কমলার আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারীতার পাশাপাশি রয়েছে নানা রকমের ঔষধি গুণ। কমলার স্বাস্থ্যকর গুণের সাথে অসাধারন রূপ একে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফল হিসেবে পরিচিত করেছে। নিয়মিত একটি কমলা খেলে হৃদয়ের পাশাপাশি ত্বকও সজীব হয়ে উঠবে। এতে থাকা পটাশিয়াম হৃদয়কে সচল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও কমলার মধ্যে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কমলার উপকারিতা যেমন আছে তেমনি আছে কমলার ঔষধি গুণ। লেবু জাতীয় এই ফলটি সহজলভ্য বলেই হয়তো এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। আসুন ধীরে ধীরে জেনে নেই কমলার ২০টি উপকারীতা ও ঔষধি গুণ।
প্রথমেই কমলার উপাদান ও পুস্টিগুন সম্পর্কে জেনে নিই।
কমলার উপাদান
কমলাতে সবচেয়ে পরিচিত উপাদান ভিটামিন সি। এছাড়াও আছে-
- ভিটামিন বি-৫
- ক্যালরি
- ফাইবার
- প্রোটিন
- পটাশিয়াম
- চিনি
- ভিটামিন এ ইত্যাদি।
কমলার রস এর উপকারীতা কি তা এর উপাদান থেকেই অনেকটুকু প্রকাশ পাচ্ছে।
কমলার পুস্টিগুন
একটি মাঝারী মানের কমলা তে থাকা উপাদান গুলো। যা দেখে খুব সহজে কমলার রস এর উপকারীতা ও ঔষধি গুন এর একটি সচ্ছ ছবি দেখা যায়।
উপাদান | পরিমাণ |
ক্যালরি | ৬০ |
ফাইবার | ৩ গ্রাম |
চিনি | ১২ গ্রাম |
প্রোটিন | ১ গ্রাম |
ভিটামিন এ | ১৪ মাইক্রোগ্রাম |
ভিটামিন সি | ৭০ মিলিগ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ১৫০ মিলিগ্রাম |
পটাশিয়াম | ২৩৭ মিলিগ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ১৫.৪ গ্রাম |
নিয়মিত কমলা খেলে যা হয়
কমলা যেহেতু বিভিন্ন পুস্টিগুন সম্পন্ন ফল। তাই কমলা নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ভাইরাস এর সাথে যুদ্ধ করার মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে কাজ করে কমলা ।
এছাড়াও হৃদযন্ত্র ও পাকস্থলী ভালো রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
কমলার রস এর উপকারীতা ও ঔষধি গুণ এর মধ্য রয়েছে চোখের সুরক্ষা, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, কোলস্টেরল ও ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণ।
এছাড়া কোস্টকাঠিন্য দূর করা, ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে কমলার রস। এছাড়াও বিভিন্ন ঔষধি গুণ এ ভরপুর এই রসালো ফলটি।
কমলার ঔষধি গুণ
আমরা সকলেই জানি যে কমলার রস এর ঔষধি গুণ এর বর্ণনা ব্যপক।
⇒ ক্যান্সার প্রতিরোধ থেকে শুরু করে যেকোন ভাইরাস রোগের জন্য মহৌষধ কমলা রঙ এর এই গোলাকার ফলটি। ⇒ বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার শরীর এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি তে দারুন কাজ দেয় কমলা। ⇒ এছাড়াও ত্বক এর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এর জুড়ি মেলা ভার। ⇒ হাড় ও দাঁতকে শক্তিশালী করে কমলার রস। ⇒ এছাড়াও এতে থাকা ফাইবার যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে পেটকে শান্ত রাখতে দারূনভাবে উপযোগী।
কমলার বিভিন্ন জাত
কমলার আদি জন্মস্থান চীন। মূলত চীনারাই কমলার চাষ শুরু করে প্রথমে তারপর ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন দেশে । কমলার বেশ কিছু উপকারীতা এবং ঔষধি গুণের জন্য এখন ধরতে গেলে সব দেশেই কমলার চাষ হয়। আমাদের দেশ এর সিলেট , পার্বত্য চট্রগ্রাম ও পঞ্চগড় এলাকায় কমলার চাষ হয়।
কমলা বিভিন্ন জাত এর হলেও স্বাদ এর দিক দিয়ে টক ও মিস্টি এই দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়। কিন্তু জাত এর দিক থেকে কয়েক ধরনের কমলা দেখা যায়।
আসুন জেনে নেই বিভিন্ন জাত এর কমলার নাম এবং ঠিক কোন সময়ে এদের পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ লেবুর ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঔষধি গুণাগুণ জেনে নিন
⇒ ন্যাভেল কমলা
এই জাত টি খুব বেশী পরিমানে জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য। মিস্টি স্বাদ এর এই কমলাটির নামকরন এর বিষয় টি খুব মজার । এটার মাথার দিকটা অনেক টা মানুষের নাভী এর মত দেখতে তাই এর নামটা এমন।
এই জাতের কমলাতে রস এর পরিমান খুব বেশী এবং বিচিমুক্ত হয়। এর স্বাদ এর পাশাপাশি গন্ধও দারুন। এই কমলাটি মুলত নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত পাওয়া যায়।
⇒ ক্যারা ক্যারা কমলা
এটা অনেক টা ন্যাভাল কমলার জাত। কিন্তু স্বাদ খুব মিস্টি এবং লালচে রঙ এর হয়। একে লালচে ন্যাভাল কমলাও বলা হয়।
এতেও বিচি কম থাকে এবং এসিড এর পরিমাণ ও কম থাকে। এই কমলার রঙ ও মিস্টি স্বাদ এর জন্য বিখ্যাত । ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল এই কমলা সহজলভ্য থাকে।
⇒ ভেলেন্সিয়া কমলা
আপনি যদি কমলার রস এর সাগরে ডুব দিতে চান তাহলে আপনার প্রথম পছন্দ হবে এই কমলা। এর চামড়া খুব পাতলা হয় এবং রসে টইটুম্বর।
কমলার সতেজ জুস তৈরির জন্য প্রচলিত এই কমলা। এই কমলাটি কাচা অবস্থায় খেতেও খুব মজা। এটা মুলত গ্রীস্মকালীন ফল , মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত পাওয়া যায় এই কমলা।
⇒ ব্লাড কমলা
শুনতে কেমন লাগলেও মূলত এর গাড় লাল রঙ এর জন্য এর নামকরন হয়েছে ব্লাড। এর কোষগুলো মাংসল ও রসালো।
এই রসালো কমলাটির স্বাদ মিস্টি এবং হালকা টক। এর আকার ন্যাভাল কমলার চেয়ে ছোট। অতুলনীয় স্বাদ এর কমলাটি পাওয়া যায় নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত।
⇒ সিভিল্যা কমলা
সিভিল্যা কমলার স্বাদ এতটাই টক যে একে টক কমলাও বলা চলে। এতে মিষ্টির পরিমান এতটাই কম যে স্বাদ বাড়ানোর জন্য চিনি ব্যাবহার করতে হয়।
মূলত আচার এবং সালাদ এর জন্য এই কমলা ব্যাবহার করা হয়। এর খোসাতেও আছে দারুন গন্ধ। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী এই কয়মাস থাকে এই কমলা।
⇒ ম্যান্ডারিন কমলা
চ্যাপ্টা আকৃতির এই কমলাটির আকার সাধারনত খুব ছোট। মিস্টি স্বাদ এর এই কমলাটির খোসা ছারানো খুব সহজ এবং বিচিমুক্ত হওয়ার কারনে এর জনপ্রিয়তা অনেক।
এছারাও টেঞ্জারিন, ক্লেমেন্টাইন্স, বারগামট, ট্রিফলিয়েট ইত্যাদি জাত এর কমলা রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশে একটি নতুন জাতের কমলা বারি কমলালেবু বাজারজাত করেছে।
কমলার শরবত
কমলা রসালো ফল হওয়াতে এর শরবত বানানো খুব সহজ। এই শরবত সব বয়সের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। খুব সহজ পদ্ধতিতেই বানানো যায় কমলার শরবত।
১। ভালোভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। হাত দিয়ে চাপ দিয়ে অথবা ব্লেণ্ডার এ দিয়ে এর রসটুকু বের করে নিতে হবে। তারপর একটি পরিস্কার ছাকনি দিয়ে ছেকে রসটুকু গ্লাস এ নিয়ে নিব। কমলা টক হলে এতে এক চা চামচ চিনি মিশিয়ে নিব। ২। কমলার রসের এই শরবতটি খুব মজাদার এবং সাস্থ্যকর। একটি গ্লাস চারভাগের তিন ভাগ কমলার রস নিব। এর সাথে দিব এক ভাগ পানি। তারপর এতে দিব এক চা চামচ গুড়ো দুধ, দেড় চা চামচ চিনি এবং দুইটি আইস কিউব। ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিব। বাচ্চাদের পাশাপাশি বড়দেরও দারুন পছন্দ হবে এই শরবত টি।
কমলার ২০ টি উপকারীতা ও ঔষধি গুণ
কমলার রস এর উপকারীতা ও ঔষধী গুণ আসলে খুব অল্প কথায় লিখা সম্ভব না । তবু কিছু সাস্থ্যকর উপকারীতা তুলে ধরার চেস্টা করছি।
১। হৃদরোগ এর ঝুঁকি কমায়
কমলাতে আছে ফাইবার এবং পটাশিয়াম। যা হৃদরোগ এর ঝুকি কমাতে খুবই সাহায্য করে।
গবেষনাতে দেখা যায় এক কাপ কমলার রস প্রায় ১৪% পটাশিয়াম এর চাহিদা পূরন করতে সক্ষম।
ফলে স্ট্রোক এবং বিভিন্ন রকমের হৃদরোগ এর সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
২। ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে লড়াই করে
এন্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস কমলা।
গবেষনাতে দেখা গেছে প্রায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্যান্সার ডি এন এ তে রুপান্তর বা পরিবর্তনের জন্য হয়। ভিটামিন সি এই রুপান্তরে বাধা সৃষ্টি করে।
৩। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য কমলা একটি দুর্দান্ত ফল। কারন এতে আছে খনিজ পটাশিয়াম যা রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করে।
কমলার রসের অন্যতম ঔষধি গুন রক্তনালী এর প্রসারনের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহের চাপ অনেকটা নিয়ন্ত্রনে থাকে।
৪। ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
কমলা ডায়েবেটিস রোগীর জন্য একটি সাস্থ্যকর ফল। এতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে। ফ্রুক্টোজ কমলাতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান , যা খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে বাধা দেয়।
৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
যেকোন টক জাতীয় ফল এর মত কমলাতে আছে সুস্থ রাখার অনন্য ঔষধি গুণ। কমলা ভিটামিন সি দিয়ে পূর্ণ যা শ্বেত রক্তকনিকা তৈরী করতে সাহায্য করে। পাশপাশি ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৬। কিডনী ভালো রাখে
কমলার রস এর উপকারীতার মধ্য অন্যতম একটি পুস্টিগুন হল এতে থাকা পটাশিয়াম ।
যা শরীর এর পানি নিয়ন্ত্রন এ রেখে কিডনী ভালো রাখে। কমলার রস কিডনী ভাল রাখার পাশাপাশি কিডনীতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৭। কোলস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
মার্কিন এবং কানাডিয়ান একদল গবেষকদের গবেষনায় দেখা গেছে যে কমলার খোসা তে একধরনের যৌগ আছে। যা পলিমোথক্সাইলাটেড ফ্ল্যাভোন্স নামে পরিচিত। যা কোলস্টেরল কমাতে ঔষধের চেয়েও বেশি কার্যকর।
এছারাও এতে থাকা ভিটামিন সি ধমনীর দেয়ালে লেগে থাকা চর্বি হ্রাস করতে সাহায্য করে।
৮। বাতের চিকিৎসা করে
কমলার রস প্রদাহ রোধ করে। ফলে বাত এর ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। এবং এর প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য বাত প্রতিরোধেও সাহয্য করে।
৯। ত্বকের যত্নে কমলা
কমলাতে থাকা বিটা ক্যারোটিন ত্বকের যেকোন ক্ষতিকর প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে।
কমলা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে যা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে পাশাপাশি বয়সের ছাপ পরতে দেয় না।
১০। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
চোখ ভালো রাখার জন্য একটি জরুরী উপাদান হলো ভিটামিন এ। ভিটামিন এ এর একটি অন্যতম উৎস হলো কমলা যা চোখকে সুস্থ রাখে।
চোখের ছানি এবং দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এর থেকে রক্ষা করে কমলাতে থাকা ভিটামিন এ। চোখের আস্তরনের ঝিল্লি গুলোকে সুরক্ষা দিতে পারে এই উপাদানটি।
১১। দাঁতকে মজবুত রাখে
কমলাতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন সি দাঁতের মাড়ির টিস্যুকে শক্তিশালী করে। দাঁতের মাড়ির রক্তক্ষরন ও স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।
১২। আলসার প্রতিরোধ করে
কমলা পেটের ক্যান্সার না শুধু পেটে আলসার হওয়া থেকেও রক্ষা করে। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি জাতীয় খাবার পেটের আলসার হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে।
১৩। কোস্টকাঠিন্যর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়
কমলাতে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে কোস্টকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। পরিপাক তন্ত্রকে সচল রাখে কমলার রস।
১৪। গর্ভবতী মা এর যত্নে
কমলাতে থাকে ফোলেট। যা ভ্রুন বিকাশে সাহায্য করে। এছাড়াও কমলার খোসা মাস্টাইটিস নামের রোগের জন্য উপকারী।
১৫। হাড় এর গঠনে কমলা
এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশা্লী করে। হাড় এর বিভিন্ন ক্ষতিকারক রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে কমলার ঔষধি গুন।
১৬। চুলের যত্নে কমলা
কমলা রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে ফলে চুল পড়া কমে যায়। কমলার রস এ কোলাজেন থাকে যা চুলকে উজ্জ্বল করে। এছাড়াও কমলার খোসার ব্যাবহারের মাধ্যমে খুশকি দূর হয়।
১৭। হাঁপানি প্রতিরোধ করে
কমলার রসের একটি অন্যতম ঔষধি গুণ হল ঠান্ডা ,কাশি বা সংক্রমণ জনিত রোগ সমূহ প্রতিরোধ করে। কমলা কোষের হিস্টামিনের প্রতি সংবেদনশীলতা কমিয়ে হাঁপানি কমাতে সাহায্য করে।
১৮। ওজন কমাতে কমলা
ভিটামিন সি জাতীয় ফল হওয়াতে ওজন কমাতে সাহায্য করে কমলা। এতে থাকা ফাইবার পরিপাকতন্ত্র ও হজম শক্তি ভালো রেখে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
১৯। মানসিক সাস্থ্য কে সুস্থ রাখে
মানসিক সাস্থ্য ভালো রাখতেও কমলা দারুনভাবে কাজ করে। কমলা বিষন্নতা কমাতে সাহায্য করে। কমলার সুগন্ধযুক্ত ঘ্রান দুশ্চিন্তা দূর করে আরামদায়ক শিথিলতার অনুভুতি এনে দেয়।
২০। কমলা চর্ম ও যৌন রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়
এই ফলটি নিয়মিত খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরন হয়। যা বিভিন্ন রকমের চর্ম ও যৌন রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কমলা শরীর এ থাকা করটিসল এর মাত্রা কমিয়ে সুস্থ যৌন সাস্থ্য পেতে সাহায্য করে।
কমলার উপকারীতা এবং ঔষধী গুন সম্পর্কে জানতে নীচের লিংকের ভিডিও টি দেখতে পারেন –
তাছাড়া একটা অথেনটিক আর্টিকেলের লিংক দিয়ে দিচ্ছি, পড়তে পারেন।
কমলা এমন একটি ফল যা স্বাদ এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য উপকারীতা এবং ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ। কমলার রস সতেজ পুস্টিকর ও ভিটামিন এর শক্তিশালী উৎস।
কমলার ২০ টি উপকারীতা ও ঔষধী গুণ এর পাশাপাশি কমলার মত জনপ্রিয় একটি ফল এর ইতিহাস ও একটু জেনে নিলাম।