পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে অন্যান্য মাসগুলো থেকে অন্যতম বরকতময় একটি মাস। মুসলিম জাতির জন্য এই রমজান মাস হচ্ছে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ,আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার এবং গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যম। রমজান মাস অত্যন্ত মহিমান্বিত মাস কারণ এ মাসেই পবিত্র কোরআন মাজীদ নাজিল হয়েছে।
আল কোরআনের ভাষায় “রমজান মাস এমন এক মাস, এ মাসেই কোরআন নাজিল হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতির জন্যে দিশারী, সত্যপথের স্পষ্ট পথনির্দেশকারী এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নিরুপণকারী।” (সূরা বাক্বারা, আয়াত : ১৮৫)। রাসুল (সা.) বলেন, রোজা সম্পর্কে আল্লাহ স্বয়ং এরশাদ করেছেন: “রোজা আমার জন্যে এবং আমিই তার পুরস্কার দান করবো।”
রমজান মাসে রোজা রাখার পাশাপাশি তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। তারাবির নামাজ হচ্ছে সুন্নাতে মুয়াকাদ্দাহ। অর্থাৎ নবী করিম (সা) এর নির্দেশ। তিনি নিজে তারাবির নামাজ পড়েছেন এবং আমাদেরকে ও পড়তে নির্দেশ করেছেন।
তারাবির নামাজ সম্পর্কে নবী করিম (সা) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন আর আমি তোমাদের জন্য তারাবি নামাজকে সুন্নত করেছি। যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় দিনে রোজা পালন করবে এবং রাতে তারাবির নামাজ আদায় করবে, সে গুনাহ হতে এরুপ পবিত্র হবে,যেরুপ নবজাতক শিশু মাতৃগর্ভ থেকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়। (নাসাই, পৃষ্ঠাঃ২৩৯)।
এই আর্টিকেলে তারাবির নামাজের দোয়া, তারাবির নামাজের নিয়ম, নিয়ত, রাকাত, দোয়া ও মোনাজাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
তারাবি নামাজ কি? (tarabir namaj ki)
পবিত্র রমজানের গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত সমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সালাতুত তারাবিহ। পবিত্র রমজান মাসে এশার নামাজের ফরজ এবং সুন্নত আদায় করার পর বিতর নামাজের পূর্বে দুই রাকআত দুই রাকআত করে যে বিশ রাকআত নামাজ পড়া হয় তাই হচ্ছে ‘তারাবির নামাজ’।
সাধারণ নফল ও সুন্নতের মধ্যে অধিক মর্যাদাবান এই নামাজ এবং গুরুত্বের দিক থেকে তারাবির নামায সুন্নাতে মুয়াকাদ্দাহ যা ওয়াজিবের কাছাকাছি।
‘তারাবিহ’ আরবি শব্দ। যা তারবিহাতুন শব্দের বহুবচন।যার অর্থ আরাম,প্রশান্তি,বিরতি,বিশ্রাম নেওয়া। ২০ রাকআত তারাবি নামাজের প্রতি চার রাকাআত অন্তর অন্তর নামাজে বিরতি নিয়ে আরামের সাথে আদায় করা হয় তাই এই নামাজকে তারাবিহ নামাজ বলা হয়।
তারাবির নামাজের নিয়ম (tarabi namaz porar niom)
রমজান মাসের রাতে এশার ফরজ চার রাকআত নামাজ এবং সুন্নত দুই রাকআত নামাজের পর বিতর নামাজের আগে দুই রাকআত করে ১০ সালামে ২০ রাকআত তারাবির নামাজ পড়া হয়। এই নামাজ অন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতোই। এর বিশেষ কোন নিয়ম নেই।
তারাবির নামাজ যেভাবে পড়বেনঃ-
- এশার চার রাকআত সুন্নত
- এশার চার রাকআত ফরজ
- এশার দুই রাকআত সুন্নত/সুন্নত পড়ে দুই রাকআত এশার নফল। আপনার যদি ইচ্ছা হয় পড়বেন। না পড়লেও হবে।
- দুই রাকআত দুই রাকআত করে বিশ রাকআত তারাবির নামাজ
- তিন রাকআত বিতর।
তারাবির নামাজ কত রাকাত (tarabir namaj)
তারাবি নামাজ দুই দুই রাকাআত করে যেকোনো সংখ্যক পড়া যায়। তারাবি নামাজের রাকআত নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। হানাফি, শাফিয়ী, হাম্বলি ও ফিকহের অনুসারীগণ ২০ রাকআত, মালিকী ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকআত এবং আহলে হাদিসের অনুসারীগণ ৮ রাকআত তারাবির নামাজ আদায় করেন।
বাংলাদেশে তারাবির নামাজ দুইভাবে হয়ে থাকে। খতম তারাবি এবং সূরা তারাবি। খতম তারাবিতে সম্পূর্ণ কোরআন পাঠ করা হয়। খতম তারাবিতে হাফেজগণ ইমামতি করেন। সূরা তারাবিতে যেকোনো সূরা বা কোরআন শরীফের যেকোনো সূরার আয়াত দ্বারা পড়া হয়।তারাবির নামাজ নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সুন্নতে মুয়াকাদ্দাহ।
আরও পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, নিয়ত, গুরুত্ব ও ফজিলত (tahajjud namaz niyat o fozilot)
তারাবি নামাজের নিয়ত (tarabi namaz niyat)
যেকোনো কিছু করার আগে প্রয়োজন হয় নিয়তের। তারাবির নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে ও আগে নিয়ত করতে হয়। নিয়ত আপনি বাংলাতেও করতে পারেন। আমাদের দেশে প্রচলিত তারাবি নামাজের নিয়ত হচ্ছেঃ-
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ للهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلَوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
অর্থ : আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তারাবি সুন্নত নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার।
তারাবির নামাজের নিয়ত আরবিতে করা আবশ্যক বা বাধ্যতামূলক নয়। তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলাতে ও করতে পারবেন এভাবেঃ- আল্লাহর সন্তুষ্টি জন্য আমি কিবলামুখী হয়ে(জামায়াতে হলে-ইমামের পিছনে বলতে হবে) দুই রাকআত তারাবির নামাজ পড়ছি (اَللهُ اَكْبَر)আল্লহু আকবার।
তারাবির নামাজের দোয়া (tarabi namaz dua)
তারাবি নামাজের ব্যাপক প্রচলিত একটি দোয়া রয়েছে। চার রাকাআত তারাবি নামাজ আদায়ের পর প্রায় সব মুলসিম এই দোয়া পড়ে থাকেন। দোয়াটি হচ্ছেঃ-
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
উচ্চারণঃ ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’
এই দোয়াটি প্রতি চার রাকআত পড়ে পড়া হয়ে থাকে। এই দোয়ার সাথে তারাবি নামাজ হওয়া কিংবা না হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। এই দোয়াটি না জানলেও কোন সমস্যা নেই। আপনি কোরআন শরীফ থেকে যেকোনো দোয়া পড়তে পারেন।
তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল
তারাবির নামাজ হচ্ছে সুন্নতে মুয়াকাদ্দাহ। স্বয়ং নবী করিম (সা) এই নামাজটি আদায় করেছেন এবং তার সাহাবীদেরকে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন।আর সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতই।
অর্থাৎ ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহী করতে হবে, তেমনি সুন্নতে মুআক্কাদার ক্ষেত্রে জবাবদিহী করতে হবে। তবে ওয়াজিব তরককারীর জন্য সুনিশ্চিত শাস্তি পেতে হবে, আর সুন্নতে মুআক্কাদা ছেড়ে দিলে কখনো মাফ পেয়েও যেতে পারে। তবে শাস্তিও পেতে পারে।_ আল্লামা জুরজানী (রাহ)
তারাবি নামাজের মোনাজাত (tarabi namaz munajat)
তারাবি নামাজের চার রাকআত পরে পরে অনেকে মোনাজাত করে থাকেন। আবার কেউ কেউ নামাজ শেষ করে মোনাজাত করেন। তবে নামাজ শেষ করে বিতরের নামাজের পরে মোনাজাত করাটা উত্তম।
মোনাজাতটি হচ্ছেঃ-
اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’
মোনাজাতটি পড়ার ক্ষেত্রে তারাবির নামাজ হওয়া না হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। আবার মোনাজাতটি পরলে যে তারাবির নামাজ বিশুদ্ধভাবে আদায় হয়েছে এর কোন সম্পর্ক নেই।
রমজান জুড়ে বিশ্বনবীর এ দোয়াগুলো বেশি বেশি করা জরুরি। আর তাহলো-
– اَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﺗُﺤِﺐُّ اﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﻲ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন, তুহিব্বুল আফওয়া, আ’ফু আ’ন্নি।
তাছাড়া তারাবিহ নামাজের পর সাইয়্যিদুল ইসতেগফারও পড়া যেতে পারে-
– اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানি; ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আ’হদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্বা’তু, আউজুবিকা মিন শাররি মা সানা’তু আবুউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়া; ওয়া আবুউ বিজামবি ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা।’
আরও পড়ুনঃ নামাজের জন্য প্রয়োজনীয় সূরা সমূহ পর্ব-১
তারাবি নামাজের ফযিলত
হাদিসে তারাবির নামাজের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে তারাবির নামাজ আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি)
মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন, আর আমি তোমাদের জন্য তারাবির নামাজকে সুন্নত করেছি। যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে দিনে রোজা পালন করবে ও রাতে তারাবির নামাজ আদায় করবে, সে গুনাহ থেকে এমন পবিত্র হবে, যেমন নবজাতক শিশু মায়ের গর্ভ থেকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়।’ (নাসায়ি)
হযরত আয়েশা (রা) বলেন রাসুলুল্লাহ (সা)একবার রমজান মাসের রাত্রিবেলা মসজিদে নববিতে নামাজ(তারাবি) আদায় করলেন। উপস্থিত লোকজন ও তার সাথে নামাজ আদায় করলেন।একইভাবে তারা দ্বিতীয় দিন ও নামাজ আদায় করলেন এবং লোকসংখ্যা অনেক বেশি হলো। অতঃপর তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে ও মানুষজন একত্রিত হলো। কিন্তু রাসুলুল্লাহ(সা) হুজরা থেকে বের হয়ে তাদের কাছে আসলেন না।অতঃপর সকাল হলে তিনি এলেন এবং বললেন তোমাদের অপেক্ষা করার বিষয়টি আমি লক্ষ্য করেছি। কিন্তু শুধু এই ভয়ে আমি তোমাদের কাছে আসা থেকে বিরত থেকেছি যে, আমার আশঙ্কা ছিলো যে না জানি উহা(তারাবির নামাজ) ফরজ করে দেওয়া হয়। (বুখারি)
রমজান মাসের বিশেষ ফযিলতপূর্ণ আমলের মধ্যে একটি হচ্ছে তারাবির নামাজ আদায় করা। তারাবির নামাজকে কোনভাবে অবহেলা করা উচিত নয়। আল্লাহ আমাদেরকে রমজান মাসে গুরুত্বের সাথে তারাবির নামাজ আদায়ের এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের তৌফিক দেন। আমিন।
FAQs
তারাবীহর (আরবি: تَرَاوِيْحِ; একবচন ‘তারবীহাতুন’, আরবি: تَروِيْحَة) আভিধানিক অর্থ বসা
‘রমজান মাসে এশার নামাজের পর আদায় করা সুন্নাত নামাজ হচ্ছে তারাবির নামাজ
তারাবি নামাজ দুই দুই রাকাআত করে যেকোনো সংখ্যক পড়া যায়। ৮ রাকাত অথবা ২০ রাকাত পড়তে পারেন।
তারাবির নামাজ হচ্ছে সুন্নতে মুয়াকাদ্দাহ। স্বয়ং নবী করিম (সা) এই নামাজটি আদায় করেছেন এবং তার সাহাবীদেরকে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন।