যারা দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চান অথবা বিদেশে যেকোন ধরনের চাকরি করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য হচ্ছে এই IELTS…দেশের বাইরে থাকার জন্য আপনাকে কমপক্ষে কিছুটা হলেও ইংরেজি জানতে হবে। সেক্ষেত্রে IELTS এর পাশাপাশি রয়েছে PTE এবং TOEFL.. IELTS প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আজকের আর্টিকেলে ঘরে বসে কীভাবে IELTS প্রস্তুতি শুরু করবেন তা নিয়ে আলোচনা করবো।
IELTS কি? (আইইএলটিএস কি ?)
IELTS (International English Language Testing System) হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পরীক্ষা। দেশের বাইরে পড়াশোনা বা যেকোনো চাকরির জন্যে IELTS খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন প্রায় বেশিরভাগ জায়গায় IELTS স্কোর দেখতে চায়। তাই IELTS এর স্কোরিং ভালো করতে হলে প্রয়োজন যথাযথ অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রম।
আইইএলটিএস (IELTS) কেন দিব? Ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে?
IELTS যেহেতু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পরীক্ষা তাই আপনাকে বাইরের দেশে উচ্চ ডিগ্রি গ্রহণ করতে বা কাজ করে বিদেশে থাকার জন্য প্রয়োজন এই IELTS এর। বেশিরভাগ দেশই রয়েছে যেখানে ইংরেজি হচ্ছে প্রধান ভাষা, সেখানে আপনাকে যেকোনো চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সগুলোতে আবেদনের জন্য ইংরেজি ভাষায় আপনি কতটুকু দক্ষ সেটির প্রমাণ দেখাতে IELTS এর প্রয়োজন। IELTS পরীক্ষায় যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে।আপনার যতবার ইচ্ছা হবে ততবার দিতে পারবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না বয়সের ক্ষেত্রে ও কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
আইইএলটিএস (IELTS)-এর প্রস্তুতি নেওয়ার আগে কী কী জানা জরুরি?
ইংরেজি হচ্ছে এমন একটি বিষয় যেই বিষয়ের বেসিকটা অনেকেরই ক্লিয়ার থাকে না। IELTS প্রস্তুতির জন্য সর্বপ্রথম যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে ইংরেজি বেসিক ভালোভাবে জানা। আপনি যদি বেসিকটা ভালোভাবে জানেন তবে আপনার পক্ষে ইংরেজি শেখা খুবই সহজ হবে। আপনার ইংরেজি বেসিক যদি দুর্বল হয় তবে আপনাকে অধিক সময় ধরে প্র্যাকটিস করতে হবে। আর পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার আগে অবশ্যই বেসিক ভালো করতে হবে।
IELTS পরীক্ষার ধরন (Types of IELTS Exam)
IELTS পরীক্ষা প্রস্তুতি শুরুর আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোন পরীক্ষাটি দিবেন এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। কারণ IELTS পরীক্ষার ২ টি পদ্ধতি রয়েছে।
১. IELTS Academic
২. General Training
IELTS Academic: বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স, মাস্টার্স, পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে বা স্টুডেন্ট ভিসায় বাইরের দেশে যেতে চাইলে IELTS Academic মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়।
IELTS GT: কারিগরি বা প্রশিক্ষণ বিষয়ে যদি কোন শিক্ষার্থী এডমিশন নিতে চায় তবে তাকে General Training মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। তাছাড়া যারা ইমিগ্রেশনের জন্য যেতে চায় তাদেরকে General Training(GT) দিতে হয়।
আইইএলটিএস (IELTS) পরীক্ষার পদ্ধতি
আইইএলটিএস (IELTS) পরীক্ষার যে Structure এবং Format রয়েছে ওইগুলো বাকিসব পরীক্ষার মতো না। এই পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন পুরোপুরি ভিন্ন রকমের। পরীক্ষার ধরন এবং প্রশ্নের প্রকৃতি ভালোভাবে বুঝতে না পারলে শুধু অনুশীলনের মাধ্যমে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবেন না।
IELTS পরীক্ষার ২টি মডিউলে ৪টি সেকশন থাকে।
- লিসেনিং(Listening)
- রিডিং(Reading)
- রাইটিং(Writing)
- স্পিকিং(Speaking)
লিসেনিং (Listening)
IELTS এর লিসেনিং (Listening) সেকশনে ৪ টি পার্ট থেকে ৪০ টি প্রশ্ন থাকে। ৩০ মিনিটে অডিও রেকর্ডিং শোনা এবং উত্তরপত্রে লেখার জন্য আরও ১০ মিনিটে। এই ৪ টি পার্টের পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার্থীরা শুধুমাত্র ১ বার রেকর্ডিং শুনতে পারবে। রেকর্ডিং কোন অবস্থাতে থামানো যাবে না।
লিসেনিং এর ক্ষেত্রে অ্যাকসেন্ট বুঝে উত্তর দেওয়াটা হচ্ছে সবথেকে কঠিন বিষয়। ৫ রকমের অ্যাকসেন্ট শোনাতে পারে। যেমন- British, American, Canadian, Australian & New Zealand..
IELTS Listening Test -এর প্রতিটি ধাপ একটি অন্যটির থেকে আলাদা, কারণ ৪টি ধাপের প্রশ্নের ধরন ভিন্ন। IELTS Listening Question Types হলো: Fill the blanks, Multiple choice, Matching, Plan, Map, Diagram labelling, Form, Table, Flow Chart, Summary Completion, Sentence Completion, Short Answer Questions..
বিভিন্ন ইংরেজি সংবাদ চ্যানেল BBC, CNN, Al Jazeera ইত্যাদি IELTS Listening প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখবে। তাছাড়া বিভিন্ন অনলাইন ভিডিও ও ইউটিউব ভিডিও, মুভি, খেলার ধারাভাষ্য এগুলো লিসেনিং প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
রিডিং (Reading)
রিডিং (Reading) এর পার্ট এ ৩ টি প্যাসেজ থেকে মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। সময় থাকে ১ ঘণ্টা। বিভিন্ন নিউজপেপার, বই, ম্যাগাজিন, জার্নাল থেকে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এই প্যাসেজ থেকে Fill in the blanks, True/False, Short Question, MCQ, Yes/No/Not Given, Sentence completion এইগুলোর উত্তর দিতে হয়।
রিডিং এর ক্ষেত্রে আগে ভালোভাবে প্রশ্ন পড়ে নেওয়াটা ভালো। তা না হলে পুরো প্যাসেজ পড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়বে। রিডিং সেকশনে ভালো করতে হলে নিয়মিত ইংরেজি পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বেশি বেশি ভোকাবুলারি আয়ত্তে আনতে হবে। যার ভোকাবুলারি যত ভালো সে রিডিং টেস্ট এ প্যাসেজ বুঝার ক্ষমতাই তার তত বেশি থাকে।
আরও পড়ুনঃ ১০০০+ নিত্য-প্রয়োজনীয় ইংরেজি শব্দ জানুন
রাইটিং (Writing)
রাইটিং সেকশনে ইংরেজি লেখার দক্ষতা যাচাই করতে হয়। সময় থাকে ১ ঘণ্টা।
IELTS এর রাইটিং (Writing) সেকশনকে সাধারণত ২ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
Task-1 &
Task-2..
Task-1 এর সময় ২০ মিনিট সময় থাকে।Task-1 এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন Bar Chart, Line Graph, Tables, Pie Chart, Diagrams, Maps – এইগুলোর মধ্যে পরীক্ষায় যেকোনো একটি থাকবে। এর সংক্ষিপ্ত সামারি তথা বর্ণনা দিতে হবে।অন্তত ১৫০ শব্দের মধ্যে বর্ণনা লিখতে হবে।
Task-2 এর সময় থাকে ৪০ মিনিট। Task-2 তে সাধারণত Essay Writing থাকে। Essay টি অন্তত ২৫০ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে। IELTS এর Writing Task- 1 থেকে Writing Task-2 তে বেশি নম্বর থাকায় Task-2 কে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। Essay Writing এর ক্ষেত্রে অনেকে ফরম্যাট ইউজ করে থাকে।
রাইটিং এর জন্য বিভিন্ন ইংরেজি আর্টিকেল, নিউজপেপার নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন নতুন নতুন ওয়ার্ড শিখে ভোকাবুলারি সমৃদ্ধ করতে হবে। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে এমন বিভিন্ন ধরনের Podcast, TEDx Talks, TED ইত্যাদি এইগুলো দেখার পাশাপাশি শোনা ও পড়ার দক্ষতা বাড়াতে হবে।
স্পিকিং (Speaking)
IELTS এর স্পিকিং সেকশনে ইংরেজি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা পরিমাপ করা হয়। IELTS Speaking সেকশনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়।
Speaking Part-1
Part-2 &
Part-3
স্পিকিং পার্টে তিনটি সেকশনে পরীক্ষার্থীদের ১১-১৪ মিনিটের পরীক্ষা দিতে হয়।
Part-1 এ কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। যেমন নাম, জন্মস্থান, পছন্দের বিষয়,পড়াশোনা ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।
Part-2 তে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে অনর্গল ১-২ মিনিট কথা বলতে হয়। যেমন- কোন একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে, অনুভুতি নিয়ে অথবা জায়গা সম্পর্কে বলতে হয়। এইগুলো বলার আগে প্রস্তুতির জন্য ১ মিনিট সময় দেওয়া হয়।
Part-3 তে পরীক্ষকের সাথে ৪-৫ মিনিট কথা বলতে হয়। পরীক্ষক সাধারণত একটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রায় 5-6টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে। প্রশ্নগুলো Part-1 এর চেয়ে কিছু জটিল এবং বিশ্বের চলমান বিষয়ের উপর ভিত্তি করে করা হয় । এই সেকশনের মার্কস এর ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা হয়। যেমনঃ Fluency and coherence (FC), Lexical Resource (LR), Pronunciation (P), Grammatical Range and Accuracy (GRA)
আরও পড়ুনঃ ইংরেজি শেখার সহজ উপায়
ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতির টিপস
IELTS পরীক্ষার ফরম্যাট ভালোভাবে বুঝা
IELTS প্রস্তুতির শুরুতে IELTS এর ফরম্যাটগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে। Listening, Reading, Writing, Speaking এই চারটি মডিউলে IELTS পরীক্ষা হয়ে থাকে। পরীক্ষার ফরম্যাটগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকলে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে ঘরে বসেই ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা যেতে পারে।
একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য সেট করা
শুরুতেই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য সেট করে নিতে হবে। আপনার এখন পর্যন্ত ইংরেজিতে যে পরিমাণ দক্ষতা রয়েছে সে অনুযায়ী লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। IELTS এ রাতারাতি স্কোর ভালো করা সম্ভব নয়। আবার আপনি যদি ইংরেজিতে অনেক দক্ষও হয়ে থাকেন তারপর ও পরিপূর্ণ প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষা দিয়ে উপযুক্ত স্কোর করা সম্ভব হবে না।
নিজের শক্তি এবং দুর্বলতা চিহ্নিত করা
ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতির সুবিধা হছে IELTS এর চারটি মডিউলের মধ্যে কোন মডিউলে নিজেকে দক্ষ মনে হয় এবং কোন মডিউলে দুর্বল এটি প্র্যাকটিসের মাধ্যমে নিজে নিজেই বুঝতে পারা সম্ভব হয়। যে বিষয়ে তেমন ভালো স্কোর আসে না সেই বিষয়গুলোতে ভালোভাবে ফোকাস করা। নিজের ভুল-ত্রুটি সবগুলো নিজে নিজে খোঁজে বের করা। যে বিষয়ে আপনি দক্ষ সেই বিষয়গুলোকে অবহেলা না করে যেইগুলোতে আপনি তেমন ভালো না সেই গুলোর সাথে দক্ষ বিষয়গুলোও প্র্যাকটিস করা প্রয়োজন।
রুটিনমাফিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা
যেকোনো পরীক্ষার ক্ষেত্রে রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা প্রস্তুতিকে একধাপ এগিয়ে রাখতে সহায়তা করে। তেমনি IELTS প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আপনি একটি নির্দিষ্ট রুটিন ফলো করে পড়াশোনা করতে পারেন। IELTS নিয়মিত প্র্যাকটিসের মাধ্যমে ভালো স্কোর করা সম্ভব। প্রতিদিনের কাজের মধ্যে অন্তত আধাঘণ্টা বা ১ ঘণ্টা সময় রাখুন এর জন্য। কতদিন ধরে প্রস্তুতি নিবেন এটা আপনার ইংরেজি দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। কমপক্ষে তিন বা চার মাস হাতে সময় নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়াটা ভালো।
ইংরেজির সাথে প্রতিটা সময় কাঠানোর ব্যবস্থা করা
ইংরেজি নিয়ে নিজের মধ্যে যে ভয় ও জড়তা কাজ করে সেটিকে সরিয়ে ফেলতে হবে। যদি নিজের আশেপাশে ইংরেজি ভাষাভাষীর লোক না থাকে তবে গুগল মিট, জুম ইত্যাদি এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে আপনি চাইলে বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন এই অ্যাপগুলো নিয়মিত ব্যবহার করুন। যেকোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে গেলে বাংলাতে না করে ইংরেজিতে কীভাবে ওই বিষয় নিয়ে চিন্তা করবেন সেই বিষয়ে খেয়াল করুন। প্রতিদিন কিছু না কিছু কাজের মাধ্যমে ইংরেজির সাথে সময় কাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
বেশি বেশি প্র্যাকটিস করা
Practice Makes A Man Perfect_Bruce Lee
শুধু আইইএলটিএস এর ক্ষেত্রে নয় যেকোনো বিষয়ে আপনি যত বেশি প্র্যাকটিস করবেন তত সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবেন। আইইএলটিএস এর যে মডিউলটি আপনার কাছে বেশি কঠিন মনে হয় ওই মডিউলের প্রশ্নগুলো বার বার প্র্যাকটিস করুন। বাজার থেকে ক্যামব্রিজ এর বইগুলো কিনে চারটি মডিউলের মধ্যে প্রতিদিন একটি মডিউল করে প্র্যাকটিস করতে পারবেন।
ভোকাবুলারি সমৃদ্ধ করা
ভোকাবুলারি ছাড়া IELTS পরীক্ষায় দক্ষ হবেন এটি ভাবা যায় না। Writing ও Speaking অংশের জন্য প্রয়োজন ভোকাবুলারির। প্রতিদিন নতুন নতুন শব্দ শেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।প্রতিদিন নতুন শব্দগুলো ব্যবহার করতে হবে একটি নোটবুক ব্যবহার করবেন। যাতে আপনার শেখা সব ভোকাবুলারি একসাথে নোট করে রাখতে পারেন।নোটবুক থেকে এক সপ্তাহ বা এক মাসে আপনি কতগুলো নতুন ওয়ার্ড শিখতে পারলেন তার একটি নির্দিষ্ট ধারণা নিতে পারবেন।
রাইটিং (Writing) ও লিসেনিং (Listening) প্র্যাকটিস করা
লিসেনিং এর জন্য ক্যামব্রিজের সিরিজ রয়েছে। বই কিনতে গেলে এই সিরিজগুলো সিডিসহ কিনতে হবে। তাছাড়া অনলাইনে থেকে ও এই সিরিজগুলোর অডিও শোনে প্র্যাকটিস করতে পারবেন। রাইটিং এ ভালো করতে হলে আপনাকে প্রচুর লেখার অভ্যাস করতে হবে। বিভিন্ন আর্টিকেল, নিউজপেপার, ব্লগ এইগুলো বেশি করে পড়তে হবে। এতে আপনি লেখার জন্য বিভিন্ন আইডিয়া খুঁজে পাবেন। এবং আপনার ভোকাবুলারির ভাণ্ডারও সমৃদ্ধ হবে। বই থেকে মুখস্থ না করে নিজের মতো করে ইউনিকভাবে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। বাসায় অবশ্যই পেন্সিল দিয়ে লেখার অভ্যাস করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ শপিং বা দোকানে দরদামে ইংরেজি কথোপকথন
বেশি বেশি প্যাসেজ পড়ার অভ্যাস করা
রিডিং মডিউলে ভালো করার অন্যতম উপায় হচ্ছে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। আপনি ইংরেজি ভাষার যত ধরনের পত্রিকা রয়েছে সেগুলো পড়তে পারেন। তাছাড়া ব্লগ এবং বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পড়ার অভ্যাস করতে পারেন।ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, দ্য গার্ডিয়ান ও বিজনেস ইনসাইডারের মতো ম্যাগাজিন-পত্রিকা পড়া যেতে পারে। যেটি রিডিং মডিউলের প্যাসেজগুলোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
টাইম ম্যানেজমেন্ট
আইইএলটিএস পরীক্ষা নিয়ে ভয় পাবার কিছু নেই। সময় নিয়ে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব হবে। আপনার IELTS প্রস্তুতির ক্ষেত্রে টাইম ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। IELTS এর চারটি মডিউলের নির্ধারিত যে সময় রয়েছে সেই সময়ের মধ্যে প্রতিটা টাস্ক কমপ্লিট করার চেষ্টা করা। আপনার দুর্বল বিষয়গুলোর প্রতি ফোকাস করা এবং একটি কার্যকরী পদ্ধতি তৈরি করা।
অনলাইন অফলাইনে মক টেস্টে অংশগ্রহণ করা
IELTS পরীক্ষায় বসার আগে আপনাকে অনেকগুলো মক টেস্ট দিতে হবে। মক টেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে আপনি রিয়েল এক্সাম সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। আপনি অনলাইন অফলাইনে মক টেস্ট দিতে পারবেন। যত বেশি মক টেস্ট দিবেন পরীক্ষা নিয়ে ভয় জড়তা তত কমতে থাকবে। তাই মক টেস্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছুটান হলে IELTS এ ভালো স্কোর করা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না।
ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি কীভাবে শুরু করবো আর্টিকেলটি এই পর্যন্তই। এরপরও যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে পোস্টের নিচে জানাবেন। BDBasics এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।