবে উল্লেখ
করা। যেমন, ভাগ্য রাশি। অনরূু পভাবে অশুভ, অযাত্রা বা অমঙ্গলে বিশ্বাস করা। [ সহিহ বখারী ু :
৫৭০৭ ]

২. জাগতিক ও বৈজ্ঞানিক কার্যকারণের অন্তর্ভূক্ত নয় এমন কোনো বিষয়কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা। যেমন, ভাগ্য রাশি। অনরূু পভাবে অশুভ, অযাত্রা বা অমঙ্গলে বিশ্বাস করা।
[ সহিহ বুখারী:৫৭০৭ ]


১৩. কাউকে দ্বীন শরীয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা।

 ১৩. কাউকে দ্বীন শরীয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা। [ Source:সূরা মায়িদা: ৩ ]
[ Source:সূরা মায়িদা: ৩ ]

***৯। যে পরম করুণাময়ের যিকির থেকে বিমুখ থাকে, আমি তার জন্য এক শয়তানকে নিয়োজিত করি, ফলে সে হয়ে যায় তার সঙ্গী।

যে পরম করুণাময়ের যিকির থেকে বিমুখ থাকে, আমি তার জন্য এক শয়তানকে নিয়োজিত করি, ফলে সে হয়ে যায় তার সঙ্গী।
Source:সূরা আয-যুখরুফ ৪৩:৩৬

আরও পড়ুনঃ ইসলামিক নামঃ ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ পর্ব-১

ইসলামিক উক্তিঃ হাদিস (মহানবী সাঃ এর মূল্যবান বাণী)

১০। মদ্যপান সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,

শরাবের (মদের) উপর দশভাবে অভিসম্পাত করা হয়েছে।

শরাবের উপর দশভাবে অভিসম্পাত করা হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ আল হাদিস

◾ স্বয়ং শরাব বা মদ (অভিশপ্ত), 

◾ শরাব উৎপাদকঃ যে মদ উৎপন্ন করে।  

◾ যে তা উৎপাদন করায়ঃ যে মদ উৎপন্ন করতে আদেশ দেয়। 

◾ তার বিক্রেতাঃ যে মদ বিক্রি করে। 

◾ তার ক্রেতাঃ যে মদ কিনে। 

◾ তার বহনকারীঃ যে মদ বহন করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যায়। 

◾ তা যার জন্য বহন করা হয়ঃ যার জন্য মদ বহন করা হয়।

◾ এর মূল্য ভোগকারীঃ যে মদ বিক্রির টাকা ভোগ করে।

◾ তা পানকারীঃ যে মদ পান করে।

◾ তা পরিবেশনকারীঃ যে মদ পরিবেশন করে।  

Source:সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৩৮০

মদের সাথে সম্পর্কিত সকলেই অভিশপ্ত। 

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ১০টি উপদেশ (Best Islamic Quotes)

১১। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, 

(১) আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, যদি তোমাকে হত্যা করা হয় অথবা আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয় তাও না।

Source: Al hadith (আল হাদিস)
আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, যদি তোমাকে হত্যা করা হয় অথবা আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয় তাও না।
Source: Al hadith (আল হাদিস)

(২) পিতা-মাতার অবাধ্য হবে না। যদি মাতা-পিতা তোমাকে তোমার পরিবার-পরিজন বা ধন সম্পদ ছেড়ে দেয়ার হুকুমও দেয়। 

Source: Al hadith (আল হাদিস)
পিতা-মাতার অবাধ্য হবে না। যদি মাতা-পিতা তোমাকে তোমার পরিবার-পরিজন বা ধন সম্পদ ছেড়ে দেয়ার হুকুমও দেয়। 
Source: Al hadith (আল হাদিস)

(৩) ইচ্ছাকৃতভাবে কখনও কোন ফরয সালাত (নামাজ) ছেড়ে দিও না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ফরয সালাত (নামাজ) পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তা‘আলা তার থেকে দায়িত্ব উঠিয়ে নেন। 

Source: Al hadith (আল হাদিস)
ইচ্ছাকৃতভাবে কখনও কোন ফরয সালাত (নামাজ) ছেড়ে দিও না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ফরয সালাত (নামাজ) পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তা‘আলা তার থেকে দায়িত্ব উঠিয়ে নেন। 
Source: Al hadith (আল হাদিস)

(৪) মদ পান হতে বিরত থাকবে। কেননা তা সকল অশ্লীলতার মূল। 

Source: Al hadith (আল হাদিস)
মদ পান হতে বিরত থাকবে। কেননা তা সকল অশ্লীলতার মূল।
Source: Al hadith (আল হাদিস)

(৫) সাবধান, আল্লাহর নাফরমানী ও গুনাহ থেকে বেঁচে থাক। কেননা, নাফরমানী দ্বারা আল্লাহর ক্রোধ অবধারিত হয়ে যায়। 

Source: Al hadith (আল হাদিস)
সাবধান, আল্লাহর নাফরমানী ও গুনাহ থেকে বেঁচে থাক। কেননা, নাফরমানী দ্বারা আল্লাহর ক্রোধ অবধারিত হয়ে যায়। 
Source: Al hadith (আল হাদিস)

(৬) জিহাদ হতে কখনো পালিয়ে যাবে না, যদিও সকল লোক মারা যায়। 

Source: Al hadith (আল হাদিস)
জিহাদ হতে কখনো পালিয়ে যাবে না, যদিও সকল লোক মারা যায়।
Source: Al hadith (আল হাদিস)

(৭) যখন মানুষের মধ্যে মহামারী ছড়িয়ে পড়ে, আর তুমি সেখানেই রয়েছ, তখন সেখানে তুমি অবস্থান করবে (পলায়নপর হবে না)। 

Source: Al hadith (আল হাদিস)
যখন মানুষের মধ্যে মহামারী ছড়িয়ে পড়ে, আর তুমি সেখানেই রয়েছ, তখন সেখানে তুমি অবস্থান করবে (পলায়নপর হবে না)। 
Source: Al hadith (আল হাদিস)

(৮) শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করবে (কার্পণ্য করে তাদের কষ্ট দিবে না)।

Source: Al hadith (আল হাদিস)
শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করবে (কার্পণ্য করে তাদের কষ্ট দিবে না)
Source: Al hadith (আল হাদিস)

(৯) পরিবারের লোকেদেরকে আদাব-কায়দা শিক্ষার জন্য কক্ষনও শাসন হতে বিরত থাকবে না। 

Source: Al hadith (আল হাদিস)

(১০) আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কে তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করতে থাকবে।

Source: Al hadith (আল হাদিস)
পরিবারের লোকেদেরকে আদাব-কায়দা শিক্ষার জন্য কক্ষনও শাসন হতে বিরত থাকবে না।
Source: Al hadith (আল হাদিস)

১২। কুরবানি সম্পর্কে মহানবীর বাণী

রাসূল (সা:) বললেন, “তোমরা নিজেরা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং সঞ্চয় করে রাখ (কুরবানীর গোশ্ত সম্পর্কে)।” সহীহ বুখারী-৫৫৬৯

“রাসূল (সা:) আদেশ করলেন, কুরবানী হতে পারিশ্রমিক হিসেবে কসাইকে কিছু না দিতে।” 

Source:সহীহ বুখারী-১৭১৬

রাসূল (সা:) বললেন, “তোমরা নিজেরা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং সঞ্চয় করে রাখ (কুরবানীর গোশ্ত সম্পর্কে)।” সহীহ বুখারী-৫৫৬৯
সহীহ বুখারী-৫৫৬৯

শ্রেষ্ঠ দোয়া কোনটি? 

১৩। শ্রেষ্ঠ দোয়া সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেন,

 

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
Source:[তিরমিযী-৩৫৮৫, শাইখুল আলবানী সহীহুত তিরমিযীতে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, ৩/১৮৪;
সিলসিলা সহীহা-৪/৬।]

শ্রেষ্ঠ দো‘আ হচ্ছে আরাফাত দিবসের দো‘আ। 

আর আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যা বলেছি, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে:

“لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ”

বাংলা অর্থঃ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।”

বাংলা উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। 

Source:[তিরমিযী-৩৫৮৫, শাইখুল আলবানী সহীহুত তিরমিযীতে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, ৩/১৮৪; সিলসিলা সহীহা-৪/৬।]

আরাফাহ দিবস সম্পর্কিত মহানবীর বাণী

১৪। আরাফাহ দিবসের তুলনায় এমন কোন দিন নেই, যেদিন আল্লাহ তা’আলা সর্বাধিক লোককে দোযখের আগুন থেকে মুক্তি দান করেন। 

Source:সহিহ মুসলিম-৩১৭৯

আরাফাতের দিনের দু’আই উত্তম দু’আ।

Source:তিরমিজি-৩৫৮৫

 আরাফাহ দিবসের তুলনায় এমন কোন দিন নেই, যেদিন আল্লাহ তা’আলা সর্বাধিক লোককে দোযখের আগুন থেকে মুক্তি দান করেন। 
Source:সহিহ মুসলিম-৩১৭৯

দান করা সম্পর্কে মহানবীর বাণী

১৫। সর্বোত্তম সাদাকা (দান করা)  হলো, পরস্পরের মাঝে সমঝোতা করা। 

Source:সিলসিলা সহীহা-৩৭

সর্বোত্তম সাদাকা (দান করা)  হলো, পরস্পরের মাঝে সমঝোতা করা। 
Source:সিলসিলা সহীহা-৩৭

কোন নারীরা  জান্নাতের যেকোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে? 

১৬। আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

.❝যদি কোন মহিলা –

◍ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে,

◍ রমাদানের রোযা পালন করে,

◍ লজ্জাস্থানের হেফাযত করে, এবং

◍ স্বামীর আনুগত্য করে, তাহলে সে জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করবে।❞

Source:মুসনাদে আহমাদ, হাদিসঃ ১৬৬১

কোন নারীরা  জান্নাতের যেকোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে? 
আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
❝যদি কোন মহিলা -
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে,
রমাদানের রোযা পালন করে,
লজ্জাস্থানের হেফাযত করে, এবং
স্বামীর আনুগত্য করে, তাহলে সে জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করবে।
Source:মুসনাদে আহমাদ, হাদিসঃ ১৬৬১

জ্বিলহজ্জ মাসের আমল নিয়ে মহানবীর বাণী (Islamic Quotes)

১৭। জ্বিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের আমলের চেয়ে, অন্য কোন দিনের আমলই উত্তম নয়।

Source: আবু দাউদ-২৪৩৭, Source:সহিহ বুখারী-৯৬৯
জ্বিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের আমলের চেয়ে, অন্য কোন দিনের আমলই উত্তম নয়।
Source: আবু দাউদ-২৪৩৭, Source:সহিহ বুখারী-৯৬৯

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জ্বিলহজ্জ মাসের নয় (১ থেকে ৯) তারিখ পর্যন্ত রোযা রাখতেন।

Source: আবু দাউদ-২৪৩৭, Source:সহিহ বুখারী-৯৬৯
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জ্বিলহজ্জ মাসের নয় (১ থেকে ৯) তারিখ পর্যন্ত রোযা রাখতেন।
Source: আবু দাউদ-২৪৩৭, Source:সহিহ বুখারী-৯৬৯

রাসূল (সাঃ) আরো বলেন, 

“যিলহজ্জ মাস শুরু হলে যে ব্যক্তি কুরবানি করতে চায় সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে।” 

Source: আবু দাউদ-২৪৩৭, Source:সহিহ বুখারী-৯৬৯
“যিলহজ্জ মাস শুরু হলে যে ব্যক্তি কুরবানি করতে চায় সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে।” 
Source: আবু দাউদ-২৪৩৭, Source:সহিহ বুখারী-৯৬৯

জান্নাত সম্পর্কিত হাদিস(Islamic Quotes)

মুসলমানরা কোন কাজ করলে আল্লাহ্‌ নিজেই জান্নাতের জিম্মাদার হবেন?

১৮। জান্নাত সম্পর্কিত হাদিসে, আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু বলেছেন, 

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

“ছয়টি অভ্যাস এমন রয়েছে, যার কোন একটি অভ্যাসের উপর কোন মুসলমান মারা গেলে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর ব্যাপারে আল্লাহ নিজেই জিম্মাদার।”

কোন লোক জিহাদে বের হয়ে মারা গেলে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর ব্যাপারে জিম্মাদার।

কোন ব্যক্তি কারো জানাজায় অংশগ্রহণ করে মারা গেলে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর ব্যাপারে জিম্মাদার।

অসুস্থ লোক দেখতে গিয়ে কেউ মারা গেলে, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর ব্যাপারে জিম্মাদার।

Source:সিলসিলাহ সহিহাহ, ৩৩৮৪ এবং আল-মুজামুল আওসাত, ৩৮৩৪

কোন ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে গিয়ে মারা গেলে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর ব্যাপারে জিম্মাদার।

Source:সিলসিলাহ সহিহাহ, ৩৩৮৪ এবং আল-মুজামুল আওসাত, ৩৮৩৪

কোন লোক একমাত্র শ্রদ্ধা করার উদ্দেশ্যে কোন নেতার (নেতা যদি মুসলিমদের নেতা হয় ও মুসলিমদের কল্যাণকামী হয়) নিকট গেলো এবং সেখানে সে মারা গেলো, আল্লাহ তাকে জান্নাত দেয়ার ব্যাপারে জিম্মাদার।

Source:সিলসিলাহ সহিহাহ, ৩৩৮৪ এবং আল-মুজামুল আওসাত, ৩৮৩৪

কোন লোক বাড়িতে থাকে, কারো গিবত করে না এবং তার নিকট কোন শাস্তি বা সন্তুষ্টির অভিযোগ করা হয় না এমন লোক মারা গেলে, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর ব্যাপারে আল্লাহ জিম্মাদার।

Source:সিলসিলাহ সহিহাহ, ৩৩৮৪ এবং আল-মুজামুল আওসাত, ৩৮৩৪

কোন ৪টি কাজ করলে জান্নাত পাওয়া যাবে?

১৯। যে কোন দিনে চারটি আমল করতে পারলে জান্নাতঃ

.আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে প্রাপ্ত,

❝ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ

আজ তোমাদের মাঝে কে (সিয়াম বা রোজা পালনকারী)?

 আবূ বকর (রাযিঃ) বললেন, আমি।

❝ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ

 আজ তোমাদের মাঝে কে একটা (জানাযাকে অনুকরণ করেছো)?

 আবূ বাকর (রাযিঃ) বললেন, আমি।

❝ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ

 তোমাদের মাঝে কে একজন (মিসকীনকে আজ খাবার দিয়েছো)?

 আবূ বাকর বললেন, আমি।

❝ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার বললেনঃ

 তোমাদের মাঝে কে আজ একজন (অসুস্থকে দেখতে গিয়েছো)?

 আবূ বাকর (রাযিঃ) বললেন, আমি।

❝ তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ

 যার মধ্যে এ কাজগুলোর সংমিশ্রণ ঘটেছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

Source:সহীহ মুসলিম

পৃথিবীতে জান্নাতী লোকের পরিচয়

২০। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তিন শ্রেণীর মানুষ জান্নাতী হবে।”

  • প্রথমত তারা, যারা রাষ্ট্রীয় কর্ণধার, ন্যায়পরায়ণ, সত্যবাদী এবং নেক কাজের তাওফীক লাভে ধন্য লোক।
  • দ্বিতীয়, ঐ সকল মানুষ, যারা দয়ালু এবং আত্মীয়-স্বজন ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি কোমলচিত্ত।
  • তৃতীয়, ঐ শ্রেণীর মানুষ, যারা পূত-পবিত্র চরিত্রের অধিকারী, যাঞ্চাকারী নয় এবং সন্তানাদি সম্পন্ন লোক।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তিন শ্রেণীর মানুষ জান্নাতী হবে।”
Source:সহীহ মুসলিম

কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌র আরশে ছায়া পাবেন কারা?

২১। মহানবী (সাঃ) বলেন, “সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় দেবেন, যেদিন(কেয়ামতের দিন) তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়াই অবশিষ্ট থাকবে না। তারা হলো,

মহানবী (সাঃ) বলেন, “সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় দেবেন, যেদিন(কেয়ামতের দিন) তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়াই অবশিষ্ট থাকবে না। তারা হলো,
Source:[সহীহ বুখারী-৬৬০, সহীহ মুসলিম-১০৩১]

(১) ন্যায়পরায়ন শাসক।

(২) যে যুবক আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে বড় হয়েছে।

(৩) যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে বেরিয়ে গেলেও তার অন্তর এর সাথে সম্পৃক্ত থাকে।

Source:[সহীহ বুখারী-৬৬০, সহীহ মুসলিম-১০৩১]

(৪) এমন দু’জন লোক যারা আল্লাহর জন্য পরস্পর ভালবাসা স্থাপন করেছে। এই সম্পর্কেই একত্র থাকে এবং বিচ্ছিন্ন হয়।

(৫) এমন ব্যক্তি যাকে কোন অভিজাত পরিবারের সুন্দরী রূপসী নারী (খারাপ কাজে) আহ্বান করেছে কিন্তু সে তাকে এই বলে প্রত্যাখ্যান করেছে, “আমি আল্লাহকে ভয় করি”।

Source:[সহীহ বুখারী-৬৬০, সহীহ মুসলিম-১০৩১]
মহানবী (সাঃ) বলেন, “সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় দেবেন, যেদিন(কেয়ামতের দিন) তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়াই অবশিষ্ট থাকবে না। তারা হলো,
Source:[সহীহ বুখারী-৬৬০, সহীহ মুসলিম-১০৩১]

(৬) এমন ব্যক্তি যে এত গোপনে দান-সদকা করেছে যে, তার ডান হাত যা দান করেছে তার বাম হাতও তা জানতে পারেনি যে, ডান হাত কি দান করেছে।

(৭) যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করেছে এবং তার দু’চোখ বয়ে পানি পড়েছে।” 

Source:[সহীহ বুখারী-৬৬০, সহীহ মুসলিম-১০৩১]
এমন ব্যক্তি যে এত গোপনে দান-সদকা করেছে যে, তার ডান হাত যা দান করেছে তার বাম হাতও তা জানতে পারেনি যে, ডান হাত কি দান করেছে।
যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করেছে এবং তার দু’চোখ বয়ে পানি পড়েছে।"

২২। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, 

আমার উম্মতের(অনুসারীদের)  মাঝে আইয়্যামে জাহিলী যুগের চারটি কু-প্রথা(খারাপ প্রথা) রয়ে গেছে যা লোকেরা পরিত্যাগ করতে চাইবে না। 

(১) বংশের গৌরব করা।  

(২) অন্যকে বংশের খোঁটা দেয়া, 

(৩) নক্ষত্রের মাধ্যমে বৃষ্টির জন্য প্রার্থণা করা, 

(৪) মৃতের জন্য বিলাপ করে কান্নাকাটি করা। 

 মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,
আমার উম্মতের(অনুসারীদের)  মাঝে আইয়্যামে জাহিলী যুগের চারটি কু-প্রথা(খারাপ প্রথা) রয়ে গেছে যা লোকেরা পরিত্যাগ করতে চাইবে না। 

কিয়ামতের দিন কাদের সাথে আল্লাহ্‌ তায়ালা কথা বলবেন না? 

২৩। মহানবী (সাঃ) বলেন, 

“এমন তিন প্রকার লোক রয়েছে, যাদের সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পবিত্রও করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।” 

◼️যে পরিধেয় বস্ত্র টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে রাখে।

◼️যে মিথ্যা কসম করে মাল চালায়।

◼️আর যে কিছু দান করে তার খোঁটা দেয়।

Source:সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৪৫৮

Source:সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৪৫৮

বিপদের মোকাবিলা করতে কোন সূরা পড়তে হবে?

২৪। রাসূল (সাঃ) বললেন, 

“সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার করে কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, ক্বুল আ‘ঊযু বিরাব্বিল ফালাক ও ক্বুল আ‘ঊযু বিরাব্বিন্‌নাস পড়বে।এই সূরা গুলোর সকল বিপদ-আপদের মুকাবিলায় তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।” 

Source:মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ২১৬৩

২৫। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যার সর্বশেষ বাক্য হবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

Source:আবু দাউদ-৩১১৬

Source:আবু দাউদ-৩১১৬

ইসলামিক ক্যাপশন(Islamic Caption)

তুমি ফিরে যাও আল্লাহ’র দিকে

সৌভাগ্য ফিরে আসবে তুমার দিকে!!

যখন বান্দার জ্বর হয়,

তখন গুনাহ গুলো ঝড়ে পড়তে থাকে

– হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)

❝যে ব্যক্তি সুন্দর মৃত্যু কামনা করে,

সে যেন মানুষের ব্যাপারে ভাল ধারণা পোষণ করে।❞

– ইমাম আশ শাফি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ)

[আত ত্ববাকাতুল কুবরা, শারানি: ১/৯৪]

জান্নাতের জাতীয় সংগীত হবে সূরা “আর রহমান” সূরাটি স্বয়ং আল্লাহ্‌ নিজে জান্নাতে শোনাবেন !

~সুবহানআল্লাহ্

মহানবী ( সা: ) বলেছেন ,

      যে ব্যক্তি তিনবার ,

” আল্লাহুম্মা ইন্নি আস‌আলুকাল জান্নাহ ” বলবে

               জান্নাত নিজেই বলবে ,

” হে আল্লাহ ! ঐ ব্যক্তিকে জান্নাতে ঢুকতে দিন “…

  ( তিরমিজি )

 নিজেকে কখনো অসুন্দর মনে করবেন না।
– কারণ আল্লাহর সৃষ্টি কখনো
 অসুন্দর হয় না।

এই আর্টিকেলে আমরা ইসলামিক উক্তি (25 Best Islamic Quotes Bangla) আলোচনা করেছি।

Useful Resources:

কোরআন শরীফের প্রতিটি আয়াত বাংলা অর্থ সহ

প্রতিটি হাদিস বাংলা অর্থসহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *