![দাঁতকে করুন হোয়াইটওয়াশ](https://i0.wp.com/bdbasics.com/wp-content/uploads/2021/10/istockphoto-502934673-612x612-1.jpg?fit=612%2C397&ssl=1)
দাঁত আপনার, যত্নও আপনার। দাঁত সাদা হবে নাকি হলুদ হবে, কালো হবে নাকি লাল হবে, সেটাও আপনারই ব্যাপার। দাঁতে যদি কখনো কিছু হয়, কোনো ব্যথা বা যন্ত্রণা ,সেটাও কিন্তু আপনারই হবে, অন্য কারো নয়।
দাঁত ঝকঝকে সাদা থাকার অর্থ হলো আপনার দাঁত রোগমুক্ত থাকার সম্ভাবনাও বেশি।
ধরুন, আপনি একটা কনফারেন্সে আছেন। আপনার সব সহকর্মীরা ডেমো প্রেজেন্টেশান দিচ্ছে, ফটোসেশান করছে ,তাঁদের প্রেজেন্টেশানের সময়ের অরুণ পলকে দারুণ ঝলকের হাসি কী সুন্দর ক্যামেরাবন্দী হচ্ছে, অথচ আপনি আপনার প্রেজেন্টেশনের সময়ে ইতস্তত অস্বস্তিতে মুখ থেকে কোনো হাসিই বের করছেন না।
এই ধরুন না,
মাংসে হাড্ডিতে কামড় দিয়েছেন! হাড্ডির সাথে সাথে ,দাঁতটাও হাতে চলে এসেছে, অথবা মাড়ির দাঁতটা নড়বড়ে হয়ে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া শুরু করে দিলো… ভাড়ে ভবানী এক্কেবারে।
আবার ধরুন, আপনার বাচ্চার দাঁতগুলোতে ধীরে ধীরে কালো দাগ আসা শুরু করেছে, এবং আপনি বুঝতে পারছেন না ঠিক কি করবেন। একজন ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন তো হবেনই অবশ্যই। তবুও, একটা ধ্রুব সত্য হলো প্রতিকারের থেকে সবসময়ের জন্যই প্রতিরোধ ভালো।
যাই হোক, ঘটনাটা হচ্ছে ওই বুদ্ধি থাকলে ঘরজামাই থাকা লাগেনা এই রকমের অবস্থা।
কিছু কৌশল আর উপায় জানা থাকলে খুব সহজেই একেবারে ঘরে বসেই ঘরোয়াভাবে বিনে পয়সায় দাঁতকে পুরোপুরি হোয়াইটওয়াশ করে দেয়া এবং একই সাথে সকল প্রকার দাঁতের জ্বালা যন্ত্রণা এড়িয়ে থাকা সম্ভবপর।
হোয়াইটওয়াশ শুধু দাঁতের বাহ্যিক রঙের জন্যই নয়, হোয়াইটওয়াশ করতে হবে দাঁত সংশ্লিষ্ট সব রোগ- জীবাণুর সাথে দাঁতের সমস্ত জ্বালা যন্ত্রণারও।
দেখে নিন তো দাঁত সাদা করার উপায় গুলো এক নজরে, আশা করি কাজে লাগবে।
নিয়মিত ব্রাশ করুন – নিয়মিত বিরতিতে কুলকুচি করুন
![নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করে দাঁত সাদা করুন](https://i0.wp.com/bdbasics.com/wp-content/uploads/2021/10/brush.jpg?resize=246%2C164&ssl=1)
দেখা যায়, একটু বয়স হলেই দাঁত পড়ে যায়। দাঁতে আ……… ব্যাথা শুরু হয়ে যায়, কারো কারো দাঁত তুলে ফেলতে হয়।
তবে এটা জেনে অবাক হবেন যে, তরুণরাও নাকি এখন বেশি মাড়ির রোগে ভোগে। তরুণদের মাড়ি থেকেও রক্ত চলে আসে হরহামেশাই। সুস্থ সুন্দর দাঁতের জন্য নিয়মিত ব্রাশ করার কোনোই বিকল্প নাই।
আর তাছাড়া, ধর্মীয় দিক থেকে চিন্তা করলেও দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মানব , শুধুমাত্র যার দৈনন্দিন চলাফেরা অনুসরণ করলেই হাজারো বিপত্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তিনি নিজেও দিনে রাতে তথা ঘুম থেকে উঠে একবার এবং ঘুমাতে যাবার আগে একবার আবশ্যকীয়ভাবে মেসওয়াক (ব্রাশ) করে নিতেন।
👉 নিম ডাল দিয়ে মেসওয়াক বানিয়ে নিতে পারলে তো কথাই নেই! এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারবেন। দাঁত চকচকে ঝকঝকে ঝিলমিল হবে আবার একই সাথে জীবাণুমুক্ত ও থাকা গেলো। নিম ডাল ছাড়াও বাজারে মেসওয়াকে প্রয়োজনীয় ডাল কিনতে পাবেন। 👉 আর টুথপেস্টেও তো আর তেমন ক্ষতি নেই। লবণযুক্ত ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে হলেও দিনে রাতে অন্তত দুবার ব্রাশ করুন। তাছাড়া, ফ্লোরাইড দাঁতের ক্ষয়রোধে দারুণভাবে কার্যকরী। 👉 কোনোকিছু ময়লাযুক্ত একবার ঘষে না উঠলে পাঁচবার ঘষলে বা একটানা দু তিন দিন ঘষলে সেটা উঠে যায়। তেমনই দাঁতের ক্ষেত্রেও যথাসম্ভব ব্রাশ করে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন। ভুল করেও যেন ব্রাশ করতে ভুলে না যান। স্বাভাবিকভাবেই সাদা হয়ে ওঠার কথা।
আর হ্যাঁ, অবশ্যই নিয়মিত বিরতিতে কুলকুচি জারি রাখবেন। ওযুতেও কিন্তু সুবিধেটা পাওয়া যায়। দিনে পাঁচবার কুল্কুচি করলে দাঁতে যেকোনো প্রকারের জীবাণুই আক্রমণ করবার আর সুযোগ কই!! জীবাণুরা তো শ্যাম রাখি না কুল রাখি বলে দৌড়াদৌড়ি করেই ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হয়ে যাবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ব্রেসেস ব্যবহার করেন যারা বা যাদের নকল দাঁত বা ইমপ্ল্যান্ট আছে তারা নিজেদের সুবিধা মতো তৈরি করা টুথব্রাশ ব্যবহার করবেন।
আরও পড়ুনঃ ওজন কমানোর উপায় : সহজেই দ্রুত ওজন কমানোর ২২টি টিপস
ধূমপান- জর্দা এড়িয়ে চলুন
ধূমপান-জর্দা যেকোনো অবস্থাতে এড়িয়ে চলতে হবে। কারন ধূমপান অবিশ্বাস্য রকমভাবে আপনার দাঁতকে বিবর্ণ করে দেবে, ফ্যাকাশে করে দেবে, নাহলে বিকৃত করে দেবে।
জানা যায়, শুধু দাঁতে সমস্যা করেই ক্ষান্ত থাকেনা, এরা নাকি মানুষকে মৃত্যু দূত ক্যান্সারের দিকেও ঠেলে দিতে পারে।
ফিসার সিলেন্ট
ফিসার সিলেন্ট নাকি দাঁতের ক্ষয় দারুণভাবে প্রতিরোধ করে। স্থায়ী দাঁত আসা শুরু করলে প্রথম প্রথম দিকেই মলারের ফাঁকাগুলো ভরে দেয়াটা উপযুক্ত।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ
![পুস্টিকর খাবার গ্রহণ](https://i0.wp.com/bdbasics.com/wp-content/uploads/2021/10/nutritious-foods.jpg?resize=149%2C149&ssl=1)
দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের বিকল্প নাই। ওমেগা ফ্যাট-পুষ্টিকর খাদ্য মাড়ির প্রদাহ থেকে সুরক্ষা দেয়।
এগুলো তো সব দাঁত সাদা, সুস্থ, প্রাণবন্ত রাখার ঘরোয়া প্রতিরোধের স্বল্পবিস্তর আবশ্যকীয় শর্টকাট ।
এবার একটু কেন হয় , প্রতিকার কী, সেসবের দিকে একটু নজর দেই।
যাই হোক, প্রতিরোধক ব্যবস্থাগুলো জানলেন, জোর করেই জানলেন!
আপনার কি শুধু দাঁত সাদা ফকফকা হলেই চলবে। আচ্ছা তাহলে, নিচের পাটির দাঁত ঝকঝকা করার ঘরোয়া উপায়গুলো আপনার জন্য।
দাঁতের হোয়াইটওয়াশে লেবুর উপযোগিতা
![লেব দিয়ে দাঁত সাদা করার উপায়](https://i0.wp.com/bdbasics.com/wp-content/uploads/2021/10/lemon-benefits.jpg?resize=212%2C142&ssl=1)
লেবু তো ভাই সবার ঘরেই থাকে। গ্রামের দিকে তো সবার উঠোনেই একটা করে লেবু গাছ থাকে অন্তত। আর আপনার রান্না-বান্না-খাওয়া, সবার ঘরেই তো লেবু অনেকটা অপরিহার্য, অন্তত বাঙ্গালী কোনো ঘরে।
লেবুর সাথে হালকা লবণ মিলিয়েই দেখেন না একদিন! না, মেলালেই কিছু একটা জাদু হয়ে যাবে, এমন কিছু না! ওই লবণ-লেবু রসের মিশ্রণটা দিয়ে আপনার দাঁতটা ব্রাশ করতে হবে।
চাইলে আপনি লেবুর খোসাটা দিয়েও দাঁতের এপাশ ওপাশ উপর নিচ টেনে টেনে ঘষতে পারেন।
সত্যি সত্যিই জাদু কিন্তু ঘটলেও ঘটে যেতে পারে।
লেবু আর বেকিং পাউডারের পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলেও কিন্তু দাঁত ভালো রকমের সাদা হয়ে যায়!
এক লেবু দাঁতের ঝকমকানি আর সুস্থতা রক্ষায় আর কতো সারভিস দেবে বলেন!
আর তাছাড়া ঘরোয়াভাবে এতো সুন্দর প্রতিরোধ-প্রতিকার পেলে কেই বা চায় দাঁতের যত্ন ও সুরক্ষায় অতিরিক্ত খরচ করতে?
লেবু ও লবন দিয়ে দাঁত সাদা করার উপায় জানুন নিচের ভিডিও থেকে।
গ্রিন টি
আপনি ইতোমধ্যেই জানেন , ফ্লুরাইড ঠিক কোন মাত্রায় কার্যকরী দাঁতের সুরক্ষায় ।
আর সারাদিন টিভি খুললেই যে পরিমাণ টুথপেস্টে ফ্লোরাইডের উপস্থিতি জানান দিয়ে বিজ্ঞাপন চলতেই থাকে, তাতে সহজেই অনুমেয় যে, আসলেই দাঁতের সুরক্ষায় ফ্লোরাইডের অবদান অনস্বীকার্য।
তবে গ্রিন টি তে যেই মাত্রায় ফ্লোরাইড থাকে, তাতে কিন্তু দাঁতের হুলুদাভ বা অন্য কোনো রঙ আসার সুযোগই নেই।
ফ্লোরাইড অ্যান্টি অ্যাসিডিক। হলুদ রঙকে ঘাড় ধরে তাড়িয়ে দেবার প্রয়োজন কী, যখন আগেই বাড়ির সীমানার বেড়ায় আটকে ফেলা যায়।
মাশরুম
![মাশরুম দিয়ে দাঁতের হোয়াইট অয়াশ](https://i0.wp.com/bdbasics.com/wp-content/uploads/2021/10/mushrooms.jpg?resize=185%2C123&ssl=1)
পলিস্যাকারাইড ডেন্টাল প্লাককে ধুন্ধুমার অত্যাচার করে বেড়ায় নির্বিচারে। আর মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পলিস্যাকারাইড থাকে।
সুতরাং, বুঝতেই পারছেন, আপনার দাঁতকে হোয়াইটওয়াশে কেন মাশরুমটা খাবেন!
কমলার খোসা
![কমলার খোসা দিয়ে দাঁত হোয়াইট ওয়াশ](https://i0.wp.com/bdbasics.com/wp-content/uploads/2021/10/orange.jpg?resize=159%2C155&ssl=1)
ওই যে হ্যান্ডওয়াশের একটা বিজ্ঞাপন দেয়না যে, ধুতে থাকো, ধুতে থাকো, ঠিক তেমনিভাবে, দাঁতের হোয়াইটওয়াশে এবং দাঁতকে আরো মজবুত করতে , ঘষতে থাকুন, ঘষতে থাকুন কমলার খোসা।
তবে অবশ্যই শুধুমাত্র ঘুম থেকে উঠে ভোরে, এবং অবশ্যই সবসময় বা মাত্রাতিরিক্ত নয়! কমলার খোসা ঘষা কেন, যেকোনোকিছুই মাত্রাতিরিক্ত ভালোনা!
এই যেমন ধরেন চিনি জাতীয় খাবার। স্যুগারযুক্ত জি এম ও।
তাই দাঁত সাদা, সুস্থ ও সুন্দর রাখতে যথাসম্ভব চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
বেকিং পাউডার
ব্রাশ পেস্টের সাথে এই বেকিং পাউডার টা মিশিয়েও দাঁত মাজতে পারেন আপনি চাইলে দাঁত সাদা করবার জন্য।
নারকেল তেল
![নারিকেল তেল দিয়ে দাঁত সাদা করার উপায়](https://i0.wp.com/bdbasics.com/wp-content/uploads/2021/10/coconut-oil-benefits.jpg?resize=200%2C133&ssl=1)
নারকেল তেল মুখের মধ্যে নিয়ে পাঁচ দশ মিনিট বসে থাকলে নাকি দাঁত সাদা হয়! তবে এরকম কাউকে আমরা এখনো করতে দেখিনি! চাইলে আপনি এরকম করে দেখতে পারেন, কাজ করে কিনা!
হাহাহা! নাহ! আসলে কাজ করে! বেশি সমস্যা থাকলে এভাবেও নিয়মিত ভাবে মুখে রেখে ধুয়ে নিতে পারেন, ব্রাশের বিকল্প আর কি!
বিশেষ কথা
দাঁত বিবর্ণ, সাথে যদি মুখে দুর্গন্ধ কিংবা মাড়িতে ব্যাথা থাকে , তাহলে আপনি আপনার ঘরের রান্নাঘর থেকে পাঁচ ছয়টা তেজপাতা (শুকনা কাঁচা যাই হোক) , কমলা বা পাতি লেবুর খোসার সাথে হালকার উপরে লবণ মিশিয়ে গুড়া করে অন্তত তিন দিন মাজবেন! কেল্লা ফতে।
তবে , সাধু সাবধান, ওই যে, অতিরিক্ত কিছু ভালো না, অতিরিক্ত মাজতে যাবেন না আবার।
আর বিনে খরচে, সরি, বিনে খরচে তো না একেবারে আসলে, সামান্য খরচে ঘরে বসেই পেয়ে যান ঝকঝকে দাঁত।
আচ্ছা, দাঁতে আর কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
দাঁতের গর্ত দূর করার উপায় কি?
দাঁতে গর্ত হয়ে যাচ্ছে? কুল কিনারা করতে পারছেন না?
আসলে এগুলা তেমন কিছু না! খুব বেশি চিন্তার কিছু নয়, এগুলো হচ্ছে আক্রমণ! ব্যকটেরিয়া সংক্রমণ আর কি! দল বেধে ব্যাক্টেরিয়ারা আক্রমণ বলে চেঁচিয়ে উঠলেই এই ছোট ছোট গর্তগুলো হওয়া শুরু করে।
মূলত এজন্য দায়ী আমাদের দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা। তাই প্রত্যেকবার খাবার পর মুখটা কুলকুচি করে বা ব্রাশ করে পরিষ্কার করে নেয়াই উত্তম।
আর একেবারে ভেতরে কিছু থেকে গেলে আপনার হাত এবং চিকন সুতাই বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
খুব বেশি চিন্তার নয় বলেছি আমরা, তবে অবশ্যই এই খুব বেশি চিন্তার নয় অতিরিক্ত চিন্তার কারন হয়ে যেতে পারে আপনার অবহেলায়!
কারন এই গর্তগুলোর সঠিক চিকিৎসা না হলে দাঁতের ক্ষয় বাড়তেই থাকে ক্রমাগতভাবে।
এজন্য দরকার কুসুম গরম লবণ পানি! একেবারে জীবাণুদেরকে ধুয়ে দেবে পুরোই , ব্যাকটেরিয়াদেরকে তো উঠে দাঁড়াতেই দেবেনা। এসিড সরিয়ে ভারসাম্য নিয়ে আসবে।
আরো দরকার নিম কাঠী, দরকার পড়লে আলাদাভাবে ভিটামিন ডি খাওয়া যেতে পারে, ওহ হ্যাঁ, ভিটামিন ডি তো সকালের সূর্যেও পাওয়া যায়! ওই বলা যায় ঘরোয়াভাবেই। লবঙ্গ ও কাজে দেয় অবশ্য।
⇒ দাঁতের ক্ষয় ঘরোয়া কোনো চিকিৎসায় না সারলে ফিলিং করিয়ে খুব সহজেই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। ⇒ তবে যদি খুব বেশি ক্ষয় হয়ে যায় কিংবা কোনোভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে দাঁত হয়েও গভীরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পাল্প চেম্বার ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়, যার ফলে মাথা ধরা , অস্থিরতা, দাঁতের ব্যথা সহ মাথা , চোখ ও ব্যথা হওয়া শুরু করে, তখন আসলে রুট ক্যানেল করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকেনা।
এবং অবশ্যই আপনি আমি ঘরোয়াভাবেই রুট ক্যানেল করিয়ে ফেলতে পারবো না! এবং অবশ্যই একজন ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে! কারন উপায় তো আর আসলে অবশিষ্ট নাই।
তবে এই রুট ক্যানেলের খরচ মাত্রাভেদে ২৫০০-৫০০০ পর্যন্ত হতে পারে। ব্যক্তিগতোভাবে কেউ চাইলে কম বেশিতেও করাতে পারে।
দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
আর এমনিতে সাধারণ দাঁত ব্যাথা থাকলে,
👉 প্রথমে লবণ পানি দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে দেখতে পারেন, 👉 কোনো ক্ষত থাকলে তাও সারিয়ে ফেলবে, উষ্ণ গরম পানিতে মিশিয়ে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, প্রদাহ থাকলে হাইড্রোজেন পারক্সাইড ও মিশিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। 👉 এভাবে করলে দাঁতের শিরশির ভাব ও দূর হয়ে যেতে পারে। 👉 শিরশিরানি থেকে দূরে থাকতে রসুনের কোয়াও ২০-২৫ মিনিট দাঁতের সাথে ঘষে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। দেখবেন, উধাও! কোন শিরশির ভাব আর নেই। দু তিন দিন এমন করতেই পারেন একটানা।
দাঁত সাদা করার উপায় নিয়ে একটা অথেনটিক আর্টিকেলের লিংক দিয়ে দিচ্ছি, পড়তে পারেন।
যাক, আজ এ পর্যন্তই থাকুক তবে! আবার দেখা হবে শীঘ্রই! আমাদের সাথেই থাকুন।