বাংলাদেশের অতি পরিচিত একটি ফল জাম্বুরা।সাধারণত শীতকালে জাম্বুরার মৌসুম। কিন্তু এখন বিভিন্ন জাতের উদ্ভাবন হওয়ার পর এখন সারা বছরই জাম্বুরা পাওয়া যায়। পাকা রসালো জাম্বুরা লবণ মরিচ ও সরিষার তেল দিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। সেই হিসেবে এখন শহরের অলিগলিতে জাম্বুরার আচার ও ভর্তা কিনতে পাওয়া যায়। লোভনীয় এই ফলটি খেতে সবাই খুব পছন্দ করে। এই আর্টিকেল পড়ে আমরা জাম্বুরা ও জাম্বুরার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এই আর্টিকেল পড়ে যা যা জানতে পারবেনঃ 👉 জাম্বুরা কি? 👉 জাম্বুরার পুষ্টিমূল্য 👉 জাম্বুরার উপকারিতা 👉 জাম্বুরা খাওয়ার নিয়ম 👉 জাম্বুরার অপকারিতা 👉 জাম্বুরা চাষ
জাম্বুরার উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে প্রথমেই জাম্বুরা ও তার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নিই।
জাম্বুরা কি? (Jambura ki?)
জাম্বুরা হলো রুটেসা (Rutaceae) পরিবারের সবচেয়ে বড় রসালো সাইট্রাস ফল।এটি দেখতে গোলাকার,বাইরের দিক সবুজ ও হলদে থাকে।ফলটি পেকে গেলে ভিতরের দিকে লাল আবার লালচে সাদা বা গোলাপি হয়ে থাকে।
জাম্বুরার ইংরেজি নাম Pomelo বা Pommelo বা pumelo বা Grapefruits। জাম্বুরার বৈজ্ঞানিক নাম হলো citrus maxima । জাম্বুরা বাতাবি লেবু নামেও পরিচিত। এছাড়া কিছু এলাকায় তুরুণজা নামেও অভিহিত করা হয়।
জাম্বুরা বিভিন্ন জাতের হয়, তাই স্বাদেও পাথর্ক্য থাকে। কিছু স্বাদে মিষ্টি, কিছু টক আবার কিছু একটু তেতো লাগে।
জাম্বুরার পুষ্টিমূল্য
জাম্বুরা ফলের আছে নানা গুণ । প্রথমেই আমরা জাম্বুরার পুষ্টিমূল্য সম্পর্কে জেনে নিই।
USDA তথ্যানুসারে প্রতি ১০০ গ্রাম বাকল ছাড়ানো জাম্বুরাতে আছে –
পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ | পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ |
ক্যালরি | ৩৮ কিলোক্যারি | ভিটামিন সি | ৬১ মিলিগ্রাম |
পানি | ৮৯% | ফসফরাস | ১৭ মিলিগ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ১০ গ্রাম | আয়রন | ০.১ মিলিগ্রাম |
প্রোটিন | ০.৮ গ্রাম | ভিটামিন এ | ৮ IU |
ফ্যাট | ০ গ্রাম | থায়ামিন | ০.০৩মিলিগ্রাম |
ফাইবার | ১ গ্রাম | রিবোফ্লাবিন | ০.০৩মিলিগ্রাম |
কোলেস্টরল | ০ গ্রাম | নিয়াসিন | ০.২ মিলিগ্রাম |
পটাসিয়াম | ২১৬ মিলিগ্রাম | ক্যালসিয়াম | ৪ মিলিগ্রাম |
জাম্বুরার উপকারিতা
জাম্বুরাতে লো ক্যালরি, লো সোডিয়াম ও খুব ভালো পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এছাড়াও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফ্লাভোনয়েডস ,ক্যারোটিনয়েডস, অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান তো আছেই।
চলুন বিস্তারিত সব উপকারিতাগুলো জেনে নিই।
১) গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায়
জাম্বুরা ভিটামিন সি,মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফাইটোক্যামিক্যাল সমৃদ্ধ একটি ফল।
যাদের খাবার হজমে সমস্যা হয় ,কারণে অকারণে পেটে ব্যথা থাকে ,পেট ফাঁপা সমস্যায় ভোগেন তারা নিয়মিত জাম্বুরা খেলে এই ধরনের সমস্যা লাঘব করতে পারবেন।
২) হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
জাম্বুরাতে পটাসিয়াম, ভিটামিন সি,ভিটামিন বি রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন সি হার্টের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে, তবে সেটি নিয়মিত খেতে হবে ও ট্রান্স ফ্যাটজাতীয় ( সয়াবিন তেল বা ডুবো তেলে ভাজা )খাবার এড়িয়ে চলতে হবে ও ব্যায়াম করতে হবে।
৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
ভিটামিন সি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ফ্রি রেডিকেল থেকে কোষে রক্ষা করে। এটি শরীরে আগত জীবাণু ধ্বংস করে ও ফ্যাগোসাইটেসিস প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
বিভিন্ন ইনফেকশন ও শ্বাসনালির সমস্যা প্রতিরোধ করে।
৪) অশ্বরোগ প্রতিরোধে
জাম্বুরাতে আছে ডায়াটেরি ফাইবার । আর ফাইবার পেটের পরিবেশ ভালো রাখতে সহায়তা করে ,খাবার হজমে সহায়তা করে, অন্ত্রের জীবাণু ধ্বংস করে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। আর দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে অশ্বরোগ হয়। ফাইবার এই কোষ্ঠকাঠিন্যকে প্রতিরোধ করে।
৫) ওজন কমাতে
যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাদ্যতালিকায় লো ক্যালরি ও উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থাকে বেশি।জাম্বুরা এমন একটি ফল যেটি ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
জাম্বুরা ক্ষুধা নিবারণ করে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ এড়াতে সাহায্য করে।
তাছাড়া ২২টি সহজ উপায়ে ওজন কমাতে চাইলে এই আর্টিকেল পড়ুন।
৬) রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে
লো সোডিয়াম ও উচ্চ পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পটাসিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রেখে রক্তনালীর টান প্রতিরোধ করে ও রক্তনালি প্রসারিত করে।
সকালে নিয়মিত জাম্বুরার রস খেলে উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
৭) বয়স বৃদ্ধি রহিত করে
কৃত্রিম পণ্যের চেয়ে নিয়মিত প্রাকৃতিক ফলমূল খেলে ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করা যায়।
কারণ প্রাকৃতিক ফলমূলে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল আছে যেটি আমাদের দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণ কারার পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অঙ্গের যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিত করে। জাম্বুরা আমাদের ত্বক কোমল করে ও ত্বকের বলিরেখা কমায়।
৮) পানিশূন্যতা রোধ করে
জাম্বুরাতে পটাসিয়াম,,ম্যাগনেসিয়াম আছে যা পেশী সংকোচন রোধ করতে সহায়তা করে।পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম অভাবে পেশী সংকুচিত হয়ে যায়।
জাম্বুরা এই সংকোচন রোধ করে শরীরের পানির অভাব পূরণ করে । অর্থাৎ জাম্বুরাতে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদানগুলো ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৯) প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে
ক্যান্সার কোষ ধ্বংস ও ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিহত করতে বায়োফ্লাভোনয়েডস, ফাইটোক্যামিক্যাল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
জাম্বুরা শুধু প্রোস্টেট ক্যান্সার নয় এটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার,ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।
১০) মাড়ির যত্নে
মুখে খারাপ ব্যাক্টিরিয়া যত বৃদ্ধি পাবে দাঁত ও মাড়ির ক্ষয় তত বাড়বে। জাম্বুরায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি মুখের ভেতর জমে থাকা খারাপ ব্যাক্টিরিয়ায় ধ্বংস করে ও মাড়ির গোড়া মজবুত করে।
জাম্বুরা কিছুটা রসালো ফল তাই এটি খেলে দাঁতে লেগে থাকা জীবাণুর বিন্যাস ঘটে।
১১) চুলের জন্য
চুলের জন্য উপকারী উপাদান হলো প্রোটিন, ভিটামিন সি,কোলাজেন, ভিটামিন বি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। ফলমূলে এই পুষ্টি উপাদানগুলো বেশি থাকে।
তাই যাদের চুলের উজ্জ্বলতা কমে যাচ্ছে, চুলের গোড়া মজবুত না ,চুলে, বৃদ্ধি হয় না,তারা জাম্বুরা খেতে পারেন ।
তবে পাশাপাশি অন্যান্য উপায়ে চুলের যত্ন নিতে হবে।
১২) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে
টক জাতীয় ফলমূলগুলো ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন কেননা এগুলো তে হাই সুগার থাকে না।বরং এতে বিদ্যমান এসিড রক্তের শর্করা লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এছাড়াও জাম্বুরা লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ ফল, যেটি ডায়াবেটিস রোগীরা খেলে কোনো সমস্যা হবে না।
তাছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার ২০টি উপায় জানুন এই আর্টিকেল পড়ে।
১৩) ক্ষত সারাতে
অনেকের ভুল ধারণা আছে যে টক জাতীয় ফল খেলে ক্ষত শুক্তি দেরি লাগে।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে টক জাতীয় ফল ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ক্ষত সারাতে দ্রুত সাহায্য করে। এই ক্ষত হতে পারে অপারেশনের ক্ষত ,কেটে যাওয়ার ক্ষত , পড়ে গিয়ে সৃষ্ট ক্ষত ইত্যাদি।
যেকোনো ক্ষত সারাতে টকজাতীয় ও ভিটামিন সি খুব ভালো ফল দেয় ।
১৪) লিভার ডিটক্সিফিকেশন করে
আমাদের শরীরে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে যে জীবাণু প্রবেশ করে তা দীর্ঘদিন ধরে থাকলে লিভারের ক্ষতি করে। ফলে লিভার ড্যামেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
জাম্বুরা শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিয়ে শরীরকে জীবাণুমুক্ত করে।আর জাম্বুরার পুষ্টি উপাদান এই কাজটা লিভারের মাধ্যমেই করে থাকে।
১৫) উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়
জাম্বুরা শরীরের খারাপ কোলেস্টরল এলডিএল কে নিয়ন্ত্রণ করে ভালো কোলেস্টরল বৃদ্ধি করে।যাদের উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড আছে তাদের জন্য ও জাম্বুরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১৬) ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত করে
জাম্বুরাতে বায়োএক্টিভ উপাদান ও ফ্লাভোনয়েডস রুটিন নামক উপাদান আছে যেটি কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে ও ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামত করে ।
এছাড়াও এতে বিদ্যমান আছে ক্যারোটিনয়েডস ও পেকটিন যেটি আমাদের চুল ত্বক ও চোখের জন্য উপকারী।
১৭) অ্যালার্জি সমস্যা কমায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে কারো কারো অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা দেয়।
এই অ্যালার্জি আবার একটু ভিন্ন ধরনের হয়। যেমন: ঠান্ডা পানি খেলে গলা চুলকানো, সব সময় ঠান্ডা, কাশি ও সর্দি লেগেই থাকা।এগুলো সাধারণত অনেকের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে হয়।
জাম্বুরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা কমাতে থাকে।
জাম্বুরার উপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
জাম্বুরা খাওয়ার নিয়ম
জাম্বুরার খোসা ছাড়িয়ে ভিতরের পাল্প খাওয়া হয়। এই ফলের খোসা সাধারণত খাওয়া হয় না ।
⇒ পাল্প আস্ত খাওয়া যায় ⇒ লবণ-মরিচ দিয়ে ভর্তা করে খাওয়া যায় ⇒ জাম্বুরার রস করে খাওয়া যায় ⇒ শরবত বানিয়ে খাওয়া যায়।
কিভাবে জাম্বুরার খোসা কাজে লাগানো যায়?
জাম্বুরার খোসা খাওয়া না গেলেও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন-
⇒ সালাদে দেওয়া যায় সুগন্ধের জন্য ⇒ গার্নিস করার কাজে ব্যবহার করা হয় ⇒ খোসা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করা যায়
আরও পড়ুনঃ তরমুজের বিস্ময়কর ১০ টি উপকারিতা জেনে নিন।
জাম্বুরার অপকরিতা
জাম্বুরা ফলের যেমন আছে নানা উপকারিতা তেমন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেলে হতে নারে নানা সমস্যা।
১৷ জাম্বুরা অ্যালার্জি প্রতিরোধ ও ত্বকের উপকার করলেও যাদের এই ফলে অ্যালার্জি আছে তাদের জন্য জাম্বুরা উপকারের চেয়ে অপকার ডেকে আনে।জাম্বুরা খেলে তাদের ত্বক লাল হয়ে যায় ও চুলকানি হয়। ২৷ যাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ও এসিডিটি আছে তারা অতিরিক্ত খেলে পেটে গ্যাস হতে পারে ও পেট ফেঁপে যেতে পারে। ৩৷ জাম্বুরাতে যেহেতু পটাসিয়াম আছে আর পটাসিয়াম কিডনি স্বাস্থ্যভালো রাখলেও কিডনি রোগে যারা আক্রান্ত তাদের জন্য পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার একদম উপকারী নয়।তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিডনি কতটুকু কার্যকর আছে সেই অনুযায়ী খাওয়া যাবে।
জাম্বুরা চাষ
আমাদের দেশে জাম্বুরা চাষ মোটামুটিভাবে তিনভাবে করা হয়।
এক. বীজ থেকে ,
দুই. চারা গাছ কিনে ,
তিন. গুটি কলম করে।
⇒ জাম্বুরার বীজ থেকে
👉 বীজ থেকে জাম্বুরা চাষ করতে প্রথমেই পরিপক্ব,গাছ পাকা ও ভালো জাতের একটি জাম্বুরা বাছাই করতে হবে । 👉 গাছ পাকা বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে যে ফলটি পাকার পরও দীর্ঘদিন গাছে থাকবে,এতে বীজ পরিপক্বতা লাভ করবে। 👉 তারপর জাম্বুরাটির খোসা ছাড়িয়ে বীজ সংরক্ষণ করতে হবে। খোসা ছাড়ানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বীজ কাটা না হয়ে যায়। বীজ কাটা গেলে চারা গজাবে না। 👉 বীজ সংগ্রহের পর বীজের সামনের দিকটা একটু হাত দিয়ে ছুলে দিতে হবে।তারপর অঙ্কুরোদমের জন্য একটি প্লাস্টিকের ঢাকনা ওয়ালা বাটিতে ১২-১৫ দিন অল্প পানির মধ্যে কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। 👉 গাছ লাগানোর জায়গাটিতে যেন পানি জমে না থাকে ও রোদ,বাতাস যেন থাকে এমন স্থান বাছাই করতে হবে। 👉 এরপর উপযুক্ত মাটি দেখতে হবে এবং বীজ লাগাতে হবে।
⇒ জাম্বুরার চারা গাছ কিনে
আবার বাজার থেকে ভালো জাতের চারা কিনে লাগিয়েও জাম্বুরার চাষ করা হয়।
⇒ জাম্বরার গুটি কলম করার পদ্ধতি
কলম করার মাধ্যমে ভালো জাতের ফল উৎপাদন বাড়ানো হয় ও কম সময়ে অধিক ফলন পাওয়া যায়।
উপকরণ
- একটি পরিষ্কার কাঁচি
- পলিথিন
- গোবর মিশ্রিত মাটি
- দড়ি
পদ্ধতি
👉 কলম করার জন্য ভালো জাতের গাছ বাছাই করতে হবে।তারপর ওই গাছের একটি ডাল বাছাই করতে হবে। 👉 এবার ডালটির গোড়া থেকে ৩-৪ ইঞ্চি রেখে ছাল কাটতে হবে। ছাল কাটার পরিমাণ হবে প্রায় ৫ -৬ ইঞ্চি। 👉 এবার কাঁটার স্থানে গোবর মিশ্রিত মাটি লাগিয়ে দিতে হবে। 👉 লাগানোর পর পলিথিন দিয়ে পেচিয়ে দুই প্রান্ত দড়ি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।মাঝে মাঝে পানি দেওয়ার জন্য পলিথিন কাঁচি দিয়ে একটু ফুটো করতে হবে। 👉 এরপর প্রায় ২ থেকে ৩ মাস পর ডালটি কেটে পলিথিন সরিয়ে ডালটি উপযুক্ত মাটি ও পরিবেশে রোপন করতে হবে।
জাম্বুরার চাষ আমরা এখন বাড়ির আঙিনা ও বাসার ছাদে করতে পারি। শুধুমাত্র উপযুক্ত পরিচর্যা করলেই ফলন পাওয়া সম্ভব।
জাম্বুরা আমাদের দেশি একটি ফল। এই ফলের নানা গুণের কথা তো জানলেন।আমাদের আশেপাশে স্বল্প মূল্যে অনেক পুষ্টিকর রয়েছে যার মাধ্যমেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পারি। জাম্বুরার উপকারিতা ও গুণাগুণ নিয়ে আজ এই পর্যন্তই। ধন্যবাদ।
Reference:
https://www.stylecraze.com/articles/amazing-health-benefits-of-pomelo/
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6590546/
https://www.medicalnewstoday.com/articles/pomelo-fruit#health-benefits
https://www.webmd.com/diet/health-benefits-pomelo