অনলাইন থেকে আয় করুন দৈনিক ২৪০০০ টাকা

অনলাইন থেকে আয় করুন দৈনিক ২৪০০০ টাকা

চারদিকে চাকরির অভাব। টাকা আয়ের পথ খুব সীমিত। তাই অনলাইন থেকে আয় করুন দৈনিক ২৪০০০ টাকা আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য লিখতে বসলাম।

প্রথমেই বলে নিই অনলাইনে কাজের অভাব নেই। অভাব আছে দক্ষ মানুষের। আপনার অতি পরিচিত ফেসবুক থেকেই কিন্তু দিনে ১ হাজারের ও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

কি বিশ্বাস হয়না?

আয়ের পথগুলো বলে দিচ্ছি।

ফেসবুক থেকে অনলাইন ইনকাম

ফেসবুকে এখন অসংখ্য ব্যবসা আছে। প্রতিদিন ই কেউ না কেউ ব্যবসার জন্য পেজ খুলতেছে। আপনাকে পেজ খুলতে হবে না। যারা অলরেডি ব্যবসা করতেছে ফেসবুকে, তাদের পণ্যগুলো বিক্রি করার চেষ্টা করবেন।

ধরো একটা টি-শার্ট কোম্পানি অনলাইনে টি-শার্ট সেল করে। তোমার কাজ হল, তাদের সাথে যোগাযোগ করা। কন্ট্যাক্ট করবা তাদের সাথে। বলবা তুমি তাদের টি-শার্ট বিক্রি করে দিতে আগ্রহী। বিনিময়ে তাঁরা যাতে তোমাকে প্রতি টি-শার্টে ১৫% দেয়।

তাহলে একটা শার্টের দাম ২০০ টাকা হলে, তুমি পাবে ৩০ টাকা। এভাবে ১০টা শার্ট সেল করলেই ৩০০টাকা পেয়ে যাচ্ছো। এইরকম ভিন্ন ভিন্ন পণ্যের সেল করে কমিশন আয় করতে পারবে সহজেই।

ফেসবুক পেজ বিক্রি করে ইনকাম

এই কাজটা একেবারেই সহজ।

প্রথমে একটি ফেসবুক পেজ খুলো যেকোন একটি বিষয়ে।

ধরো আইফোন নিয়ে একটা পেজ খুলে ফেললা।

এখন এই পেজে নিয়মিত পোস্ট করো, আইফোন নিয়ে। বন্ধুদের এড দাও। শেয়ার দিতে বলো। প্রতিদিন ভাল ভাল পোস্ট করো।

আইফোন নিয়ে যাবতীয় সমস্যা ও সমাধান পোস্ট করো। এতে তোমার পেজের ফলোয়ার বাড়বে।

এভাবে যখন তোমার পেজের লাইক ১০ হাজার হয়ে যাবে, তখন তুমি পেজ বিক্রি করতে পারবেন।

ফেসবুকে লাইক বিক্রি করে আয় করুন দৈনিক ২৪০০০ টাকা

আবার লাইক কাজে লাগিয়ে ও ইনকাম করা যায়!

যদি তুমার পেজ এ অনেক আসল লাইক থাকে তাহলে তুমি মানুষকে যেই কথা বলবেন সেটা প্রভাব ফেলবে।

যেমন কিছু মানুষ আছে যাদের পেজ এ লাইক লাগবে। সুতরাং তুমার পেজে তাদের বিজ্ঞাপণ দিতে পারো।

উদাহরণ দেখে নাও- “ হ্যালো সবাই, আমি মোবাইল সার্ভিসিং এর উপর ভাল একটা পেজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার জন্য আপনারা এই পেজ এ লাইক দিতে পারেন। যেহেতু আপনার পেজ এর উপর মানুষের বিশ্বাস আছে, সেহেতু ঐ পেজ এ অনেক মানুষ ভিজিট করবে এবং লাইক দিবে।

তুমি ঐ পেজ এর মালিকের সাথে প্রতি ১০০০ লাইক এর জন্য নির্দিষ্ট একটা টাকা চাইতে পারো। এভাবেই তুমি ফেসবুক পেজ দিয়ে আয় করতে পারবা দৈনিক ২৪০০০ টাকা। যা তুমাকে স্বাবলম্বী করে তুলবে।

অনলাইন আয়ের বিষয় নিয়ে আলোচনা

Cost Per Mile (CPM)

CPM হলো এড এর মাধ্যমে টাকা আয় করার একটি উপায়। যা সাধারনত পেইজ ভিউ এর উপর নির্ভর করে আপনাকে পে করবে। এটাও সিপিসি সাইটের মত অনেকটা। আপনার ব্লগ সাইট বা ওয়েব সাইটের প্রতিদিনের পেইজ ভিউ যদি ১০০০ এর উপরে হয় তবে এই সাইটগুলো থেকে আয় করতে পারবেন। নিচে কিছু সাইট এর লিস্ট দেওয়া হলো – 

Sell Affiliates Products

এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ফোরাম, সোস্যাল সাইট, ব্লগ, ব্যক্তিগত সাইটে বিভিন্ন পণ্যের এড সো করে আয় করতে পারেন। যদি কেউ কোন পণ্য আপনার সাইট থেকে কিনে তাহলে এর একটা অংশ আপনাকে পে করবে যা থেকে আয় করুন দৈনিক ২৪০০০ টাকা। নিচে এই রকম কিছু সাইটের ঠিকানা দেওয়া হল।

আপনি কিছু সাইটের মাধ্যমে ফাইল, ছবি, সফটওয়্যার, এন্টিভাইরাস ইত্যাদি আপলোড করে আয় করতে পারেন। আপনার আপলোডকৃত ফাইল যত বেশি ডাউনলোড হবে আপনার আয়ও তত বেশী বাড়বে। নিচে কিছু সাইটের লিস্ট দেওয়া হলো –

কিছু সাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ লিখে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর লিখে নিচের সাইটগুলো থেকে আয় করতে পারেন

১০টি সেরা টিপস অনলাইনে ইনকামের

বাংলাদেশের মানুষদের জন্য অনলাইনে ইনকামের রাস্তা একটু কম। কিন্তু যেগুলো আছে সেগুলোর ব্যবহার করতে পারলেই কেল্লাফতে। তোমাকে এই ১০টির মধ্যে যেকোন ২টিতে সফল হতে হবে। তাহলেই কিছুদিন পর মাসে ২৪ হাজার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবা।

বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের উপায়গুলো 

১। পেড রিভিউ-এর মাধ্যমে আয় রোজগার সার্ভে বা জরিপ একটা পুরাতন পদ্ধতি আর এ বিষয়ে অনেকেই জানেন। “সার্ভে” সাইটে তুমি গিয়ে নিবন্ধিত হবে আর সার্ভে বা জরিপ আসার অপেক্ষা করবে;

সার্ভে ফর্ম পূরণ করে মতামত জানালে, প্রতিটি সার্ভের জন্যে টাকা পাওয়া যায়। সার্ভে সাইট হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে- SurveySavvy

২। নিবন্ধ লিখে আয় রোজগার এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইট আবার লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। এখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখা যায় আর তোমার আর্টিকেল বা নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বে, তুমি ততো বেশি টাকা পাবে। 

“শুভং” নামক একটা ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ করে নেয়।

অথবা বিভিন্ন পত্রিকায় লেখার জন্য মানুষ নেয়। সেখানে লিখতে পারো। পত্রিকার ওয়েবসাইটে যাও। ক্যারিয়ার অপশনে গেলেই চাকরির পদগুলো দেখতে পারবে।

৩। পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক এ আয় রোজগার পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক এর সাহায্যে বিভিন্ন ওয়েবসাইট (শুধুমাত্র স্পনসরড্ সাইটগুলো) ব্রাউজ করার জন্যে টাকা পাওয়া যায়। যদিও এরা কম টাকা দেয়, তাও নতুনদের জন্য ভাল।

একটা জনপ্রিয় পিটিসি সাইট যারা ভালো অর্থ প্রদানও করে থাকে সেটি হচ্ছে – bucks.to

৪। তোমার তোলা ছবির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। তুমি যদি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকো, তবে তোমার তোলা আকর্ষনীয় ও চমৎকার ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারো। অনলাইনের ডিজাইনাররা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, তুমি তাদের কাছে তোমার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারো।

তুমি তোমার ছবিগুলো istockphoto এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারো। 

৫।গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় রোজগার করার জন্যে তোমার প্রয়োজন একটা সচল ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ । তুমি নিশ্চয়ই এমন বিলবোর্ড বা পোস্টার দেখেছো যেখানে তারা (জনৈক অসাধু ব্যবসায়ীরা) দাবি করে যে, তুমি এখান ১০-২০ ডলার দৈনিক আয় করতে পারবে- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা!

গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় তখন, যখন কেউ গুগলের সেসব এডে ক্লিক করে। এক্ষেত্রে ইনকাম করার পূর্বে একটা তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তোমাকে তৈরী করে নিতে হবে। 

৬। তোমার মতামত প্রকাশের জন্যে টাকা পাবে হ্যাঁ, এটিই সময়ের নতুন আয় রোজগার মাধ্যম, এখন তুমি টাকা নিয়ে যেকোন ওয়েবসাইট বা কোম্পানীর ব্যাপারে তোমার মতামত দিয়ে একটা নিবন্ধ লিখে ফেলতে পারো তোমার ব্লগে।

পেইড রিভিউ সাইটগুলোর কল্যাণে, এখন তারা (কোম্পানী বা ওয়েবসাইটগুলো) তোমাকে তাদের পন্য, ব্র্যান্ড, বা ওয়েবসাইট নিয়ে লেখার জন্যে অর্থ পরিশোধ করবে। তোমার এই মতামত বা ব্লগ তাদের নিয়ে বাজারে পরিচয় সৃষ্টি করবে আর তারা পাবে অধিক পাঠক ও ক্রেতা।

এরকম একটা জনপ্রিয় পেইড রিভিউ সাইট হচ্ছে – Social Spark

৭।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয় রোজগার (সেবামূলক গোষ্ঠীর সাহায্য করা) এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে তুমি তোমার ওয়েবসাইটে কোন পন্যের প্রচার করবে এবং যখন পন্য বিক্রি হবে, তখন তুমি এর থেকে কমিশন পাবে।

নতুন অবস্থায় তুমি “click bank”-এর মাধ্যমে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে পন্য বিক্রয় করতে পারো।

৮।ব্যানার এডস্ বা “ব্যানার” জাতীয় বিজ্ঞাপন বিক্রি করে আয় রোজগার যদি তোমার একটা প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে, তবে বিজ্ঞাপনদাতারা তোমার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না। একেই বলে, ব্যানার এডস্ অথবা সরাসরি টাকা ইনকাম। তোমার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যতো বেশি হবে তোমার পাঠক সংখ্যা বাড়বে ততো বেশি আর তোমার আয়ও বাড়তে থাকবে।

৯। ফ্রিলান্সিং বা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে অর্থ উপার্জন বা ঘরে বসে আয় রোজগারের একটা চমৎকার সুযোগ। তোমার যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি অথবা এড্মিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে, তুমি অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারো। তুমি চাইলে ফ্রিলান্সিং ভিত্তিক একটা ক্যারিয়ারই গড়ে তুলতে পারো ঘরে বসে।

১০। টুইটারেও এখন বিজ্ঞাপণ দেয়া হয়। কিন্তু টুইটারে বিজ্ঞাপণ দেবার ক্ষেত্রে অনেক শর্ত থাকে। তাই সবাই এই কাজ পারে না।

তুমি গ্রাফিক্সের কাজ বিশেষ করে অল্প কথায় কিভাবে বিজ্ঞাপণ বানানো যায়, শিখে নাও। তাহলে এই সেক্টরে কাজ করতে পারবে। কাজ পাবার জন্য ফাইভার, আপওয়ার্ক কিংবা টুইটারেও অনেকে পোস্ট দিয়ে লোক খুঁজে। সেখান থেকে পেতে পারো।

অনলাইনে আয়ের টাকা বাংলাদেশে কিভাবে পাবেন?

এতক্ষণ তো কাজের কথা বললাম।

এখন কাজ করার পরে প্রাপ্য সম্মানি কিভাবে পাবে?

যেহেতু অনলাইনে কাজ তাই পেমেন্ট ও হবে অনলাইনে।

ক। চেকে টাকা পাওয়া: এটা একটা ব্যাংকের চেক যেটি তুমি যেকোন ব্যাংক থেকেই উত্তোলন করতে পারবে। এডসেন্স ও অন্যন্য সাইট এরকম চেকে টাকা পাঠিয়ে থাকে। এটা বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সাধারণ মাধ্যম। 

খ। পেপেল-এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া: পেপেল টাকা পাওয়ার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম, যেটি তোমাকে অনলাইনে টাকা পেতে সাহায্য করবে। অবশ্য, এখনও পেপেল বাংলাদেশে আসেনি কিন্তু শীঘ্রই আসবে।

গ। পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টারকার্ড: এটা বাংলাদেশে অনলাইনের টাকা পাওয়ার জন্যে নতুন এবং ভালো একটা রাস্তা। তুমি অডেস্ক থেকে মাস্টারকার্ড নিয়ে সেই কার্ড থেকে টাকা উঠাতে পারব।

এই সিস্টেম বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়।

ঘ। মানিবুকারস্ থেকে টাকা প্রাপ্তি: মানিবুকারস্ অনেকটা পেপালের মতোই আর এটা তোমার ব্যাংক একাউন্টের মতনও। বাংলাদেশে এটা প্রচলিত আছে।

Affiliate Marketing করে ইনকাম করুন

আপনার যদি ওয়েবসাইট এবং কিছু ব্লগ থাকে তাহলে Affiliate Marketing টাকা উপার্জন এর একটা ভাল উপায়। যদি শুধু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলেও আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইনে অনেক বিজনেস আছে যেখানে আপনি তাদের affiliates হয়ে যেতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে জানতে এই আর্টিকেল পড়ে নিন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনি বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে লিখবেন। অথবা ভিডিও বা ছবি বানাবেন। এক কথায় ঐ পণ্য প্রচার করবেন।

তারপর সেই পণ্যটি কোথা থেকে কিনবে তার একটা লিংক দিবেন। এই লিংকটাই হল অ্যাফিলিয়েট লিংক। যদি আমাজন এর লিংক দেন তাহলে আগে আমাজন এসোশিয়েট এ একাউন্ট করবেন। তারপর সেখান থেকে লিংক কপি করে কন্টেন্টে দিবেন।

আপনার দেয়া লিংক থেকে কেউ পণ্য কিনলেই আপনি কমিশন পাবেন।

আমাজন এসোশিয়েট কিভাবে ব্যবহার করবেন?

এই আর্টিকেলে পড়ে নিন বিস্তারিত।

অনলাইন থেকে আয় করুন দৈনিক ২৪০০০ টাকা নিয়ে আজকে এপর্যন্তই।