পেয়ারাকে বলা হয় সুপার ফ্রুট। কারণ আকারে ছোট হলেও এর উপকারিতা আছে বিশাল। আবার এটিকে ‘গরিবের আপেল ফল’ও বলা হয়। কারণ আপেলের অনেক উপকারিতা থাকলেও সবাই তা কিনতে সক্ষম হয় না। কিন্তু পেয়ারার উপকারিতা অনেকটা আপেলের কাছাকাছি রয়েছে। কিছু মানুষ আবার পেয়ারা কে ‘ফলের রাণী’ বলেও আখ্যা দেয়।
এই আর্টিকেল পড়ে যা যা জানতে পারবেনঃ ⇒ পেয়ারা কি? ⇒ পেয়ারার পুষ্টিগুণ ⇒ পেয়ারার উপকারিতা ⇒ পেয়ারা ওষধি গুণ ⇒ পেয়ারার অপকারিতা ⇒ পেয়ারা কোন কোন উপায়ে খাওয়া যায়?
পেয়ারা কি??
পেয়ারার ইংরেজি নাম হলো “Guava“। এটি আকারে ছোট হলে এর ব্যাপকতা বিস্তার লাভ করেছে অনেক। পেয়ারার বৈজ্ঞানিক নাম হলো Psidium Guajava। ছোট্ট গাছে ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এটি জন্মে। পেয়ারা মূলত Myrtaceae পরিবারের একটি ফল।
স্থানীয়ভেদে কেউ এটিকে ‘পিয়ারা‘ আবার কেউ আঞ্চলিক ভাষায় ‘গোয়াম‘ বলে থাকে। তাজা ও কীটনাশকমুক্ত পেয়ারাতে আছে ভিটামিন এ, বি এবং সি। এছাড়াও বিভিন্ন ফাইটোক্যামিক্যাল তো আছেই।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ
USDA তথ্যানুসারে প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারার পুষ্টিমূল্যঃ
পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ | পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ |
ক্যালরি | ৬৮ কিলোক্যারি | ক্যালসিয়াম | ১৮ মিলিগ্রাম |
পানি | ৮০% | আয়রণ | ০.৩ মিলিগ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ১৪ গ্রাম | ফসফরাস | ৪০ মিলিগ্রাম |
ফাইবার | ৫.৪ গ্রাম | পটাসিয়াম | ৪১৭ মিলিগ্রাম |
সুগার | ৮.৯ গ্রাম | থায়ামিন | ০.০৪ মিলিগ্রাম |
প্রোটিন | ২.৬ গ্রাম | রিবোফ্লাবিন | ১.০৬৮ মিলিগ্রাম |
কোলেস্টরল | ০ গ্রাম | নিয়াসিন | ৩৫ IU |
ফ্যাট | ১গ্রাম | সোডিয়াম | ১ গ্রাম |
আরও পড়ুনঃ মেথির ১৮টি উপকারিতা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন
পেয়ারার উপকারিতা
পেয়ারার প্রতিটি অংশেই বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। যার জন্য পেয়ারা এত সব উপকারিতা।
এই পেয়ারার স্কিন অর্থাৎ খোসাতে আছে ফেনলিক উপাদান । পেয়ারার বীজে আছে গ্লাইকোসাইড,ক্যারোটিনয়েডস, ফেনলিক উপাদান।
এছাড়াও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টিটিয়েনটিক, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, হিপোটানসিভ, অ্যালেনেজিক এবং এন্টি ইনফ্ল্যামারেটরি ইফেক্ট রয়েছে।
চলুন বিস্তারিত ভাবে উপকারিতাগুলো জেনে নিই।
১৷ মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
পেয়ারা বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি ফল। যেমন: ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন বি-৩, যা যথাক্রমে পাইরিডক্সিন এবং নিয়াসিন নামেও পরিচিত।
এই দুটি ভিটামিন মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে, স্নায়ু শিথিল করতে এবং মস্তিষ্কের স্মৃতি কোষকে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করে। ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
২৷ মানসিক সুস্থতা বজায় রাখে
এই ফলের মধ্যে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের পেশী এবং স্নায়ু শিথিল করতে সাহায্য করে। যারা দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন কাজের চাপে থাকে ,অবসাদগ্রস্ত হয়ে আছে বা ভারী ব্যায়াম করে তারা পেয়ারা খেলে শরীরের ক্লান্তভাব দূর হয়ে যায়।
পেয়ারা আমাদেরকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয় ও মানসিক স্বস্তি প্রদান করে।
৩৷ গর্ভবতী নারীদের ফলিক এসিডের চাহিদা মেটায়
পেয়ারা ভিটামিন বি-৯ সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি গর্ভবতী নারীদের ফলিক এসিডের চাহিদা পূরণ করে এবং এটি শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সহায়তা করে ও ভ্রূণকে স্নায়বিক রোগ থেকে রক্ষা করে।
বি-ভিটামিন আমাদের কোষগুলিকে বিভক্ত করে এবং শিশুর ভ্রূণের জন্য ডিএনএ এবং জেনেটিক উপাদান তৈরি করতে সাহায্য করে। অতএব,গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়েটে পেয়ারা ফল রাখতে হবে।
৪৷ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
পেয়ারাতে লাইকোপেন, কোয়ারসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনলের মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপস্থিত আছে। এটি শরীরে ফ্রি রেডিকেল হিসেবে কাজ করে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে।
কয়েকটি গবেষণার দেখা গেছে যে, পেয়ারা ফলটি প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এবং স্তন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে।
তবে ফলটি নিয়মিত খেলেই তবেই উপকার পাওয়া যাবে।
৫৷ দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়
গাজরের পর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সবচেয়ে সুপরিচিত হলো পেয়ারা। পেয়ারাতে বিদ্যমান ভিটামিন-এ কেবল দৃষ্টিশক্তির উন্নতিই ঘটায় না বরং এটি চোখের নানা সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে।
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার ছানি পড়া প্রতিহত করে এবং বৃদ্ধদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৬৷ আয়রণ শোষণ বাড়িয়ে তোলে
পেয়ারা ভিটামিন সি এর অন্যতম একটি সমৃদ্ধ উৎস। পেয়ারাতে উপস্থিত ভিটামিন সি কমলার চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি থাকে।
আর ভিটামিন সি আমাদের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসকে মেরে ফেলে সাধারণ যেসব সংক্রামিত রোগ আছে সেগুলো থেকে রক্ষা করে।
এছাড়াও, পেয়ারা আয়রন শোষণ বৃদ্ধি করে কারণ এতে ভিটামিন সি আছে।
৭৷ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে
পেয়ারা ফাইবারের একটি ভালো উৎস এবং এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকে । তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের এবং যারা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে চায় তাদের জন্যও এটি উপকারী বটে।
তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা জানতে এখানে ক্লিক করুন।
৮৷ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
পেয়ারাতে লো সোডিয়াম ও হাই পটাসিয়াম আছে যা আমাদের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
আবার একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, পাকা পেয়ারার খোসা ছাড়িয়ে খেলে রক্তচাপ কম থাকে।
ফলে যারা উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় আছেন তারা অবশ্যই পাকা পেয়ারা খোসা ছাড়িয়ে নিয়মিত খান।
৯৷ কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে
পেয়ারাতে প্রায় ৫.৪ গ্রাম ফাইবার আছে। আর ফাইবার আদের পাচনতন্ত্রের জন্য ভালো। ফাইবার বদহজম কমায়,পানি ধরে রাখে ,মল নরম ও মল বৃদ্ধি করে।
ডায়রিয়া, আমশায় প্রতিরোধ করে ,পেট ব্যথা কমায় ও বমি বমি ভাব কমায়।
১০৷ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
পেয়ারা আমাদের দাঁতের ব্যথা, মাড়ির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। পেয়ারাতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে।
এগুলো মুখের দুর্গন্ধ দূর করে সাথে মুখের খারাপ ব্যাকটেরিয়ায় ধ্বংস করে। নানা কারণে আমাদের গলা ব্যথা কমায়।
১১৷ ঠান্ডা কাশি জ্বরের বিরুদ্ধে কাজ করে
অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান আমাদের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। বিশেষ করে সিজনাল যেসব সমস্যা আমরা সম্মুখীন হই সেগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে পেয়ারার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অন্যান্য উপাদান।
আমাদেরকে হঠাৎ হঠাৎ ঠান্ডা সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়া ছাড়াও পেয়ারা আমাদের কিডনি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
আবার এগুলো আমাদের যেকোনো ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১২৷ কোলেস্টরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে
পেয়ারাতে জিরো কোলেস্টরল থাকায় যারা কোলেস্টরলের সমস্যায় জর্জরিত, তারা অনায়াসে এটি খেতৈ পারেন।
এটি ট্রাইগ্লিসারাইড ও এলডিএল কমাতে সাহায্য করে ।
১৩৷ ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় খুব প্রয়োজনীয় ভিটামিন । এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম,পটাসিয়াম এগুলো আমাদের ত্বক কোমল রাখে।
পেয়ারাতে উপস্থিত পানি আদের ত্বক টানটান করে ও শুষ্কতা কমায়।
১৪৷ ওজন কমাতে সাহায্য করে
যারা ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় আছেন তাদের ডায়েট চার্টে লো কার্বোহাইড্রেট ও লো ক্যালরি হিসেবে ও ফাইবার এর জন্য এটি রাখতে পারেন।
ওজন কমাতে লো কার্ব ডায়েট ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ওজন কমানোর সহজ উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুন।
পেয়ারার ওষুধি গুণাগুণ
পেয়ারার ওষধি গুণ বলতে শুধু ফল উপকার করে এমনটি নয়। ফলটির পাতা ,বীজ ও গাছের বাকলের উপকারিতা থাকলে তখনই ওই ফলের ঔষধি গুণাগুণ আছে কি না বোঝা যায়।
এর পাতায় ফেনলিক উপাদান, আইসো ফ্লাভোনয়েড, গ্যালিক এসিড, ক্যাচেটিন, রুটিন রয়েছে। এত সব উপাদানের জন্যই পেয়ারা পাতার এত সব গুণাগুণ।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা
১) পেয়ারা পাতা জ্বর, ঠান্ডা, কাশির ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ২) পেয়ারা পাতা রক্তের শর্করা লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে। ৩) লিভার ডিটক্সিফিকেশন করে সাথে কিডনির উপকার করে। ৪) যাদের ডায়রিয়া হয় তাদেরকে পেয়ারা পাতার পানি খাওয়ালে শরীরে পুষ্টি পাওয়া যায়। সাথে পানির চাহিদা পূরণ হয়। ৫) যারা দীর্ঘদিন ধরেই পায়ের ব্যথা ও অস্টিওপোরেসিস এ আক্রান্ত তারা পেয়ারা পাতার পানি খেলে ব্যথা কম থাকে। ৬) মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পেয়ারা পাতা উপকারী। ৭) দাঁতের ব্যথায় পেয়ারা পাতা ভালো কাজ করে। ৮) অল্প পরিমাণে পেয়ারা পাতার উষ্ণ পানি মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ৯) পেয়ারা সিদ্ধের ঠান্ডা পানি চুল পড়া কমায় সাথে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
পেয়ারা গাছের বাকল
অনুরূপভাবে পেয়ারা গাছের ছাল বা বাকল সিদ্ধ করে পানি খেলেও একই উপকারিতা পাওয়া যায় ।
পেয়ারা পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
পেয়ারা পাতা ধুয়ে পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। তবে বেশিক্ষণ যেন সিদ্ধ না করা হয়। বেশি তাপ পেলে পুষ্টি কমে যায়।
তারপর সেই পানি উষ্ণ গরম রেখে খাওয়া যায় , আবার ব্যথার স্থানে লাগালেও উপকার হয়। দাঁতের সমস্যায় পেয়ারা পাতা সিদ্ধ করে লবণ দিয়ে কুলকুচি করলে ব্যথা কমে। এটি একাধারে কয়েক সপ্তাহ করতে হবে।
পেয়ারার অপকারিতা
উপকারিতা যেমন আছে তেমনি কিছু ক্ষতিকর দিক আছে বা কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
১৷ পেয়ারাতে সুগার আছে তাই ডায়াবেটিস রোগীরা এটি পরিমাণে অল্প খাবেন । অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সুগার লেভেল বেড়ে যেতে পারে। তবে যার যার সুগার লেভেল কত সেই অনুযায়ী খেতে হবে যেন শারীরিক সমস্যা না হয়। ২৷ পেয়ারা পাতার পানি বেশি খেলে গ্যাস সমস্যা হতে পারে। ৩৷ কিডনি রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে খাবেন, কেননা এতে পানির পরিমাণ বেশি সাথে পটাসিয়াম আছে যা কিডনি রোগীদের জন্য সতর্কতা সরূপ। ৪৷ পেয়ারা পাতার পানি ত্বকে লাগালে ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। কারণ এটি সবার ত্বকের সাথে ম্যাচ হয় না। আবার যাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা আছে তাদেরও এটি ব্যবহার করা উচিত না। ৫৷ ডায়রিয়ায় পেয়ারা উপকারী হলেও পেয়ারার বীজ এই সময়ে হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই ডায়রিয়া হলে পাকা পেয়ারা বীজ ছাড়া খেতে হবে।
পেয়ারা কোন কোন উপায়ে খাওয়া যায়?
পেয়ারার জেলি, জ্যাম এখন বাজারে পাওয়া যায়। তবে তাজা আস্ত পেয়ারা শরীরের জন্য বেশি উপকারি। পেয়ারার ভর্তা, আচার করেও খাওয়া হয়।
ছোট বলে কোনো কিছুকেই যেমন অবহেলা করা যায় না তেমনি পেয়ারাও। হাতের কাছে অতি স্বল্প মূল্যে আমরা এই ফলটি পেতে পারি সাথে শরীরে নানা উপকারিতাও যুক্ত হবে। প্রতিদিন বা সপ্তাহে কয়েকদিন খাদ্য তালিকায় ফল রাখলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার বয়ে আনে। তাই অন্যান্য ফলমূলের পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় যুক্ত করে নিন পেয়ারা নামক ফলটি।
References:
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC8066327/
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC5071920/
https://www.researchgate.net/publication/330702066_A_short_review_on_a_Nutritional_Fruit_Guava
https://www.researchgate.net/post/What-are-the-health-benefits-of-Guava
https://www.webmd.com/vitamins/ai/ingredientmono-1133/guava